সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
শিলিগুড়ির অ্যাডিশনাল ডেপুটি পুলিস কমিশনার শুভেন্দ্র কুমার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সন্ধান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মধুচক্রের বিরুদ্ধে কয়েকমাস ধরেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিস। তিনমাস আগে তারা প্রধাননগর সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকদিন আগে বিহার থেকেও চক্রের এক পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিস। এবার তারা বড়ধরনের সাফল্য পেল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন চক্র চালানোর অভিযোগে বিহার থেকে অখিলেশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওর দেওয়া তথ্য অনুসারেই ভক্তিনগর থানার দুর্গানগর থেকে ললিতা বর্মন ওরফে চন্দনাকে পাকড়াও করা হয়েছে। সে চক্রের অন্যতম মক্ষীরানি। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অফিসাররা জানান, ধৃত মহিলা দুর্গানগরে একটি ফ্ল্যাটে থাকত। বিভিন্ন রকম টোপ দিয়ে সে মধুচক্রে মহিলাদের শামিল করত। ধৃতের হয়ে কাজ করে বেশকয়েজন মহিলা। যাদের মধ্যে কারও বাড়ি স্থানীয় এলাকায়। আবার কারও বাড়ি শিলিগুড়ির বাইরে। বিভিন্ন ফাঁকা বাড়িতে, ফাঁকা ফ্ল্যাটে, বিউটি পার্লারে মধুচক্রের আসর বসাত বলে অভিযোগ। এরবাইরে সে অনলাইনে সেক্স র্যাকেটের জাল বিস্তার করেছিল। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের নম্বর ছড়ানো ছিল। এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করত বিহারের অখিলেশ।
শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নেটওয়ার্ক অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। শুধু শিলিগুড়ি নয়, বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে ধৃতের নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি সে পুলিসের নজর এড়াতেই একাধিক নাম নিয়ে র্যাকেট নিয়ন্ত্রণ করত। এখনও পর্যন্ত ধৃতের দু’টি নাম জানা গিয়েছে। হয়তো র্যাকেটে ধৃতের আরও নাম রয়েছে। তাই তদন্তের জন্য ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন আদালতের কাছে জানানো হয়। আদালত ধৃতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ধৃতকে ১০ দিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।