সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
রিচার কৃতিত্বের জন্য ওঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ ও মা স্বপ্নাদেবীকে শ্রদ্ধা জানান সৌরভ। পরে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে একটি ক্রিকেটের মাঠ চিহ্নিত করেছি। ওই মাঠটি জবরদখল হয়ে যাচ্ছিল। মাঠটি ঘেরা দেওয়া হয়েছে। মাটিগাড়ার উত্তরায়নের ওই মাঠটিকে আমরা ক্রিকেটের জন্য গড়ে তুলব। শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের মতো জায়গা থেকে রিচার মতো একজন কৃতী ক্রিকেটার ভারতীয় দলে খেলছে, এটা আমাদের গর্বের ব্যাপার। এই জায়গায় পৌঁছতে মাঠ না থাকার জন্য রিচাকে কলকাতায় গিয়ে দিনের পর দিন অনুশীলন করতে হয়েছে বলে শুনেছি। ঘরের মেয়ে ঘরেই অনুশীলন করবে। তাঁকে দেখে আরও অনেক রিচা ঘোষ তৈরি হবে। আমরা এটা চাই। তাই ক্রিকেটের জন্য আলাদা মাঠ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়েও এসজেডিএ সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আমরা এসজেডিএ’র গত বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি উত্তরবঙ্গ থেকে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ করার। প্রতিভা অন্বেষণ করে সেই প্রতিভাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ সাফল্যের মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করব। বোর্ড মিটিংয়ে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরপরই রিচার শহরে আসা। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আশা করব, রিচাকে দেখে লুকিয়ে থাকা আরও অনেক প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। সেখানে এসজেডিএ সহায়ক ভূমিকা নেবে।
এদিন পরিবারের সঙ্গে দুপুরে দুধিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন রিচা। পাহাড়, নদী দেখে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তিনি। পরে বলেন, রবিবার একদিনের জন্য আমি বেঙ্গালুরু যাচ্ছি। আরসি বেঙ্গালুরুর শ্যুটিং প্রোগ্রাম রয়েছে। ফিরে এসে বাড়িতে সাতদিন কাটিয়ে আমি আবার কলকাতা চলে যাব। সামনের দু’মাস তেমন কোনও খেলা নেই। এই সময়টা আমি কলকাতাতেই অনুশীলনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই।