দেশ

মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা বেশি গ্রামেই, মন্ত্রকের তথ্যে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম। শহরকে ছাপিয়ে রকেটের গতিতে বাড়ছে গ্রামীণ মূল্যবৃদ্ধি। আর তিন মাস ধরে লাগাতার এই প্রবণতা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে মোদি সরকারের। কারণ, এই রিপোর্ট খোদ কেন্দ্রের। 
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসছে না—এই তথ্য বারবার দিয়ে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর কারণ? খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম। আর সেকথা শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নয়, বণিকসভা এবং আর্থিক সমীক্ষক সংস্থাগুলিও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের প্রতিপাদ্য প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সবথেকে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে খাদ্যপণ্যের দামে রাশ টানতে না পারার ব্যর্থতা নিয়েই। তবে ২০২২ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান খাদ্য-মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতায় নবতম সংযোজন—গত তিন মাসে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ ভারতের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে দ্রুত বেগে। বিশেষ করে এপ্রিল থেকে জুনের প্রথমার্ধ। সচরাচর খাদ্য-মূল্যবৃদ্ধির হার শহরেই বেশি দেখা যায়। এবার গ্রামীণ ভারতবাসী এই জ্বালা টের পাচ্ছে বেশি করে। ভারত সরকারের কৃষিভিত্তিক সর্বভারতীয় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, শহর এবং গ্রামাঞ্চলে সমহারে বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধির হার। কিন্তু বিগত দু’মাসের লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জেরে গ্রামীণ ভারতের মূল্যবৃদ্ধির সূচক হয়েছে ১২৮১ পয়েন্ট। আর শহরাঞ্চলে ১২৬৯ পয়েন্ট। খাদ্যসূচকের এক ধাক্কায় ৬ পয়েন্ট বৃদ্ধির কারণ হিসেবে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সব্জি, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, দুধ, কাঁচা হলুদ, আদা, মাছ, জোয়ার, পানের পাতা, জামাকাপড়, শাড়ি, জুতোর দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু এসবের পাশাপাশি এপ্রিল থেকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের জন্য চরম উদ্বেগ নিয়ে এসেছে ওষুধের দামবৃদ্ধি। এপ্রিল মাসেই ওষুধের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—শতাধিক ধরনের ওষুধের দাম বাড়বে অন্তত ২ থেকে ৩ শতাংশ। সেই ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে মে মাস থেকে। চিকিৎসা খাতে মাথায় হাত আম জনতার। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নত নয়, তার উপর ওষুধের দামও বেড়ে যাওয়ায় চরম সঙ্কট সাধারণ মানুষের। 
সদ্য পরিসংখ্যান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে খুচরো এবং পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার। দুই ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ। বিস্তারিত রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, সাধারণ মূল্যবৃদ্ধির হার যেখানে গড়ে ৪.৭৫ শতাংশ, সেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ।  শহরাঞ্চলে সেটা ৮.৮৩ শতাংশ, আর গ্রামাঞ্চলে পৌঁছেছে ৮.৬২ শতাংশে। আপাতভাবে শহরাঞ্চলের মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য বেশি। কিন্তু আদতে বিগত তিনমাস ধরে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক বেশি গতিতে বাড়ছে গ্রামীণ ভারতে। এপ্রিল মাসের তুলনায় গ্রামীণ মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে ৫.৩ শতাংশ। সেই তুলনায় শহরাঞ্চলে বৃদ্ধির হার ৪.১৫ শতাংশ। এই প্রবণতার জেরেই শুক্রবার প্রকাশিত কৃষিভিত্তিক মূল্যসূচকে দেখা গিয়েছে, গ্রামের মূল্যবৃদ্ধির পাল্লা ভারী। গ্রাম থেকে শহরে আসে সব্জি। অথচ সেই সব্জির মূল্যবৃদ্ধিই সবথেকে বেশি বেড়েছে সাম্প্রতিক তিন মাসে—২৭ শতাংশের বেশি। কারণ গ্রামীণ মান্ডিতেই সব্জির দাম অনেক বেশি। 
নতুন সরকার এরপরও কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ কোনও ঘোষণা করেনি। বরং বারংবার সতর্কবার্তা দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে দেশের মধ্যে সবথেকে কম মূল্যবৃদ্ধির হার বাংলায়। ৩.৪ শতাংশ। সবথেকে বেশি ওড়িশা এবং কর্ণাটকে। দুই রাজ্যেই ৬ শতাংশের বেশি।
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা