দক্ষিণবঙ্গ

কচুরিপানা ও আবর্জনায় দূষিত চূর্ণী নদী, মারা যাচ্ছে মাছ, বিপাকে মৎস্যজীবীরা

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: সংস্কারের অভাবে চূর্ণীতে কচুরিপানা জমে যাওয়ায় দূষিত হচ্ছে নদী। চূর্ণী নদীকে বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হচ্ছে। অথচ নদী সংস্কার নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। চূর্ণীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় নদীর চেহারা বিভিন্ন রকমের হয়েছে। কোথাও কোথাও এই নদী  মাঠ হয়ে যাওয়ায় চাষ হচ্ছে। কোথাও ব্রিজ তৈরির জন্য মাটি ফেলায় মুছে যাচ্ছে চূর্ণী নদী। জানা যায়, একটা সময় এই নদীতে চলাচল করত বড় বড় নৌকা। চলত লঞ্চও। নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মৎস্যজীবী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্তমানে দূষণের কারণে সেসব আজ অতীত। নদীতে পলি জমে চূর্ণী হারিয়েছে তার নাব্যতা। কোথাও আবার আবর্জনা জমে  নদী হয়েছে নর্দমা। 
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের চিনিকল থেকে ছাড়া বর্জ্য পদার্থে দূষিত হচ্ছে চূর্ণী নদীর জল। মাথাভাঙা নদী হয়ে সেই বর্জ্য এসে পড়ে চূর্ণীতে। এতে মারা যাচ্ছে মাছ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। একটা সময় বাংলাদেশের চিনিকল থেকে বর্জ্য পদার্থ ছাড়া হতো বছরে কয়েকবার। কিন্তু এখন বছরের প্রায় সময়ই এই বর্জ্য ফেলা হয়। তাতে নদী কালো হয়ে বিষক্রিয়া হচ্ছে। জল দূষিত হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মৎস্যজীবীর জীবন জীবিকা বিপন্ন হয়ে ওঠে। এই সময় নদীতে স্নান করাও বিপজ্জনক। নানা রকমের চর্মরোগ হয়। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কিছু হয়নি। 
বর্ষার সময় জল পায় মাথাভাঙা। অন্য সময় জল থাকে না। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান জল থাকে। গরমে জল যখন কম থাকে, তখন নদী কালো রঙের হয়ে ওঠে। এতে মাছ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী স্থানীয় মানুষরা। বাংলাদেশ থেকে আসছে মাথাভাঙা নদী। তা এদেশে গেদে থেকে শুরু হয়ে মাঝদিয়াতে মিশছে। প্রায় ১৯ কিমি পেরিয়ে মাঝদিয়া বা ওপারের পাবাখালিতে এসে দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটা চূর্ণী, আরেকটি ইচ্ছামতী। মাথাভাঙা ও চূর্ণীর দু’পাড়ে গোবিন্দপুর থেকে পায়রাডাঙা শিবপুর পর্যন্ত প্রায় ১২০টা গ্রাম আছে। ভারতীয় এলাকায় গেদে থেকে শুরু হয়ে চূর্ণী নদী প্রায় ৭২ কিমি ছাড়িয়ে পায়রাডাঙার শিবপুরে ভাগীরথী নদীতে মিশেছে।
নদীর আজ নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় কিছু জায়গায় কলমি শাক, জল কচু চাষ হচ্ছে। আর এপাড়ে ধান, পাট। এছাড়াও অবৈধভাবে জমি দখল করে দোকানপাট, বাড়িও হয়েছে। দূষণের ফলে নদীতে চিতল, বোয়াল, কালবাউশ,  মৃগেল, পুঁটি, ফলুই, খয়রার মতো দেশি মাছ প্রায় হারাতে বসেছে। স্বর্ণখালি, চন্দননগর, শিবনিবাস, তারকনগর সহ একাধিক জায়গার উপর বয়ে যাওয়া চূর্ণী নদীতে বর্তমানে কচুরিপানা দেখা যাচ্ছে। এই কচুরিপানার জন্য ব্যাপকভাবে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই স্থানীয় মানুষদের কাতর আবেদন চূর্ণী থেকে দ্রুত এই কচুরিপানা সাফ করা হোক। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস বলেন, কচুরিপানার জন্য নদীর এপার ওপার দেখা যায় না। যাঁরা নৌকা করে জীবিকা অর্জন করেন, তাঁদের কাজ বন্ধ। নদীপাড়ের মৎস্যজীবীদের অবস্থাও খারাপ। তাই এর জন্য যা করণীয়, তার চেষ্টা চালাচ্ছি। 
কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে চূর্ণী নদী।-নিজস্ব চিত্র
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৯ টাকা৮৪.৪৩ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৮.১২ টাকা৯১.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা