ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী আবৃত্তি ঘটক। বাড়ি যোগমায়া এলাকায়। সে এবার ৬৮৭ পেয়েছে। বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৪, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৮ এবং ভূগোলে ১০০ পেয়েছে।
আবৃত্তি বলেন, বাঁধাধরা নিয়মে পড়াশোনা করতাম না। তবে দিনে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘম্টাপড়াশোনা হতো। আমাকে বেশি গাইড করেছে মা। এছাড়া বাবা এবং শিক্ষক, শিক্ষিকারা সবরকম সাহায্য করেছেন। আগামীদিনে মেডিক্যাল লাইনে পড়াশোনা করতে চাই। গল্পের বই পড়া ও আবৃত্তি ভালো লাগে।
আবৃত্তির বাবা নির্মল ঘটক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং মা দেবযানী চট্টোপাধ্যায় ঘটক প্রাইমারি শিক্ষক। দু’জন বলেন, একাগ্রতা ও নিজের চর্চাতেই এত ভালো রেজাল্ট করেছে। শিক্ষক, শিক্ষিকারাও খুব সাহায্য করেছেন। মেয়েকে কখনও পড়াশোনার কথা বলতে হত না।
সপ্তম হওয়া আরেকজন বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের অর্পিতা ঘোষ। বাড়ি শহরের বাসস্টান্ডের নারায়ণপুরে। সে বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৪, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৭ এবং ভূগোলে ১০০ পেয়েছে। অর্পিতা নাচ, আবৃত্তি, ছবি আকা, সঞ্চালনা করতে ভালোবাসে। সে একজন বাচিক শিল্পীও।
অর্পিতা বলে, আমার বাড়িতে টিভি নেই। বাবা মোবাইল দেখে আমাকে খবরটা জানালে বিশ্বাসও করতে পারছিলাম না। প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে পড়তে চাই।
অর্পিতার বাবা অসীম কুমার ঘোষ গ্রন্থাগার সহায়ক পদে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মেয়ের স্বপ্নপূরণ করতে সবরকম চেষ্টা করব।
এবিষয়ে বালুরঘাট গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া চৌধুরী বলেন, স্কুলের দুই ছাত্রী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তাছাড়াও সার্বিক রেজাল্ট খুবই ভালো। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
এদিকে বালুরঘাটের আরও একজন একই নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে। বালুরঘাট হাইস্কুলের সাত্বত দে। বাড়ি বালুরঘাট শহরের সাহেব কাছারি টাওয়ার মোড় এলাকায়। সাত্বত বাংলায় পেয়েছে ১০০, ইংরেজিতে ৯৪, অংকে ৯৭, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০ ভূগোলে ১০০ এবং ইতিহাসের ৯৬ পেয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাত্বত ছবি আকা, গল্পের বই পড়া এবং খেলাধুলো করতে ভালোবাসে। সাত্বত বলে, টিভিতে আমার নাম শুনে খুবই ভালো লাগছিল। চিকিত্সক হতে চাই।
সাত্বতের বাবা সঞ্জিব কুমার দে পেশায় ব্যবসায়ী। মা তমালী দে। তাঁরা বলেন, ছেলে এমন সাফল্য পাবে, কল্পনাও করিনি।