উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
টবে সব্জি চাষের সেক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তি অবলম্বন করাই ভালো। এতে সব্জির গুণমান উন্নত হয়। বাজারে জলে গোলা জৈব সার পাওয়া যায়। টবে সব্জি চাষে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগপোকা দমনে নিমের নির্যাস প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়। লাল বাঁধাকপি, চীনা বাঁধাকপি, লেটুস, পার্সলে মূলত স্যালাড হিসেবে খাওয়া হয়। বড় বড় রেস্তোরাঁয় দারুণ চাহিদা। ব্রকোলির গুণ প্রচুর। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। বাজারে ভালোই দাম। ব্রকোলির উন্নত জাত, পাঞ্জাব ব্রকোলি-১, প্যাকম্যান, প্রিন্সেস, পাইরেট, ইউনিভার্সাল, ফিয়েস্টা প্রভৃতি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি চাষের সময়। ২ মাসে ফলন পাওয়া যায়। লাল বাঁধাকপির উন্নত জাত, রেড কুইউ, রেড সান, রেড গ্লোব, সুরেখা প্রভৃতি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি চাষের সময়। ফলন পেতে সময় লাগে ৭৫ দিন। চীনা বাঁধাকপির উন্নত জাত, ট্রপিক প্রিন্স, ট্রপিক সান, ট্রপিকানা, বিএসএস-১৯০ প্রভৃতি। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি চাষের সময়। ৫০ দিনে ফলন পাওয়া যায়। পার্সলের উন্নত জাত, ফরেস্ট গ্রিন, ফরেস্ট শেরউড, হামবার্গ, মস-কার্লড প্রভৃতি। চাষের সময় অক্টোবর থেকে জানুয়ারি। ৬৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়।
চেরি টম্যাটোর উন্নত জাত, গার্ডেন বিউটি, ৩৬৬ প্রভৃতি। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর চাষের সময়। ৭৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়। লেটুসের উন্নত জাত, গ্রেট লেক, আইসবার্গ, এভারগ্রিন, অগস্টাস প্রভৃতি। চাষের সময় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। ২ মাসে ফলন পাওয়া যায়। সেলেরির ভালো জাত, নোভেল্টি, গ্রিন জায়েন্ট, স্ট্যান্ডার্ড বিয়ারার প্রভৃতি। চাষের সময় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। ৭৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়। পাকচই-এর ভালো জাত, প্লুটো, গ্রিন বেবি, গ্রিন বয়, হোয়াইট বয় প্রভৃতি। চাষের সময় আগস্ট থেকে ডিসেম্বর। ৬৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার উদ্যানপালন আধিকারিক শুভদীপ নাথ জানিয়েছেন, ঘরোয়া সব্জি বাগানের ক্ষেত্রে পাতাপচা বা গোবর সার প্রয়োগ করা সবথেকে ভালো। জমি তৈরির সময় নিম খোল দিতে পারলে রোগপোকা প্রতিরোধ করা যায়।
সুস্থ-সবল চারা লাগাতে হবে। পিঁপড়ের উপদ্রব থাকলে বাগানের চারদিকে কেরোসিন মেশানো ছাই ছিটিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। ক্লোরোপাইরিফস বা কার্বারিলের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলেও কাজ হবে। উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাগানের উত্তরদিক বরাবর বড় গাছ বা মাচার ফসল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক বরাবর ছোট গাছ লাগাতে হবে। সব্জির খোসা, বাগানের লতাপাতা, ফসলের অবশিষ্টাংশ পচিয়ে সার তৈরি করা যেতে পারে। শিম্ব গোত্রের গাছের পাতা কাঁচা গোবরের সঙ্গে পচিয়ে তরল সার তৈরি করা যায়। সহজে পচে এমন পাতা কিছুদিন বাগানে রেখে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ে।
যাঁরা ঘরোয়া বাগানে বেগুন, লঙ্কা, কুমড়ো জাতীয় সব্জি ফলিয়ে থাকেন, তাঁদের সবসময় রোগপোকা সহনশীল ও উন্নত জাতের বীজ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন উদ্যানপালন আধিকারিকরা।