ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
অভিযোগ, খরার মরশুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন এভাবেই পুনর্ভবা নদী থেকে তপনের বিভিন্ন এলাকায় বালি পাচার হচ্ছে। নদীতে জল থাকাকালীন আগে থেকে জমা করে রাখা ঢিবি থেকে বালি নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের পর দিন বালি পাচার হলেও এনিয়ে প্রশাসনের হেলদোল নেই। এরই প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা বেশকিছু বালি ভর্তি ট্রাক্টর বাসিন্দারা আটকে রাখেন। যদিও পুলিস বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কেউ না আসায় আন্দোলনকারীরা গাড়িগুলি ছেড়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদিকুল সরকার বলেন, বালির গাড়ির দাপাদাপিতে আমাদের বাড়িঘরে থাকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শিশুরা রাস্তা পারাপার করতে পারে না। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলি বালি নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ছুটছে। আমাদের আপত্তিকে তোয়াক্কা না করে বালি পাচার চলছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, অবৈধ বালি কারবারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
তপন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সৌমেন সাহা বলেন, তপন ব্লকের কোথাও বালি তোলার পারমিট দেওয়া হয়নি। সবই অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে। কারবারিরা ভোরে এবং রাতের সময়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। যদিও আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ভোরে এবং রাতে অভিযান চালাই। আমরা বিভিন্ন সময় তপনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। তবে এখন ভোটের ডিউটি চলছে। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে বালি পাচারকারীরা। গত ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত তপনের বিভিন্ন জায়গা থেকে জেসিবি ও ট্রাক্টর মিলিয়ে ৪০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। আগামী দিনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব চিত্র।