বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
রেলের দাবি, হাওড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি বাঁকুড়া পৌঁছনো যাবে। সংযুক্তিকরণের সেই কাজ ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে করা হবে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। বাঁকুড়ায় অনেকেই বেড়াতে যান। এতদিন তাঁদেরকে ঘুরপথে সেখানে যেতে হতো। সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ হলে বাঁকুড়ায় পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ হবে। যাত্রীরা অবশ্য বলছেন, হাওড়া থেকে সরাসরি বাঁকুড়া পর্যন্ত রেল লাইন চালুর দাবি বহুদিনের। সেই স্বপ্ন পূরণের আনন্দ রয়েছে। কিন্তু এভাবে কাজের দিনে দুর্ভোগে না ফেলে অন্য সময় এই কাজ করা হলে কারও কোনও ক্ষোভ থাকত না। নিত্যযাত্রী দেবাশিস দাস বলেন, শনি ও রবিবার বহু প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকে। ওই দুদিন তেমন সমস্যা হবে না। কিন্তু বৃহস্পতি এবং শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছনোই দায় হয়ে উঠবে। বেশি টাকা খরচ করে বাসে যাওয়ার সামর্থ্য অনেকের নেই। সময়ও অনেক বেশি লাগবে। ছুটির দিনগুলিতে সেই কাজ করা যেত। আর এক যাত্রী বলেন, অধিকাংশ ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। আগে বুকিং না করলে বাসেও টিকিট পাওয়া যাবে না। রেলের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অর্ঘ্য সেনগুপ্ত বলেন, পাণ্ডুয়া থেকে ক্লাস করতে যাই। ট্রেন চললে কোনও অসুবিধা থাকে না। কিন্তু এই কয়েকদিন ক্লাসে যাওয়া হবে না। বাসে বর্ধমান পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লাগে। যাতায়াতের ধকলও শরীর নিতে পারে না। দুর্গাপুজোর পর বেশ কয়েকদিন ছুটি ছিল। ওই সময় কাজ করা যেত। তবে দুর্ভোগ হলেও বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদরের বাসিন্দা খুশি। খণ্ডঘোষের বাসিন্দা আজাহার শেখ বলেন, ভালো কিছু পেতে হতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়। এই কয়েকদিন একটু ধকল হবে। কিন্তু সরাসরি বাঁকুড়া থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য ট্রেন পরিষেবা চালু হলে বহু দিনের সমস্যা মিটে যাবে।