সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
বালি ও গোরু পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ফাঁসিদেওয়া ব্লক এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিস। কয়েকদিন ধরে তারা এখানকার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে তারা ব্লকের পাহাড়গুমিয়া চা বাগান সংলগ্ন পাথর হেরহেরিয়ায় চেঙ্গা নদীর চরে অভিযান চালায়। তখন পুলিসকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এতে একজন এএসআই, দু’জন কনস্টেবল সহ চার পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন। শুধু তাই নয়, পুলিসের ভ্যানও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিসের কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে অগ্নি সংযোগ করার সহ একাধিক ধারায় পুলিস মামলা রুজু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই গ্রাম থেকে গোরু চুরির অভিযোগ আসছিল। এজন্য ওই রাতে গ্রামে টহল দিতে যায় ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিস। তখন তারা অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ পেয়ে চেঙ্গা নদীর চরে অভিযান চালায়। সেই সময় চর থেকে বালি বোঝাই একটি ট্রাক্টর পালানোর চেষ্টা করে। পুলিসের তারা খেয়ে ট্রাক্টরটি কিছুটা গিয়ে উল্টে যায়। পুলিস ভ্যানের চাকাও ফেঁসে যায় চরে। তা হলেও পুলিস কর্মীরা দৌঁড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চালককে আটক করে। তখন এলাকাটি দিয়ে একটি বাইকে দু’জন যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বাইকের নথিপত্র দেখতে চাওয়ায় তাদের সঙ্গে পুলিসের বচসা বাধে। এক-দু’কথায় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিসের উপর চড়াও হন। পুলিস কর্মীরা পালিয়ে যেতেই পুলিস ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিস অফিসাররা বলেন, গোলমালের সুযোগে বালি পাচারকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পেছনে গোরু ও বালি পাচারকারীরা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গ্রামবাসীরা অবশ্য পুলিসের বক্তব্য মানতে নারাজ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিসের মারে ভরিয়াদাঙ্গি গ্রামের প্রকাশ কুজুর গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রকাশের স্ত্রী সবনম এক্কা কুজুর বলেন, বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় পুলিস হেলমেট, বাইকের নথিপত্র চেয়ে স্বামীকে হেনস্তা করেছে। গ্রামের যুবক বন্ধন রবিদাস বলেন, পুলিস স্থানীয় যুবককে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। এঁদের সকলেরই দাবি, পুলিসের ভ্যানে কারা আগুন দিয়েছে, তা জানা নেই।