অমৃতকথা

চিঠি

আলমোড়ায় আবস্থানকালে মহাপুরুষজী শ্রদ্ধেয় মাস্টার মহাশয়কে কয়েকখানি চিঠি লিখিয়াছিলেন; তাহার মধ্যে ২৭।১০।১৩ তারিখের চিঠিতে রহিয়াছে, “আপনার চিঠি পাইয়া সাতিশয় আনন্দিত হইয়াছি—বিশেষ করিয়া আপনি মঠেই বাস করিবার সংকল্প করিয়াছেন জানিয়া। আপনার ন্যায় শ্রীপ্রভুর একজন প্রিয় সন্তানকে মঠের অঙ্গরূপে পাইয়া আমরা সকলেই বিশেষ আনন্দিত। ইহাতে মঠবাসীদের এবং আপনার উভয়পক্ষেরই মহাকল্যাণ হইবে। আপনার পরিবারবর্গের এবং কলিকাতাস্থ ছাত্র ও শিক্ষিত-সমাজের সন্মুখেও উহা এক উচ্চাদর্শ স্থাপন করিবে। আপনার শুভ সংকল্পের সংবাদে যে কি পরিমাণ আনন্দিত হইয়াছি তাহা এইপ্রকার একটি ক্ষুদ্রপত্রে প্রকাশ করা সম্ভবপর নয়! আপনি কিছুদিন মঠে বাস করিলেই বুঝিতে পারিবেন যে মঠসংক্রান্ত যাবতীয় কাজের কত বড় দায়িত্ব আপনার উপর নির্ভর করিতেছে।”
কয়েকমাস পরে পল্টুবাবুরা আলমোড়া হইতে চলিয়া আসেন কিন্তু মহাপুরুষজী ঐস্থানেই রহিয়া গেলেন। তিনি ঐসময় কি ভাবে তথায় থাকিতেন তাহা গল্পচ্ছলে একদিন হাসিতে হাসিতে বলিয়াছিলেন, “চিলকাপেটা হাউসের আউট হাউসটাতে (বহির্ভাগে) থাকতাম—ওখানেও একটি পাহাড়ী কুকুর কোত্থুকে জুটে গিয়েছিল। কুকারে নিজেই রান্না ক’রে খেতাম—ডালভাত আর একটা ঝোল। ডালের জলটা আমি খেতাম, আর ঘন ডাল আর ভাত মেখে কুকুরটাকে দিতাম। ও বেটাও তাই খেয়ে ওখানে পড়ে থাকত। শীতের সময় বড় ঠাণ্ডা—চারিদিকে বরফ পড়ে। আমি কুটীরের ভিতরেই থাকতাম, নেহাৎ দরকার না হ’লে বেরুতাম না। পাশের বাগানে একজন মালী ছিল—কোন কিছু দরকার হ’লে তাকে দিয়ে আনিয়ে নিতাম। বেশ থাকতাম ওখানে, কোন কষ্ট হ’ত না—আনন্দে ছিলাম।” ঐ সময়ের কয়েকখানি চিঠিতে তাঁহার মনের অবস্থার কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়, আর জানিতে পারা যায় তাঁহার অহংশূন্যভাব কত গভীর ছিলঃ “তুমি আমার জীবনসম্বন্ধে জানিতে চাহিয়াছ—আমার জীবনে এমন কোন বিশেষ ঘটনা নাই যাহা লিখিবার যোগ্য। তবে এক বিশেষের অপেক্ষাও বিশেষ ঘটনা আছে—তাহা শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রীচরণদর্শন ও তাঁহার কৃপালাভ—সেও তাঁহার নিজগুণে! আমার এমন কোন গুণ ছিল না যদ্দ্বারা তাঁহার কৃপালাভ করিতে পারি। তিনি ইচ্ছা করিয়া আমায় দয়া করিয়াছেন—এইমাত্র ঘটনা জীবনে।” অন্য চিঠিতে আছে, “আমি শ্রীরামকৃষ্ণের চরণাশ্রিত দাস—এইমাত্র জানি। তিনি দয়া করিয়া যখন তাঁর স্মরণ করান তখন তাঁর স্মরণ করি, যখন পাঠ করান তখন পুস্তকাদি পাঠ করি বা কাহারও কাহারও সহিত ধর্মকথা আলাপ করি—এই আমার কাজ। ভরসা একমাত্র শ্রীরামকৃষ্ণের কৃপা—সে সম্বন্ধে নিশ্চয় আছে; আর এজীবনে আমার কিছুই নাই এবং কিছুর আকাঙ্ক্ষাও নাই তাঁর কৃপায়। আমি এখন প্রভু যেখানে রাখিবেন সেখানেই থাকিব—নিজের কর্তৃত্ব কিছুই নাই; প্রভু যেরূপ করাবেন, তাই করিব।”
স্বামী অপূর্বানন্দের ‘মহাপুরুষ শিবানন্দ’ থেকে
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৮০ টাকা৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৬ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.০০ টাকা৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা