সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
বিগত যৌবনা দেহপসারিনী হরিমনির অভিসন্ধি কোনও অর্থবান বাবুর হাতে তার সুন্দরী, শিক্ষিতা সদ্য যুবতী মেয়েকে সঁপে দিয়ে নিজের খাওয়া পরার সংস্থান নিশ্চিত করা। নলিনী গোঁড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে চন্দনের প্রেমে পড়ে যায়। ভুল শুধরে নিজের স্বার্থসিদ্ধির তাগিদে মরিয়া হরিমনির ষড়যন্ত্র শেষ পর্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে। বিষয়টি আজও প্রাসঙ্গিক। সেদিনের সুর আজকের সিম্ফোনিতে কম্পোজ করা পরিচালকের বড় কৃতিত্ব। তবে শেষ দৃশ্যে পরিচালক মৃত্যুর মিছিলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন আতিশয্যহীন আবেগে। হিরণ মিত্রের মঞ্চ ভাবনা অন্যরকম। ছোট ছোট ক্যানভাসে নবজাগরণের শেষ রেশটুকু নিয়ে জেগে থাকা কলকাতা, বাবু-বিবির কলকাতা, ঠুংরি, টপ্পায় মজে থাকা কলকাতা, সাধারণ রঙ্গালয়ে টিকিট কেটে নাটক দেখা শহুরে কালচারকে চমৎকার তুলে ধরেছেন তিনি। হরিমনির ভূমিকায় ছন্দা চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় এই নাটকের সম্পদ। গোটা মঞ্চ দাপিয়ে এক বৃদ্ধা বারবণিতার অসহায়তা, দারিদ্র, তেজ, কূটনীতি, মমতা ও স্বার্থপরতার প্রতিটি মুহূর্ত নেচে, গেয়ে, উচ্চারণে আর উল্লাসে এঁকে গেলেন সাবলীল দক্ষতায়। নলিনীর চরিত্রে মৌমা নষ্কর সুন্দর। অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের গান বড় প্রাপ্তি।