দেশ

উৎপাদনের গতি কমলেও অপরিবর্তিত থাকতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার

নয়াদিল্লি: পীযূষ গোয়েল থেকে শুরু করে নির্মলা সীতারামন। ঋণে সুদের হার কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রী। কিন্তু খাদ্যসামগ্রী সহ জিনিসপত্রের আগুন দামের কারণেই যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা কমাতে পারছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক স্পষ্টই বলেছে, তাদের মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। ঋণে সুদের হার কমালে বাড়বে নগদের জোগান। ফলে মাথাচাড়া দেবে মুদ্রাস্ফীতি। অথচ ওই হার না কমালে আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি দেওয়া যাবে না বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই উভয় সঙ্কটের মধ্যে আগামী ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের মানিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি)-র বৈঠক। কিন্তু এই বৈঠকে সুদের হার অর্থাৎ রেপো রেট আরও একবার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ব্যাঙ্কের নির্ধারিত বিপদসীমার অনেকটাই উপরে রয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বেঞ্চ মার্ক সুদের হারগুলি কমাতে পারে। কিন্তু এখন বিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে কাঁটা বিছিয়ে মুদ্রাস্ফীতি। গত অক্টোবরেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনাভিস বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চলতি অনিশ্চয়তা ও মুদ্রাস্ফীতি মাথা তোলায় সুদের হারের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থাই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গত দুমাস মুল্যবৃদ্ধি ৫.৯ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এরফলে মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাসেও সংশোধন ঘটাতে পারে আরবিআই। এখনও পর্যন্ত তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়েও বেশি রয়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হারও গোত্তা খেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই দুটি ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস কেমন হয়, সেটাই এখন দেখার। 
ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার গত দু’বছরের মধ্যে তলানিতে নেমেছে। উৎপাদন ও খনি ক্ষেত্রে অধোগতির জেরে চলতি অর্থবর্ষের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি জিডিপি বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতি দেশের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। এরইমধ্যে কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আরও একটি পরিসংখ্যান। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত সোনায় গয়না রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ সংগ্রহের হার ৫০.৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। মোট বকেয়া স্বর্ণ ঋণের পরিমাণ ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক ভিত্তিতে তা ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই হার ছিল ১৩ শতাংশ। সেই অর্থ ওই সময় পর্বে ব্যক্তিগত ঋণের বৃদ্ধির হার ৫.৬ শতাংশ। 
4h 4m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো রোগের আকস্মিক বৃদ্ধিতে ভুগতে হতে পারে। অর্থাগমের ক্ষেত্রটি কমবেশি শুভ। জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     December,   2024
দিন পঞ্জিকা