ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রথম দফায় ভোটের আগের দিন একটি চিঠি ভাইরাল হয়। জিসিপিএ’র প্যাডে অনন্তর সই করা সেই চিঠিতে বিজেপিকে ভোট দিতে বারণ করা হয়েছিল। যদিও পরে অনন্ত বলেছিলেন চিঠিতে সই তাঁর নয়।
তবে গেরুয়া শিবিরের প্রতি অনন্ত ক্ষুব্ধ থাকায় তাঁর অনুগামীরাও বিজেপিকে ভোট দেবেন কি না, ভাবছেন। বিজেপি নেতৃত্বর প্রতি অনন্তর ক্ষোভ ভোট বাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করছেন মহারাজের অনুগামীরা। এবিষয়ে কী বলছেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজ? তাঁর মন্তব্য, ‘সবাইকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অনুরাধ করেছি। বাকিটা জনতার হাতে। তাঁরা যেটা ভাববেন, সেটাই করবেন।’
তাহলে কি বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন অনন্তপন্থীরা? যদিও সেটা মানছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেছেন, অনন্ত মহারাজ ও তাঁর অনুগামীদের সমর্থন আমাদের দিকেই রয়েছে। বালুরঘাটে অনন্তর প্রতিনিধি এসে নেতাদের সমস্ত কিছু বলে দিয়ে গিয়েছেন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বেসুরো গ্রেটার নেতা অনন্ত। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এবং নিশীথ প্রামাণিকের মনোনয়ন দাখিলের সময় অনন্তকে দেখা গেলেও তিনি যে অখুশি, তা স্পষ্ট হয়েছে। উত্তরে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে তাঁর অনুগামীরাও প্রচারে সেভাবে অংশ নেননি। অনন্তও আলাদা করে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেননি না। এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্তর দাবি, আমি কোনও প্রার্থীর প্রচারে থাকি না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় যাই। অন্যদের জনসভায় যাই না।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোট-ময়দানে অনন্ত না থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় উত্তরবঙ্গের বাকি আসনগুলিতে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি। কারণ, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং মালদহ উত্তরে রাজবংশী ভোটার অনেক। দার্জিলিং আসনের শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা, খড়িবাড়ি বিধানসভায় অনন্ত মহারাজের ভক্ত ও অনুগামীর সংখ্যা যথেষ্ট। রায়গঞ্জ আসনের করণদিঘি, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় রাজবংশী ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটব্যাঙ্ক নিজের দখলে রাখতে জোর প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।
এদিকে, অনন্ত কিছুদিন আগে দুই দিনাজপুরে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আলাদা সভা করেছেন। সেখানে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি থেকে অনন্ত যে সরে আসেননি, তা কয়েক সপ্তাহ আগেও স্পষ্ট হয়েছিল। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের কুশমণ্ডি, তপনেও রাজবংশী ভোট কম নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তফসিলি জাতি, উপজাতি মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার। মালদহ উত্তর আসনেও কয়েকটি ব্লকে রাজবংশী ভোটারদের আধিক্য। এই ভোট গত লোকসভায় বিজেপির দিকে ছিল। উত্তরের রাজবংশী ভোট ধরে রাখাই বিজেপির কাছে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ১০০ শতাংশ রাজবংশী ভোট আমাদের দিকেই পড়বে।