সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জেলায় প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগে একজন করে মারা যান। চলতি বছর নতুন করে যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়েছে প্রায় ২২০০ জনের শরীরে। জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে যক্ষ্মার চিকিত্সা চলছে ৫ হাজার ৫৯ জন রোগীর। এরমধ্যে এমডিআর টিবি (মাল্টি ড্রাগ রেসিস্ট্যান্স টিউবারকুলসিস) বা প্রতিরোধী যক্ষ্মা ধরা পড়েছে প্রায় ৭০ জনের শরীরে। জেলা যক্ষ্মা আধিকারিক শক্তিপদ মুর্মু বলেন, সাধারণত কোনও ব্যক্তির টানা দু’সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা, অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে টিবি সন্দেহ করা হয়। ডিজিটাল এক্সরেতে থুতুর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয় তাতে টিবির জীবাণু রয়েছে কি না। তাতেও ধরা না পড়লে ন্যাট পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের নির্ণয় করা হয়। নিয়মিত ওষুধ খেলে সাধারণত ছ’মাসের মধ্যেই টিবি রোগ সেরে যায়। চিকিত্সকদের কথায়, অনেকক্ষেত্রে যক্ষ্মা রোগীরা ছ’মাস ওষুধ খাওয়ার পর আপাত সুস্থ বোধ করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগ এমআরডি টিবি হয়ে ফিরে আসে। আবার অনেকে টিবি আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় থেকে রোগ বাড়িয়ে তোলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, যক্ষ্মা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিত্সকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খেলে সাধারণত যক্ষ্মা সেরে যায়। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার অনিয়মেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যক্ষ্মার জীবাণু। বিশ্ব যক্ষ্মাদিবস পালিত হচ্ছে ঝাড়গ্রাম শহরে। নিজস্ব চিত্র