রাজ্য

গঙ্গা ও তিস্তার জল বণ্টন ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে নবান্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা ও তিস্তার জল বণ্টন  ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, গঙ্গার জল বন্টন সংক্রান্ত কেন্দ্রের বিশেষ কমিটির যে রিপোর্ট ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় জল কমিশন ও জল শক্তি মন্ত্রকের কাছে পেশ করা হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর কোনও প্রতিফলন হয়নি। ওই রিপোর্ট জমা পড়ার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি। কোনও আলোচনা হয়নি। গঙ্গা–তিস্তার জল বন্টন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন। তার আগে এই বিষয়ে যে তিনটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেগুলির তারিখ উল্লেখ করেন আলপনবাবু। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক সম্পর্ক, গঙ্গার ভাঙন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুই নদীর জল প্রাপ্তি, কৃষি ও সেচের জন্য দু‌ই নদীর জলের প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ওই চিঠিগুলিতে বিস্তারিতভাবে  উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সব ব্যাপারে কেন্দ্রের নীতি নির্ধারকদের কোনও মতামত এখনও রাজ্যকে জানানো হয়নি। 
সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিটি রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশ করার পর রাতেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু ব্যাখা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার জল বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিশেষ টেকনিক্যাল কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করেছে। ওই কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তরের একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওই প্রতিনিধি কমিটির কাছে বেশ কিছু তথ্য পেশ করেছেন। আলাপনবাবু এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখা করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ওই আধিকারিকের কাছ থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি সেটাই দিয়েছেন। এর বেশি কিছু নয়। গঙ্গার জল বন্টন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী, নীতি এটা নয়। আলাপনবাবু আরও বলেন, গঙ্গার জল বন্টন ছাড়াও তিস্তা, আত্রেয়ী, পূনর্ভবা প্রভৃতি উত্তরবঙ্গের যে সব নদীর জল বাংলাদেশে গিয়েছে সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেব্যাপারে কমিটির রিপোর্টেও কিছু বলা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারও কিছুই জানায়নি।
প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জল বণ্টনের যে চুক্তি ১৯৯৬ সালে হয়েছিল তার মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। ওই চুক্তির নবীকরণ করার প্রক্রিয়া দুই দেশ শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রধানন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, চুক্তি নবীকরণের বিষয়টি নিয়ে ভারতের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশ যাবে। বাংলাদেশে তিস্তার জল সংরক্ষণে ভারত সহায়তা করবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। 
নবান্ন সূত্রে খবর, ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল বন্টন চুক্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কিউসেক হারে পশ্চিমবঙ্গের জল পাওয়ার যে ব্যবস্থা আছে, নতুন চুক্তিতে সেটা সব সময়ের জন্য থাকুক, এমনটাই চাইছে নবান্ন।  
3Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা