শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জেলা কৃষি আধিকারিক মীর ফারহাদ হোসনে বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে রবি ও খারিফ শস্য চাষের মরশুমে কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের এক একর বা তারও বেশি জমি রয়েছে তাঁরা বছরে দু’ভাগে ২৫০০ টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা পারেন। যাঁদের একএকরের কম জমি আছে তাঁরা জমির পরিমাণ অনুসারে ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে বছরে দু’ভাগে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পাবেন। আমরা কৃষকদের মৃত্যুকালীন টাকাও দেব। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সেই দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। কৃষকদের এখন থেকে পূর্ব পুরুষদের জমি নিজেদের নামে মিউটেশন করাতে কোনও টাকা লাগবে না।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসমস্ত কৃষককের নিজের নামে জমির পরচা রয়েছে এবং যাঁরা নথিভুক্ত বর্গাদার শুধুমাত্র তাঁরাই কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন। এই দু’টি নথি রয়েছে জেলার এমন সকল কৃষকই এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। রায়গঞ্জের উদয়পুরে কৃষকবাজারে রায়গঞ্জ মহকুমার কৃষকদের আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হবে। একইভাবে জেলার সব ব্লকেই এদিন দু’টি করে মৌজায় এই কাজ শুরু হবে। ধীরে ধীরে সমস্ত জায়গাতেই এই প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হবে। যেভাবে কৃষকরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাতে থাকবেন সেঅনুসারে কৃষিদপ্তর তাঁদের চেক প্রদান করবে। রবি শস্যের আগে এই টাকা প্রদানের পর আগামী জুন, জুলাই মাস নাগাদ খরিফ শস্য চাষের আগে আবার প্রকল্পের বাকি টাকা কৃষকদের দেওয়া হবে।
একইভাবে অন্য দু’টি ক্ষেত্রের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও কৃষকের নিজের নামে জমির পরচা থাকতে হবে। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে যদি কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে কৃষি দপ্তর থেকে তাঁর পরিবারকে এককালীন দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর তারিখ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ধরা হবে। এই সময়কালের মধ্যে কৃষকের মৃত্যু হলে পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করলে টাকা পাওয়া যাবে। কোনও কৃষকের জমি যদি তার পূর্বপুরুষের নামে থাকে এখন তা নিজের নামে মিউটেশন করাতে কোনও টাকা লাগবে না। চাষিরা ভূমিদপ্তরে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়ে জমি নিজের নামে মিউটেশন করাতে পারবেন। ওই কাজ জেলার ভূমিদপ্তরে শুরু হয়ে গিয়েছে।