নানারকম

নাটকের আলোচনা: সানাইয়ের করুণ সুর

প্রত্যেক বিয়েবাড়ির নেপথ্যে অনেক সুখ দুঃখের কাহিনি থাকে। তাই বোধহয় সানাইয়ের সুর এত করুণ। ‘নহবত’ নাটক সেই বিয়েবাড়ির গল্প বলে। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই নাটক এক সময় কলকাতার থিয়েটার হলগুলিতে টানা কত রজনী যে পার করেছে তা প্রবীণরা জানেন। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই নাটকে প্রতি সন্ধ্যায় থিয়েটার পাড়া গমগম করত। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে আবার সেই তপন থিয়েটারে নহবত মঞ্চস্থ হল ঢাকুরিয়া জীতেন্দ্র স্মৃতি চক্রের প্রযোজনায়। এক সময় নহবত টানা বারোশ রজনী পার করেছিল এই তপন থিয়েটারেই। 
স্মৃতির সরণী বেয়ে সব্যসাচী-রেখা আবার মঞ্চে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে। সব্যসাচী পেশায় মিউজিক কম্পোজার। সে রেখাকে জীবনসঙ্গী করার অঙ্গীকার করে। পেশাদার জগতে ব্যস্ত থাকার মাঝে কেটে গেছে অনেকটা সময়। এদিকে রেখা হাত রাখছে অন্যজনের হাতে। মঞ্চে বিয়েবাড়ির আবহ। বর এসেছে। বরকর্তা বরের জ্যাঠামশাই। যে ‘মিলিটারি জ্যাঠা’ নামে পরিচিত। বিয়েতে বসার আগে দাপটের সঙ্গে সে জানায়, পণের টাকা না দিলে বিয়েতে বসবে না পাত্র। আনন্দ উৎসবের দিনে যেন বজ্রপাত। দিগভ্রান্ত কনের বাবা অক্ষয়। বাল্যবন্ধু জ্ঞান চৌধুরী অক্ষয়ের পাশে দাঁড়ায়। ঘটনার পর ঘটনায় নাটক জমজমাট। শেষে আনন্দের মাঝে বিরহের সমাপন। 
পরিচালক তথা অভিনেতা বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় মঞ্চ নির্মাণে চমক দেখিয়েছেন। মঞ্চে বিয়েবাড়ির যে আবহ তৈরি করেছেন সেখানে দর্শকরা নিমন্ত্রিত অতিথি হয়ে উঠেছেন। তাই হয়তো বরপক্ষের পুরুত মশাইকে খোঁজার সময় তাঁকে দর্শকাসনে দেখা যায়। মিলিটারি জ্যাঠা (বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়) নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। অভিনয়ে তিনি সফল। জ্ঞান চৌধুরী (সুব্রত মজুমদার) জ্যাঠার সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছেন অভিনয়ে। অনন্তবাবুর (বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য) মতো চরিত্র না থাকলে আবার বিয়েবাড়ি জমে না। দারুণ ভাবে উপস্থাপনা করেছেন বিশ্বনাথ। বিশেষত তাঁর সংলাপ বলার ধরন দর্শকদের আনন্দ দেয়। ঘেঁটু (পার্থ দাস) নাটকে এক অন্যতম চরিত্র। বয়সে বড় হলেও তার ছেলেমানুষী অভ্যাসের বদল হয়নি। এই কঠিন অভিনয় দারুণ ভাবে উতরেছেন পার্থ। বরের পুরুতের (অর্ণব ঘোষ) কথা না বলেই নয়। চরিত্রটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন অভিনেতা। চেহারার সঙ্গে চরিত্র বেশ মানানসই। বড় জামাই (শ্যামল চক্রবর্তী), বড় মেয়ে নেলীও (দেশনা নন্দী) সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই নাটকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কেয়া (রিমি গাঙ্গুলি)। নাটকের টুইস্ট তাঁর মাধ্যমেই হয়। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে এই চরিত্রে অভিনয় করতেন আরতি ভট্টাচার্য। সব্যসাচী (প্রান্তিক চট্টোপাধ্যায়) নাটকের প্রথম ও শেষ অঙ্কে থাকলেও তাঁর উপস্থিতি অনেক বার্তা বহন করে। রমা (সুরভি মিত্র), মেজ জামাই (সঞ্জয় দে) উপেন পুরুত (দেবাশীষ ঘোষ)-এর অভিনয় ভালো লাগে। অক্ষয়ের চরিত্রে অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় যথার্থ। গানে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোয় বাবলু সরকার ও মঞ্চে অভিজিৎ নস্কর নাটকটিকে দারুণ ভাবে বেঁধেছেন। আঙ্গিকের বদল না করেও নাটকটির সফল রূপায়ণ করা হয়েছে। 
তাপস কাঁড়ার
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা