সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
যে নদীর উপর সেতু হয়েছে সেই নদীর নামও চাপাতলি। জেলা সদর থেকে চাপাতলি গ্রামটির দূরত্ব মাত্র সাতকিমি। রাস্তা না থাকার কারণে সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি তো দূরের কথা, বাইকও চলাচল করতে পারে না। বাধ্য হয়ে চাপাতলির বাসিন্দাদের বনচুকামারি বাজার হয়ে বাড়তি আরও পাঁচকিমি রাস্তা ঘুরে তবেই জেলা সদরে এখন আসতে হচ্ছে।
অ্যাপ্রোচ রোড না থাকায় সেতুর দু’পাশে বাঁশ ও মরচে ধরা টিন পেতে বাসিন্দারা হেঁটে সেতু পার হচ্ছেন। এই দুর্ভোগের জেরে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। কেউ কেউ আবার ভোট বয়কটের ভাবনাচিন্তাও শুরু করে দিয়েছেন। চাপাতলি গ্রামের কৃষক জীতেন দাস বলেন, চাপাতলি নদীর উপর তৈরি সেতুর দু’পাশে রাস্তা না থাকায় আমাদের দুর্ভোগ কমেনি। আমাদের দুর্ভোগের কথা নেতারা বোঝেন না। তাই ভাবছি পঞ্চায়েত ভোট দিতে যাব না। চাপাতলির আরএক কৃষক রথীন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘদিনের দাবির পর সেতু মিলেছে। কিন্তু, অ্যাপ্রোচ রোড না হওয়ায় তা কাজে আসছে না। গ্রামবাসীরা আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের কথা ভাবছেন।
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, একবছর আগে সেতু তৈরি হলেও সেই সময় সেতুর দু’পাশে অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য বরাদ্দ ধরা ছিল না। তাই রাস্তা তৈরি হয়নি। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে’র এলাকার মধ্যে পড়েছে চাপাতলি গ্রাম ও সেতুটি। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, সেতু তৈরির সময় সেতুর দু’পাশে রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ ধরা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মাটি কেটে সেতুর দু’পাশে রাস্তা বানানো হবে। তাছাড়া রাস্তা তৈরির জন্য ওই এলাকায় মাটি নিয়েও সমস্যা ছিল। তবে সেই সমস্যা কেটে গিয়েছে। সেতুর দু’পাশে রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই কাজ শুরু করা যাবে।