দক্ষিণবঙ্গ

চাষের উন্নতিতে সবচেয়ে বেশি মাটির নমুনা পরীক্ষা মুর্শিদাবাদে

অভিষেক পাল, বহরমপুর: ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে চাষিদের লভ্যাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিজমির মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেমেছে রাজ্যের কৃষিদপ্তর। চলতি বছরে গোটা রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক কৃষিজমির মাটির নমুনা পরীক্ষা হবে। রাজ্যের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মোট চার লক্ষ কৃষিজমির মাটির নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি মুর্শিদাবাদ জেলায় মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মোট ৩১ হাজার পৃথক জমির মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য, মাটির গুণগত মান পরীক্ষা করে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা ছাড়া ২২টি জেলা থেকে জমির মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। প্রতিটি জেলার কৃষিদপ্তর এই বিপুল কর্মকাণ্ডের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। 
মুর্শিদাবাদের পর তালিকা অনুযায়ী সব থেকে বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ২৯ হাজার কৃষিজমির মাটির নমুনা সংগ্রহ হবে। হুগলি থেকে ২৭ হাজার ২০০ এবং পূর্ব বর্ধমান থেকে ২৭ হাজার ১০০টি জমির মাটির নমুনা নেওয়া হবে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ২৫ হাজার ৮০০, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ২৫ হাজার ৬০০, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ২৫ হাজার, নদীয়া থেকে ২২ হাজার ৭০০ ও বীরভূম থেকে ২১ হাজার ১০০টি কৃষি জমির মাটির নমুনা নেবে কৃষিদপ্তর। 
মুর্শিদাবাদ জেলার এক কৃষি অধিকর্তা বলেন, রাজ্যের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব থেকে বেশি কৃষিজমির মাটির গুণগত মানের পরীক্ষা হচ্ছে। ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজার কৃষিজমির মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার নমুনা আমরা সংগ্রহ করেছি। 
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পঞ্চায়েত এলাকা ধরে ধরে মাটির গুণগত পরীক্ষা করা হবে। দেখা হবে ওই মাটির উৎপাদনশীলতা কেমন। ইন্টিগ্রেটেড নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট(আইএনএম) পদ্ধতিতে জমিতে রাসায়নিক ও জৈব সারের সুবিবেচনামূলক ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদনশীলতা উন্নত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জমিতে অনুখাদ্যের ভারসাম্য, ফসলের ফলন বৃদ্ধি এবং সারের খরচ বাঁচাতে ব্যাপক সাহায্য করবে এই মাটির গুণগত মানের পরীক্ষা। 
প্রতিনিয়ত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে চাষিরা সার প্রয়োগ করে অনেক জমির উর্বরতাশক্তি নষ্ট করে ফেলছেন। একই জমিতে বছরের তিনবার ফসল উৎপাদন করার ফলে রাজ্যের বহু জমিতে মাটির অনুখাদকের অভাব দেখা দিচ্ছে। তাই মাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে ফসল নির্বাচন করার সময় এসেছে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মাটির রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি গতিশীল প্রকৃতির। নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের পর পর মাটি পরীক্ষার প্রয়োজন। এতে চাষিরা রাসায়নিক সার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং অন্যান্য জৈব সার দিয়ে চাষাবাদ করার পদ্ধতিটি বুঝতে পারবে। পাশাপশি কোন মরশুমে জমিতে কী ফসল লাগানো দরকার এবং কোন ধরনের সারের ব্যবহার জরুরি সেই সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। মাটির গুণগত মান বুঝতে পারলে সেইমতো চাষিরা ফসল ফলিয়ে লাভবান হবেন।
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৯ টাকা৮৪.৪৩ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৮.১২ টাকা৯১.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা