সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
এখন গোটা হাটের অলিগলি পাকা করা হয়েছে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছে জেলা পরিষদ। পানীয় জলের সুব্যবস্থা সহ নির্মাণ করা হয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ঝাঁ চকচকে শৌচালয়। আবর্জনা ফেলার জন্য আলাদা জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থাও ঢেলে সাজা হয়েছে। সর্বত্রই করা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা। আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে মাছ ও মাংস বাজার। আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সব্জি বাজার। কোথায় কী ধরনের বাজার বসবে, তারজন্য লাগানো হয়েছে ব্যানার।
স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ মণ্ডল বলেন, ওই দিনের সেই মুহূর্তের কথা আজও মনে পড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা দিয়ে ধূপগুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। আমরা হাত দেখাতেই তিনি গাড়ি থামিয়ে নামেন। আমরা হাটের বেহাল পরিস্থিতি ও হাটের সমস্যা তাঁকে জানিয়েছিলাম। তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করেছিলেন। দ্রুত যাতে হাট সংস্কার হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর নতুনরূপে সেজে উঠেছে আমাদের এলাকার হাট। আমরা এ জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। সত্যি তিনি কথা দিয়েছিলেন এবং কথা রেখেছেন। সভাধিপতি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাট সংস্কারের জন্য তাঁর এমপি তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে নিয়ে করা হয়েছে হাটের সংস্কার। হাটে যাঁরা ব্যবসা করবেন, তাঁদের কাছে আমাদের আর্জি, তাঁরা যেন হাটটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন।
গত বছরের ১২ জুলাই ধূপগুড়িতে জনসভা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনসভায় যাওয়ার আগে দোমোহনিতে রাস্তার দু’ধারে বেশকিছু লোক অভিষেককে কিছু বলার জন্য হাত দেখান। কনভয় থেমেছিল এমপির। ওই বাসিন্দারা অভিষেককে দোমোহনি হাটের বেহাল পরিস্থিতি দেখান। সঙ্গে সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন উত্তরাদেবীকে। দ্রুত হাট সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ১৫ আগস্ট হাটের পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজের শিলান্যাস হয়। মোট ৭৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৩৫ টাকায় অবশেষে ওই হাট সংস্কারের পর নতুনভাবে গড়ে উঠল।