রাজ্য

পেনশন নিয়ে উদ্বেগ, লাইফ সার্টিফিকেট দিতে অনীহা রাজ্যের সাড়ে ৭ লক্ষ গ্রাহকের 

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে বছরে একবার লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা আবশ্যিক। আগে যেখানে প্রতি বছর নভেম্বরে সেই কাজ করতে হতো, এখন সেই বাধ্যবাধ্যকতা নেই। বছরের যে কোনও সময় তা করা যায়। দেখা যাচ্ছে, পিএফের আওতায় যাঁরা পেনশন নেন, তাঁদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করছেন না। তার ফলে আটকে যাচ্ছে পেনশন। পশ্চিমবঙ্গে গত এক বছরে লাইফ সার্টিফিকেট জমা হয়নি, এমন প্রবীণের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার। আর টানা তিন বছর হয়ে গেলেও জীবন শংসাপত্র জমা হয়নি, এমন পেনশন গ্রাহকের সংখ্যা দেশে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৮৮। পশ্চিমবঙ্গেও সেই সংখ্যা মোটেই কম নয়—৪২ হাজারের বেশি। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ পেনশন পাচ্ছেন না। আর সেটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রের। তাঁরা কেন লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিলেন না? তাঁরা আদৌ জীবিত আছেন তো? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবার পেনশনভোগীদের বাড়ি বাড়ি যাবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও’র কর্মীরা। যদি দেখেন তাঁরা জীবিত, তাহলে সেখানেই তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়া হবে। গোটা ব্যবস্থাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে দপ্তর। কারণ, এই বিপুল সংখ্যক পেনশনভোগীর লাইফ সার্টিফিকেট জমা না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটবে না কর্তাদের।
একটা সময় ছিল, যখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকেই সশরীরে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারতেন না। সেই সমস্যা মেটাতে অনলাইনে তা জমা করার ব্যবস্থা করা হয়। সরকারিভাবে তার নাম দেওয়া হয় জীবন প্রমাণ। আধার ভিত্তিক সেই কাজেও প্রবীণদের আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বেরতে হয়। প্রবীণরা যাতে বাড়িতেই সেই কাজ করতে পারেন, তার জন্য চালু হয় মুখের ছবি তুলে লাইফ সার্টিফিকেট জমার সুবিধা। ২০২২ সালে চালু হওয়া এই পরিষেবায় সাড়া দিয়েছেন পিএফের আওতাধীন বহু প্রবীণ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যেখানে ২ লক্ষ ১০ হাজার পেনশনভোগী ফেস অথেন্টিকেশন বা মুখের ছবি তুলে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজারে। এই সুবিধার পরও কেন জীবন প্রমাণ দেওয়া গেল না, তারই খোঁজখবর করবে দপ্তর। দপ্তরে সদ্য নিযুক্ত হওয়া সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে থাকা কর্মীরা সেই কাজ করবেন।
দপ্তর জানিয়েছে, প্রথমেই পেনশনভোগীর বাড়িতে যাবেন না কর্মীরা। তাঁরা পেনশন প্রদানকারী ব্যাঙ্কে যাবেন এবং সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টটি চালু আছে কি না, তার খোঁজ নেবেন। তিনি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে সেই তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে আছে কি না, তাও জানবেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের কাছে থাকা ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর নিয়ে প্রবীণদের বাড়ি পৌঁছবেন তাঁরা। যদি দেখা যায় নির্দিষ্ট ঠিকানায় পেনশনভোগী রয়েছেন, তাহলে সেখানেই তাঁর জীবন প্রমাণ নেওয়া হবে। যদি নির্দিষ্ট ঠিকানায় তিনি না থাকেন, তাহলে তিনি কোথায় থাকতে পারেন, সেই বিষয়ে প্রতিবেশী বা স্থানীয় প্রশাসকের কাছে তথ্য চাইবেন তাঁরা। যদি দেখা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাহলে ফ্যামিলি পেনশন পেতে কী কী করণীয়, তার উপায় বাতলাবেন কর্মীরা।   
3Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা