ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে তৃণমূল বিধানসভা আসনগুলিতে নিজেদের ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছিল। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল ভালো ফল করে। অর্থাৎ, নিচুতলায় রাশ তৃণমূলের হাতেই রয়েছে, তা স্পষ্ট। বিজেপি যে অনেকটাই হাওয়ায় ভর করে উড়ছিল, তা প্রমাণ হয় লোকসভা পরবর্তী ভোটের ফলে। তাই তৃণমূল যদি বিধানসভা ও পঞ্চায়েতের ভোট ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে এই আসন জিততে তাদের অসুবিধা হবে না। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, বিধানসভায় আমরা সব জায়গাতেই ভোট বাড়াতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে পঞ্চায়েতেও আমাদের ভালো ফল হয়েছে। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পুরসভায় আমরা জয়ী হয়েছিলাম। বিজেপি সেভাবে সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। নিচুতলায় ওরা কয়েক যোজন পিছিয়ে।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর বক্তব্য, পঞ্চায়েতে আমাদের ভোট কমেনি। কমানো হয়েছিল। বিধানসভা রাজ্যের ভোট ছিল। সেখানেও আমাদের তিন প্রার্থী জিতেছেন। সুকান্ত মজুমদার যেভাবে কাজ করেছেন, তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কুশমণ্ডি বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়ে ছিল মাত্র ৭৪০ ভোটে। ২০২১ বিধানসভায় সেখানে তৃণমূল প্রার্থী রেখা রায় প্রচুর ভোট বাড়িয়ে জেতেন ১২ হাজার ৫৮৪ ভোটে। একইভাবে কুমারগঞ্জে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোটে। বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে তৃণমূলের তোরাফ হোসেন জেতেন ২৯ হাজার ৪১৭ ভোটে। গত লোকসভায় বালুরঘাট আসনে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৩৯ হাজার ১৬ ভোটে। বিধানসভায় বিজেপির অশোককুমার লাহিড়ীর জয়ের ব্যবধান সেই নিরিখে অনেক কমে গিয়েছিল। মাত্র ১৩ হাজার ৪৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। লোকসভায় তপন বিধানসভা এলাকায় বিজেপি এগিয়ে ছিল ২৩ হাজার ২৫৪ ভোটে। বিধানসভায় ওই আসনে বিজেপির বুধারি কিস্কুর জয়ের ব্যবধান কমে হয় ১ হাজার ৬৫০ ভোট। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে যে ধস নেমেছিল, এই ফল তার প্রমাণ।
একইভাবে গঙ্গারামপুর আসনে লোকসভায় বিজেপি এগিয়ে ছিল ২২ হাজার ৮৫ ভোটে। পরবর্তীতে বিধানসভায় বিজেপির সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের জয়ের ব্যবধান কমে হয় মাত্র ৪ হাজার ৫৯২। এখানেও বিজেপির ভোট প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। লোকসভায় হরিরামপুরে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৪ হাজার ৯৬৫ ভোটে। বিধানসভায় সেখানে তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র জিতেছিলেন ২২ হাজার ৬৭৩ ভোটে। এখানে তৃণমূলের ভোট প্রায় তিনগুণ বেড়েছিল। লোকসভায় ইটাহারে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ২৭ হাজার ৭৭৭ ভোটে। বিধানসভায় তৃণমূলের মোশারফ হোসেন সেখানে জিতেছিলেন ৪৩ হাজার ৯৭৪ ভোটে। এখানেও তৃণমূলের ভোট ব্যাপক হারে বেড়েছিল। পঞ্চায়েতে জেলার ৬৪টি আসনের মধ্যে ৫৮টি তৃণমূল দখল করেছিল। তারও একটা প্রভাব নিচুতলায় রয়েছে।