শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
নিউটাউনের এনকাউন্টারের পর থেকেই জয়পাল সিং ভুল্লারের ‘কলকাতা সংস্রব’ খুঁজতে জোরদার তদন্ত শুরু করে এসটিএফ। তদন্তকারীদের কাছে খবর আসে, জয়পালের বেআইনি কারবারের আগ্নেয়াস্ত্র এই রাজ্যেও এসেছে। এখান থেকেই তা ছড়িয়েছে অন্য রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশে। এই কাজে গ্যাংস্টারকে সাহায্য করেছে বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বসবাসকারী এক ব্যক্তি। সে পাঞ্জাবের বারনালা শহরের বাসিন্দা। অনেকদিন আগে এখানে এসে ঘাঁটি তৈরি করে। এসটিএফ সূত্রের খবর, জয়পালের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস থেকে দেখা যায়, চমকর সহ এই চারজনের সঙ্গে তার নিয়মিত কথা হতো। এমনকী গোয়ালিয়র থেকে কলকাতায় আসার আগেও জয়পাল কথা বলেছে তাদের সঙ্গে।
এই পশু চিকিৎসক ও তার সহযোগীদের কাজ কী ছিল? পুলিস অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এই পশু চিকিৎসকের কাছে বাইরের প্রচুর লোকজন আসে। তাদেরকে অস্ত্র লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা হয়। কাশীপুরের যে খাটালে সে আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানেই আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রাখা হতো। ভুল্লার গ্যাংয়ের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র বিদেশ থেকে আসায়, ক্রিমিনালদের কাছে তার ব্যাপক কদর ছিল। সূত্রের খবর, চমকর গোরুর ব্যবসা করত। গোরুর লরি করে পাঞ্জাব থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কলকাতায় নিয়ে আসা হতো। সেগুলি নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করত কলকাতার এই চার ব্যক্তি। ভাঙড়-কাশীপুরের সঙ্গেই নিউটাউনের কিছু ডেরায় চোরাই আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পাশাপাশি পাঞ্জাব থেকে পালিয়ে আসা ভুল্লার গ্যাংয়ের সদস্যদের যাবতীয় ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিত চমকররা। জয়পাল সিং ভুল্লারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র কারবার সম্বন্ধে আরও বিশদে জানতে ওই চারজনকে জেরা করা হচ্ছে।