Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। কোনও রাজনীতিক দল নির্বাচনের আগে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং কীভাবে সে ব্যাপারে মানুষকে কনভিন্স করতে পারছে, ঠিক তার উপর নির্ভর করে ভোটযন্ত্রের প্রভাব প্রতিপত্তি। আবার কখনও মনে হয়, এ এক নিখুঁত পারমুটেশনের অঙ্ক। ঘুঁটি সাজিয়ে চলা নিরন্তর... খেলতে জানলে কোনও একটা তো ক্লিক করবে! ঝুঁকি? অবশ্যই আছে। ঠিকমতো অঙ্কটা কষতে না পারলে বেচাল হবেই হবে। ফেলুদার থিওরি ধার করলে অবশ্য রাজনীতিও একরকম জিওমেট্রি। এখানে অবশ্য স্ট্রেট লাইনে চলাফেরার ব্যাপার নেই। সবটাই সাপের মতো এঁকেবেঁকে। উল্টোদিকের দলের স্ট্র্যাটেজিকে ডজ করে এগিয়ে যাওয়া। যত দিন যাচ্ছে, রাজনীতির বিজ্ঞান ততই কঠিন হচ্ছে। প্রযুক্তি বেড়েছে। সঙ্গে মিডিয়ার আনাগোনা। আজ থেকে ৩০ বছর আগে প্রচারে আসাটা যত না কঠিন ছিল, আজ ব্যাপারটা ততই সহজ। গায়ে কত দামি পোশাক চাপাচ্ছেন, হাতে কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরছেন, কী মোবাইল ব্যবহার করছেন... সবটাই দেখছে মিডিয়া। আর প্রচার করছে। শাসক-বিরোধীর লড়াইটাও এখন আর তাৎক্ষণিক নয়। বিস্তর হোম ওয়ার্ক প্রয়োজন। অতীত-বর্তমান ঘেঁটে বের করে আনতে হবে দুর্বল জায়গা। তারপর আঘাত করতে হবে সেখানে। এও এক অক্লান্ত প্রক্রিয়া। থামলে চলবে না। দু’টো ইনিংস শাসনকালের শেষে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বা অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর দেখা দেয়। সেটাই স্বাভাবিক। নরেন্দ্র মোদি জমানাতেও হয়েছে। বহু ফ্লপ নীতি, সংস্কারের অজুহাতে মানুষকে জলে ঠেলে দেওয়া, উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি... প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। তাই তৃতীয় ইনিংসের পরীক্ষায় নামার আগে মোদি সরকারের চ্যালেঞ্জও প্রচুর। কিন্তু সেই তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী? একটি ফর্মুলা—বিজেপির বিরুদ্ধে এক হতে হবে সব বিরোধীকে। তাহলেই ফেলে দেওয়া যাবে সরকার। মোক্ষম অঙ্ক। জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক, এসব তত্ত্বকথার প্রাসঙ্গিকতাই আর নেই নতুন ভারতে। বিজেপিকে হটাতে হলে লড়াই হোক একসঙ্গে। মহাজোট? দরকার নেই। কিন্তু একটা সমঝোতা হলে ক্ষতি কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছর দুয়েক ধরে বলে চলেছেন, ‘যে দল যেখানে শক্তিশালী, সে প্রার্থী দিক ওই কেন্দ্রে। অন্য বিজেপি-বিরোধী দল যেন সেখানে লড়াই করতে না নামে।’ খুব সহজ, কিন্তু কার্যকরী অঙ্ক। কিন্তু সমস্যাটাও যে এখানেই। কেন? কোনও বিরোধী দলই স্বার্থ ছেড়ে বেরতে পারছে না। সবারই অন্তরের প্রশ্ন, আমি কী পাব? আমার লাভ কতটা? আমি কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারব? বাংলায় একটা কথা আছে, গাছে না উঠতেই এক কাঁদি! আমাদের দেশের বিরোধীদের অবস্থা হয়েছে কতকটা সেইরকম। সবাই কতটা সুখী হতে চায় প্রশ্ন থাকতে পারে, সবাই রাজা যে হতে চায়, সে ব্যাপারে সংশয় নেই। 
রাজা হতে চান নরেন্দ্র মোদিও। আরও একবার। তৃতীয়বার। বিজেপিতেও দুটো গোষ্ঠী রয়েছে। এক পক্ষ মোদিপন্থী, অন্যপক্ষ নয়। মোদিপক্ষই অবশ্য সংখ্যায় বেশি। অন্যপক্ষ যেমন দলের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, তাঁরা তেমন নয়। মোদির ভক্তরা ব্যক্তিপুজোয় আস্থাবান। একটা সময় কাঁটাঝোপের মতো দলের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিলেন বাজপেয়িপন্থী নেতানেত্রীরা। তাঁদের প্রায় সবাইকে ক্ষমতার অলিন্দের বাইরে পোস্টিং দিয়ে দিয়েছেন মোদিজি। আরএসএস তাঁর প্রকাশ্য সমর্থক। ফলে দল নিয়ে খুব মাথাব্যথা তাঁর নেই। হঠাৎ করে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পানকৌড়ির মতো কেউ মাথাচাড়া দেবে—সেই ভয় বিজেপিতে নেই। বরং অঙ্কটা কষতে হবে বিরোধী মঞ্চ নিয়ে। আর সেটাই তিনি করছেন। জোরদার পারমুটেশন। দল অনেকগুলো। তাদের মাথাও অনেক। কেউই খুব কম ক্ষমতাবান নন। বরং নিজের নিজের ক্ষেত্রে তাঁদের যথেষ্ট প্রতাপ। ডিএমকের স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ধুঁকতে থাকা অবস্থাতেও আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবির বদলানো নীতীশ কুমার এবং অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আছেন শারদ পাওয়ারও। আসন খুব বেশি পাবেন না, কিন্তু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ঝুলি তাঁর পরিপূর্ণ। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে স্বয়ং সোনিয়া গান্ধীকে বিপাকে ফেলেছিলেন। এখন বিরোধী কুলের কৃপাচার্য হয়ে পরামর্শ বিতরণ করে থাকেন। ফলে মোদিজির পক্ষে সমীকরণ গোছানোটা খুব সহজ নয়। সেক্ষেত্রে উপায় কী? এমন একজন যদি বিরোধী মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, পাবলিকের মধ্যে যাঁর তেমন গ্রহণযোগ্যতাই নেই! কে সেই ব্যক্তি? অনেক খুঁজেপেতেও অবশ্য রাহুল গান্ধী ছাড়া অন্য নাম মাথায় আসবে না। সেখানেই চালটা চেলেছেন মোদিজি। বাকি বিরোধী নেতানেত্রীদের স্রেফ অবজ্ঞা করো। গুরুত্ব দাও রাহুলকে। প্রচার দিয়ে যাও, কিন্তু নেগেটিভ। এটাই স্ট্র্যাটেজি। পাবলিক শুধু রাহুলের নাম শুনবে, কিন্তু ভরসা করতে পারবে না। উল্টোদিকে প্রচারের পাম্প খাবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসও ভাববে, মোদি সরকার ভয় পেয়েছে বলেই রাহুলবাবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আর কেই বা থাকতে পারে!
কংগ্রেস বুঝছে কি না জানা নেই, অন্য বিরোধী দলগুলি কিন্তু এই স্ট্র্যাটেজি বুঝে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো স্পষ্টই বলে ফেলেছেন—রাহুল গান্ধীকে বিরোধী মুখ করে তোলাটাই বিজেপির এজেন্ডা। এতেই ওরা সুবিধা পাবে। ফলে বিরোধী জোটের জ্যামিতিতে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস নিয়ে এই মুহূর্তে মহা সংশয়। রাহুল গান্ধী অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। ভারত জোড়ো যাত্রা বের করছেন, বিলেতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করছেন, সংসদে বলার চেষ্টা করছেন। তাও কোনও কিছুই ক্লিক করছে না। কেন? কারণ একটাই, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভেবে নেওয়াটা অধিকাংশ ভারতবাসীর কাছে এখনও বেশ কঠিন। অন্য বিরোধীরাও নিজেদের মতো ফের সমঝোতার বাতাবরণ তৈরি শুরু করে দিয়েছে। অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কে সি আর, লালুপ্রসাদ যাদব, ফারুক আবদুল্লা... নামের তালিকা বাড়ছে। এঁদের যুক্তি হল, ভোটের আগে জোট দরকার নেই। ‘শক্তি যার, আসন তার’ ফর্মুলায় লোকসভা নির্বাচনটা লড়ে নেওয়া যাক। গত ভোটের নিরিখে বিজেপির ভোটের হার কত? ৩৭ শতাংশ। এই সমঝোতা মেনে লড়তে নামলে বিরোধীদের আসন বিজেপির থেকে বেশি হতে বাধ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পরিষ্কার, কংগ্রেস যদি এই কৌশল মেনে আসতে চায়, আসুক। অখিলেশও একই কথা বলছেন। বাকি থাকল লালুপ্রসাদ যাদব এবং কে সি আর। লালুজিকে একটু হাওয়া দিলে অবশ্য তিনি বা তাঁর দল সোনিয়া গান্ধীর দিকে ঝুঁকে যেতেই পারেন। আর কে সি আর? কখন তিনি শাসকের দিকে ঘুরে যাবেন, সেই শঙ্কা থেকেই বেরতে পারে না অন্য বিরোধীরা। ফলে শঙ্কার মেঘ থেকেই যাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, এই মেঘটাই আরও ঘন এবং বিপজ্জনক করে দেওয়া। নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধীরা যতই মারামারি করবে, ততই তাঁর লাভ। ততক্ষণ সর্বত্র তিনি তাঁর প্রভাব নিশ্চিত করবেন। তবে হ্যাঁ, পারমুটেশনটা একটু বেশি করতে হবে। তিনি কণ্ঠরোধ করবেন বিরোধীদের। সংসদ অধিবেশনে মাইক্রোফোন ‘খারাপ’ হয়ে যাবে। সংসদ টিভিতে স্পিকার বলার সময় শোনা যাবে, কিন্তু বিরোধী এমপিদের বক্তব্য হারিয়ে যাবে প্রযুক্তির অন্ধকারে। বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে-অফিসে এজেন্সি হানা দেবে। মামলা চলবে মাসের পর মাস। সেই এমপি-এমএলএদের বন্দিত্বের মেয়াদও বাড়বে। এরপরও যদি কাজ না দেয়, তিনি স্যামুয়েল অল্টম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন। কে এই অল্টম্যান? ‘ওপেন এআই’য়ের সিইও। তাঁর সংস্থার তৈরি চ্যাটজিবিটি এখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। একের পর এক আপগ্রেডেড ভার্সান তৈরি করছেন তাঁরা। গত ১৪ মার্চ বাজারে এসেছে জিবিটি-৪। হিসেব বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সফ্টওয়্যারটি অন্তত ২০টি চাকরির বাজার শেষ করে দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, আইনজীবী, রিপোর্টার, ট্রাভেল এজেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মতো পোস্ট। মোদি সরকারের রণনীতির অধিকাংশটাই ঘিরে থাকে প্রোপাগান্ডা এবং সোশ্যাল মিডিয়া। জিবিটি-৪ তাঁরা একবার কাজে লাগিয়ে দেখতেই পারেন। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা শুধুমাত্র ফেসবুকের তথ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে একটা গোটা নির্বাচনের নিয়তি বদলে দিয়েছিল। আর জিবিটি-৪ তো একমাসের মধ্যে ইউটিউবে টাকা কামানো, সোশ্যাল মিডিয়ার এনক্রিপটেড অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়া, এমনকী টুইটারের অ্যালগরিদম ভেঙে দেওয়ার দাবিও করছে। কাজেই স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোদিজির কুর্সি নিশ্চিত করার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে লোক রাখতে হবে না। আর তারপর দুশ্চিন্তাতেও থাকতে হবে না। 
এও এক জিওমেট্রি। তবে জটিলতম। এর আকার নির্ধারণ, আর বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়া একই ব্যাপার। মোদিজিও কিন্তু বাঘের পিঠেই সওয়ার হয়েছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘বিরোধীদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত ইডির প্রতি। এই এজেন্সির জন্যই অন্তত তারা জোটবদ্ধ হতে পারছে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বোধহয় বিজ্ঞানটা ভুলে যাচ্ছেন। পাস্কালের সূত্র কী ছিল? বদ্ধ কোনও তরলকে চাপ দিলে তা সেই তরলের প্রত্যেকটি বিন্দুতে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ, একসময় চাপ বেশি হয়ে গেলে তরল পদার্থও কঠিন আধার ভেঙে বেরিয়ে আসে। চব্বিশের ভোটে তেমন কিছু হবে না তো?
21st  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
জোট করে ভোট? নাকি
ভোটের পর জোট?
সমৃদ্ধ দত্ত

বিজেপি বনাম বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বিরোধীদের বারংবার পরাস্ত হতে হচ্ছে এক ও একটিমাত্র মানদণ্ডে। সেটি হল প্রচার অথবা প্রোপাগান্ডা। প্রচারকে বিজেপি একটি ৩৬৫ দিনের প্রকল্প হিসেবেই গ্রহণ করেছে। পরিণত করেছে উন্নত শিল্পে। বিশদ

17th  March, 2023
ডলারের আধিপত্যে থাবা
মৃণালকান্তি দাস

ডলারের আগে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য ছিল ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ১৯২০ সাল পর্যন্ত দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে এই মুদ্রাই। ডলারের আত্মপ্রকাশের আগে ৫০০ বছর ধরে যেসব মুদ্রা রাজত্ব করেছে তার মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনের মুদ্রা। বিশদ

16th  March, 2023
এখন বিজেপি ও দ্বিচারিতা শব্দের অর্থ একই
সন্দীপন বিশ্বাস

এ যেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা! মনে হয়, এ আবার হয় নাকি! কিন্তু সেটা যে সম্ভব, তা করে দেখিয়েছে নেদারল্যান্ডস। গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে সেখানে জেল উঠে গিয়েছে। ২০১৮ সালে পুরোপুরি জেল উঠে যায়। বিশাল বিশাল জেলগুলি এখন নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশদ

15th  March, 2023
হতাশা ঢাকতে চলছে সংখ্যার কারসাজি
পি চিদম্বরম

২০০৮ সালের কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার পর্ব চলছে। রিপাবলিকান পার্টির প্রচারকে লক্ষ্য করে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী বারাক ওবামা বলেছিলেন, ‘একটা শূকরকে আপনি লিপস্টিক দিয়ে সাজাতেই পারেন, কিন্তু সেটা শেষমেশ শূকরই থাকবে।’ 
বিশদ

13th  March, 2023
বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করার গেরুয়া ব্লুপ্রিন্ট
হিমাংশু সিংহ

এবারের বসন্তটা একেবারে আলাদা। ফাল্গুনে প্রকৃতির ফুল, রং, বাহার সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কোণঠাসা করার মোটা দাগের গেরুয়া কৌশল। বেআব্রু নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বার কেন্দ্রের গদি দখলের ব্লুপ্রিন্ট। ভোটের আগে এজেন্সি লাগাও, আর ফল বেরলে টাকার থলি নিয়ে এমপি-এমএলএ ভাঙাও। বিশদ

12th  March, 2023
একনজরে
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কালদীঘি এলাকার একটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি হয়। তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, ওই বাড়িতে থাকেন ওয়ারেশ মিঞা।  ...

সোনার গয়না ও কাঁসার বাসন পালিশ করার নামে অলঙ্কার হাতানোর ঘটনায় এবার বিহার যোগ মিলল। বাঁকুড়া জেলার একাধিক থানা এলাকায় এমন ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পুলিসের। অবশেষে নাকা চেকিং করে বিহার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে ...

মোদি সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুক্রবার সংসদে এমনই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যার ফলে রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ...

২০১৫ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের জন্য আইপিএলে খেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের উপর। যার ফলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তারা অংশ নিতে পারেনি কোটিপতি লিগে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৫৭০: পোপ পঞ্চম পায়াম কর্তৃক ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ ধর্মচ্যুত হন
১৫৮৬: সম্রাট আকবরের সভাসদ বীরবলের মৃত্যু
১৭৫৪: ইংরেজ কবি উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু
১৮৪৩: টেমস নদীর বিখ্যাত সুড়ঙ্গ খোলা হয়
১৮৬২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়
১৮৯৬: আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার প্রথম স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়
১৮৯৮: স্বামী বিবেকানন্দ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে দীক্ষান্তে নিবেদিতা নামকরণ করেন
১৯২৭: হকি খেলোয়াড় লেসলি ক্লডিয়াসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেতা ফারুক শেখের জন্ম
১৯৮৪: ক্রিকেটার অশোক দিন্দার জন্ম
২০১০: ভারতীয় বাঙালি আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৪৮ টাকা ৮৩.২২ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৩৬ টাকা ১০২.৮০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৯ টাকা ৯০.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৭,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী ২৬/৪৮ অপরাহ্ন ৪/২৪। ভরণী নক্ষত্র ১৯/৬ দিবা ১/১৯। সূর্যোদয় ৫/৪০/২৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪১ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ পুনঃ ১২/৬ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৪/৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১১ গতে উদয়াবধি। 
১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী রাত্রি ৭/৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৩/৫৯। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১২ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৫ মধ্যে ও ৪/১২ গতে ৫/৪১ মধ্যে। 
২ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মল্লারপুরে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা, ধৃত ১
বীরভূমের মল্লারপুর থানার জুবুনি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে ...বিশদ

03:05:16 PM

সিভিক ভলান্টিয়ারদের এক্তিয়ার নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা
রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব কী! প্রশাসনিক ও আইনগত দিক দিয়ে ...বিশদ

02:37:00 PM

প্রশ্ন করা থামাব না, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রাহুল
গতকাল সাংসদ পদ খারিজের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস ...বিশদ

01:29:00 PM

আদালতে ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক-সাংসদদের সদস্যপদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
কোনও অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দু’বছর বা তার ...বিশদ

12:56:34 PM

দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন সিউড়ির ইনস্পেক্টর মহম্মদ আলি

12:48:16 PM

আজ সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী
সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি ...বিশদ

12:10:06 PM