রাজ্য

জলের টাকা বন্ধের নয়া চক্রান্ত কেন্দ্রের,  পাইপলাইনের জমি দিতে বাহানা, বঞ্চিত ১০ লক্ষ বঙ্গবাসী 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। তার প্রায় এক বছর পর ওই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয় বাংলায়। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯৩ লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার গড়িমসিতে আরও অন্তত ১০ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ রেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, ইসিএল, ডিভিসির মতো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলি পাইপলাইন বসানোর জন্য জমি ব্যবহারের অনুমতি দিতে বিস্তর বাহানা করছে। এখান থেকেই উঁকি দিচ্ছে নয়া আশঙ্কা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাড়িতে জলের সংযোগ দিতে পারেনি রাজ্য সরকার—এই ছুতোয় ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের প্রাপ্য থেকেও বাংলাকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত চলছে বলে মনে করছেন অনেকে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায়, কেন্দ্রের অধীন বিভিন্ন সংস্থা তাদের জমির উপর দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ায় অনুমতি ঝুলিয়ে রেখেছে। তাই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর প্রায় ১০ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দিতে পারছে না। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, রেল, গেইল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, ডিভিসি, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, ইসিএলের মতো সংস্থাগুলি সময়ে অনুমোদন দিলে এতদিনে অনায়াসে আরও ১০ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া যেত। মোট উপভোক্তা সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যেত। এক আধিকারিকের কথায়, ‘স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাগড়া দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাই—এমন খুব একটা দেখা যায় না।’ এই সূত্রেই আশঙ্কা, আগামী দিনে জল জীবন মিশনের বরাদ্দ থেকেও কি বাংলাকে বঞ্চিত করতে চায় কেন্দ্র? 
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, জমি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির নিজস্ব একাধিক স্পর্শকাতর ইস্যু থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নির্ভর করে শীর্ষস্তরের নীতি নির্ধারণের উপর। ফলে পুরোটাই সময়সাপেক্ষ। রাজ্য প্রশাসনের পাল্টা বক্তব্য, সেক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া যেত। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানান, পাইপলাইনের জন্য জমি চেয়ে সংস্থাগুলিকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার একটা নয় একটা কারণ দেখিয়ে তারা নতুন করে কোনও তথ্য বা নথি চেয়েছে। তারপরও লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। দিনের পর দিন ঝুলেই রয়েছে অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি।’ তাই এই সমস্যা সমাধানে এবার রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, পাইপলাইনের জল ‘চুরি’ বা ‘কাটা জল’-এর কারসাজি চালানোর অভিযোগে রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৬ হাজার ৮৩টি ঘটনা চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এফআইআর দায়ের হয়েছে ৩৯৪টি।
4h 4m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো রোগের আকস্মিক বৃদ্ধিতে ভুগতে হতে পারে। অর্থাগমের ক্ষেত্রটি কমবেশি শুভ। জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     December,   2024
দিন পঞ্জিকা