উত্তরবঙ্গ

দু’দিনে রেকর্ড বৃষ্টি, শহরে জল জমে চরম ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: দু’দিনে রেকর্ড বৃষ্টি শিলিগুড়িতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গল ও বুধবার এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৭২.৬ মিলিমিটার। যার ফলে, রেগুলেটেড মার্কেট, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ শহর ও গ্রামের প্রায় ২০টি এলাকা জলবন্দি। কোথাও রাস্তায় একহাঁটু জল, আবার কোথাও কোথাও বাড়িতে জল থইথই অবস্থা। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে হাজার হাজার মানুষ। বেহাল নিকাশির জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এর মোকাবিলায় ময়দানে নেমেছে পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত। কোথাও পাম্প চালিয়ে বের করা হচ্ছে জমা জল, কোথাও আবার নালা কাটা হচ্ছে। 
অন্যদিকে, ফের ফুঁসছে তিস্তা, মহানন্দা ও বালাসন নদী। পাহাড়ে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও মহানন্দা নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইছে। এনিয়ে নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁরা বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, নদীগুলির গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত তারা। 
শিলিগুড়িতে বৃষ্টির দাপট বাড়ছে। সোমবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। মঙ্গল ও বুধবারও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ১২৬.৪ মিলিমিটার। বুধবারের রেকর্ড অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ১৪৬.২ মিলিমিটার। অর্থাৎ দু’দিনে এখানে বৃষ্টির পরিমাণ ২৭২.৬ মিলিমিটার। এর জেরেই শিলিগুড়ি শহরের রেগুলেটেড মার্কেট জলবন্দি। এখানকার ব্যবসা কার্যত লাটে ওঠে। জমা জলে চরম দুর্ভোগে পড়েন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী সহ ক্রেতারা। ডাম্পিং গ্রাউন্ড, ঢাকনিকাটা, নতুনবস্তি, টিনাবস্তি, পেটকাটিবস্তি, দশরথপল্লির নীচপাড়া প্রভৃতি এলাকাও জলমগ্ন। 
আজ, বৃহস্পতিবার রেগুলেটেড মার্কেটের নিকাশি ব্যবস্থা চাঙ্গা করা নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে প্রশাসন। শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, জমা জল বের করতে রেগুলেটেড মার্কেট ও ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় পাম্পসেট পাঠানো হয়েছে। রেগুলেটেড মার্কেটের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। 
শুধু শহর নয়, বৃষ্টিতে গ্রামীণ এলাকাও জলবন্দি। বিশেষ করে পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামাইবস্তি, হেলাপাকড়ি, মীরজংলা, খাপরাইল, পরিবহণ নগর প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন। কোথাও রাস্তায় হাঁটুজল। আবার কোথাও বাড়ির উঠোন ও ঘরে থইথই করছে জল। হেলাপাকড়িতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উঠেছে জল। দুর্গত গ্রামবাসীরা বলেন, বেহাল নিকাশির জেরে বৃষ্টির জল গ্রামে জমেছে। পাশাপাশি চামটা নদীর জলও গ্রামে ঢুকেছে। সবমিলিয়ে গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 
পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ সাহিদ বলেন, বৃষ্টির জল জমার পাশাপাশি কিছু গ্রামে চামটা নদীর জল ঢুকেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চারশো গ্রামবাসী। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মুড়ি, চিড়ে, গুড় ও ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। বাড়ি ও রাস্তার গার্ডওয়াল ভেঙে জমা জল বের করা হচ্ছে। 
চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলনমোড়, যদুভিটা, বাবুবাসা, দক্ষিণ পলাশ, কালকূট, কলাবাড়ি ও মোহরগাঁ-গুলমা প্রভৃতি গ্রামের অবস্থাও একই। স্থানীয় সূত্রের খবর, শহর সংলগ্ন গ্রামগুলির প্রায় আটহাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার। প্রধান জনক সাহা বলেন, নালা কেটে জমা জল বের করা হচ্ছে। ত্রিপল ও ত্রাণ গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে। 
এদিকে, তিস্তা ও মহানন্দা সহ ছোট নদীগুলিও ফুলেফেঁপে উঠেছে। সেচদপ্তর সূত্রের খবর, বুধবার সকালে মহানন্দার জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১১৫. ২০০ মিটার। যা বিপদসীমার উপরে। সেভকের করোনেশন সেতুর কাছে তিস্তার জলস্তর ছিল ১৪৫.১০ মিটার। বিকেলে দুই নদীর জলস্তর কিছুটা কমে বলে জানিয়েছে সেচদপ্তর। তা হলেও নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, পাহাড়ে ফের জোর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।                   
      
      
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৫৮ টাকা৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৩ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৯০ টাকা৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা