কলকাতা

শুধু বেতন নয়, এবার কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি-সম্মান চাই নতুন প্রজন্মের,  দাবি সমীক্ষা রিপোর্টে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কর্মীরা কাজ করেন কেন? সহজ উত্তর, বেতন পান বলে। নতুন প্রজন্মের কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের এই ধারণার শিকড় কি ক্রমশ আলগা হচ্ছে? মাস শেষে মাইনে পাওয়াই কি কর্মজীবনের শেষ কথা? কর্মস্থলে জেনারেশন ‘জেড’-এর মানসিকতার তল পেতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল চাকরি সংক্রান্ত নামজাদা এক উপদেষ্টা সংস্থা। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই প্রজন্ম বেতনকেই ‘পাখির চোখ’ করছে না। নতুন কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েই দেখতে চাইছেন, দীর্ঘমেয়াদে অর্থাৎ চাকরির বাদবাকি জীবনে তিনি ঠিক কোথায় দাঁড়াবেন। কেরিয়ারের উচ্চতা কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে, তার একটা স্বচ্ছ ধারণা তাঁরা পেতে চাইছেন কর্মজীবনের শুরুতেই। তার জন্য যা যা করণীয়, তাঁরা করতে প্রস্তুত। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্য ঠিক রাখতে পারলে মাস শেষে অর্থ এমনিই আসবে। তাছাড়া, শুধু কাজের জায়গাকে আঁকড়েই জীবন কাটাতে চান না এই প্রজন্মের কর্মীরা। তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনকে একইভাবে গুরুত্ব দিতে চান। তাই নয়া প্রজন্ম চায় কাজের ধারাবাহিক স্বীকৃতি। একসঙ্গে অনেকে মিলে কাজ করার আনন্দ। অর্থাৎ টিমওয়ার্কেই ভরসা, বলছে সমীক্ষা। 
দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলিতে একেবারে নয়া প্রজন্মের কর্মীর হার গড়ে ২৭ শতাংশ। মোট ১০ হাজার কর্মীর উপর করা সমীক্ষাটি জানাচ্ছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনের মতামত, বেতনই শেষ কথা নয়। ভালো জায়গায় কর্মী হিসেবে যোগ দিয়ে একজন ভালো ‘বস’ পাওয়া এবং তাঁর থেকে কাজ শেখাকে গুরুত্ব দিতে চান এই প্রজন্মের কর্মীরা। ৭৪ শতাংশ কর্মী দাবি করেছেন, তাঁরা কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ চান। সেই সঙ্গে তাঁরা চান, ধারাবাহিকভাবে তাঁদের কাজ বা সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কোনও একসময় কদর করা হবে, এই মানসিকতায় স্থিত হতে চাইছেন না তাঁরা। কর্মীদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি যেন মেলে। ঘড়ি ধরে চিরাচরিত কাজের বাইরে গিয়ে নিজস্ব চিন্তাভাবনা কাজে লাগানোর জন্য একটা স্বতঃস্ফূর্ততার পরিমণ্ডল আশা করেন নবতম প্রজন্মের সিংহভাগ কর্মী। সমীক্ষায় ৬৮ শতাংশ কর্মী দাবি করেছেন, তাঁদের কাজের জায়গা যেন শুধু অফিসের চৌহদ্দিতে আটকে না থাকে। বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে কাজ করলে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ে, দাবি নয়া প্রজন্মের। 
কর্মীরা তো চাইছেন। কিন্তু কর্মদাতা সংস্থা সেই তত্ত্ব মানছে কি? অপর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে সদর্থক ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কর্মীদের মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দিতে এগিয়ে আসে ৭৯ শতাংশ সংস্থা। কর্মীদের মানসিক শান্তিতে রাখলে কাজের গুণমান বাড়ে, এই তত্ত্ব গুরুত্ব পায় তাদের কাছে। মজার বিষয়, ছোট সংস্থাগুলিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। সেই হার ৯৮ শতাংশ। মাঝারি আকারের সংস্থায় সেই হার ৯৫ শতাংশ। বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হার অনেকটাই কম।
5h 5m ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো রোগের আকস্মিক বৃদ্ধিতে ভুগতে হতে পারে। অর্থাগমের ক্ষেত্রটি কমবেশি শুভ। জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     December,   2024
দিন পঞ্জিকা