সোহম কর, কলকাতা: এপ্রিলেই উত্তরবঙ্গে শাখা খুলতে চলেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সূত্রের খবর, পরিকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ। শিলিগুড়ি থেকে এবার ‘অপারেশন’ শুরুর অপেক্ষা। কেন শিলিগুড়ি? এনসিবি সূত্রের খবর, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের করিডর হিসেবে উত্তর-পূর্ব সীমান্তকে ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সেকারণে উত্তরবঙ্গ থেকেই মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে এনসিবি। সূত্রের খবর, লকডাউনের সময় বিশেষ করে ডার্ক ওয়েব ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সীমান্ত থেকে কুরিয়ার মারফত মাদক পাচার বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এনসিবি বেশ কয়েকজন কুরিয়ার, সাপ্লায়ার ও রিসিভারকে গ্রেপ্তার করেছে। সংস্থার কলকাতার আঞ্চলিক অধিকর্তা রাকেশচন্দ্র শুক্লা বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব সীমান্ত থেকে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। গাঁজা, আফিম, হেরোইন সহ সব ধরনের মাদকই পাচার হচ্ছে’। মাদক পাচারে মূলত কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়? সূত্রের খবর, ট্রেন, ট্রাক, বাসে লুকিয়ে পাচার করা হয়। ইদানীং ছোট গাড়িতে করেও মাদক পাচারের প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে পোস্ত ও গাঁজা খেতের সংখ্যাও বাড়ছে বলে খবর। সম্প্রতি ওই এলাকায় এমন বেশকিছু খেত বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি।
রাকেশচন্দ্র শুক্লা বলছিলেন, ‘এনসিবি একা নয়, মাদক পাচার রুখতে রাজ্য পুলিস, রাজ্য আবগারি দপ্তর, বিএসএফ, এসএসবি’র সহযোগিতা অনস্বীকার্য। আমরা সাধারণ মানুষকে সবসময় বলছি, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’