সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
বুধবার পুরকর্তৃপক্ষ বাজেট পেশ করে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ বাজেট নিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করতে অনুমতি দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈনকে। বাজেটকে কাল্পনিক আখ্যা দিয়ে তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড অফিস তৈরি নিয়ে ঝামেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এ নিয়েই জোরালো আপত্তি করেন শাসকদলের কাউন্সিলাররা। এরপর বিজেপি কাউন্সিলাররা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, বাজেট নিয়ে বিজেপির কিছু বলার নেই। তাই পরিকল্পিতভাবে বাজেট বহির্ভূত বিষয় তুলে ওরা সভা ত্যাগ করেছে। এটা গুরুত্ব দিচ্ছি না। তৃণমূল কাউন্সিলার রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, বিশাল অঙ্কের বাজেট দেখে ভয়ে ওরা ময়দান ছেড়ে পালিয়েছে। পরে বিরোধী দলনেতা বলেন, এটা কাল্পনিক বাজেট। তাছাড়া অফিস দখলের রাজনীতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওরা কণ্ঠরোধ করে। তাই আলোচনা সভা ওয়াকআউট করেছি। এদিকে সভায় বাজেট নিয়ে সমালোচনা করে সিপিএম। প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম কাউন্সিলার মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২২-’২৩ আর্থিক বছর পেশ করা হয় ৩১৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার বাজেট। রিভাইস বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় ২৩৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ, পুরকর্তৃপক্ষ বাজেটে বরাদ্দ প্রচুর টাকা ব্যয় করতে পারেনি। যারমধ্যে পূর্ত ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ অন্যতম। এবার বিশাল অঙ্কের বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাতে বস্তি উন্নয়ন তেমন গুরুত্ব পায়নি। রিভাইস বাজেটে এই অর্থও কমে যাবে। তাই এটা অবাস্তবিক বাজেট। এতে আমরা সমর্থন করছি না। সভায় কংগ্রেস কাউন্সিলার সুজয় ঘটকও বাজেটকে সমর্থন জানাননি।
সভায় তথ্য দিয়ে সিপিএমের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, ওদের সময়ও বাজেটে বরাদ্দ প্রচুর টাকা খরচ হয়নি। বস্তি উন্নয়নও মার খেয়েছে। শেষে মেয়র বলেন, বাস্তবের সঙ্গে স্বপ্নের সামঞ্জস্য রয়েছে। যাঁরা স্বপ্ন দেখে না, তাঁরা বড় কাজ করতে পারে না। আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। এ জন্যই এমন বাজেট করতে পেরেছি। এরপর শাসকদলের ৩৭ জন কাউন্সিলার হাততালি দিয়ে বাজেটকে সমর্থন জানান।
নিজস্ব চিত্র