সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
মায়ের সিনেমার প্রমোশনে মেয়ে? এমনটা তো সচরাচর দেখা যায় না।
(হেসে) ঋষণার এখন স্কুল ছুটি। সিঙ্গাপুর থেকে এবার নিয়ে এসেছি। চট করে ও কোথাও যেতে চায় না। আমার মাও তো এসেছেন। দিদিমার সঙ্গে আসতে চাইল। আমিও বললাম চলো।
আকরিক এর অনেকটাই জুড়ে আছে মা সন্তানের সম্পর্ক।
হ্যাঁ, আমার অভিনীত চরিত্রের নাম সৃজিতা। সিঙ্গল মাদার। পেশায় চিত্রনাট্যকার। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা, মনোমালিন্য দুটোই আছে। আমি নিজে এমন জীবন কখনও যাপন করিনি। চরিত্রটা খুব আলাদা লেগেছিল। তাছাড়া ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকদিন পর কাজ করার আগ্রহ তো ছিলই। তথাগতর বিষয় ভাবনাও অন্যরকম।
যৌথ পরিবার ভেঙে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি, সিঙ্গল পেরেন্টিং— সম্পর্কের বাঁধন ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে কি?
হচ্ছে তো বটেই। আমি একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি। ঠাকুমা, কাকা, কাকিমা- এই সম্পর্কগুলো আমার বড় প্রাপ্তি। এখন সব নিউক্লিয়ার পরিবার। সেখানে প্রাইভেসিটাই মুখ্য। কিন্তু এই প্রাইভেসি শব্দটার মধ্যে কত একাকীত্ব লুকিয়ে আছে...।
এত কর্মব্যস্ততার মধ্যে আপনারা তিন প্রজন্ম একসঙ্গে।
মা-ই পারে সন্তানের জন্ম দিতে পারে। সেই নাড়ির টান থেকেই একটা একটা করে সম্পর্কের জন্ম হয়। আমার মায়ের প্রায় আশি বছর বয়স হয়ে গেল। নাতি, নাতনি নিয়ে দিব্যি আছে। আমিও সবাইকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসি।
সময়ের শাসনকে অস্বীকার করবেন কী করে?
এই মুহূর্তে আমার কাজের পরিধি কলকাতা, মুম্বই, বাংলাদেশ জুড়ে। সিঙ্গাপুরে সংসার। কলকাতায় সিনেমার সংসার। তার উপর নিজের প্রোডাকশনের কাজ। ছেলে পড়াশোনার জন্য বিদেশে। ভীষণ মিস করি অঙ্কনকে। মেয়েকে তাই যতটা পারি সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাছে একা হয়ে যাওয়ার চেয়ে সবকিছু নিয়ে ছুটে চলাটাই কৃতিত্বের।
সম্পর্কের বাঁধন বাঁচিয়ে রাখতে আপনার মন্ত্র কী?
তাগিদ। সম্পর্ক বাঁচিয়ে বা বজায় রাখার জন্য তাগিদটা খুব জরুরি।