নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে চা বাগান এলাকায় রবিবার করে বিশেষ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিল জেলাপ্রশাসন। প্রশাসনের যুক্তি, বিগত দিনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে শ্রমিকরা ক্যাম্পে আসতে পারছেন না। সেই সঙ্গে চলতি মরশুমে চা পাতা তোলার সময় চলছে। কোনও কোনও বাগানে গাছের ডাল ছাঁটার প্রক্রিয়াও চলছে। তাই বাগানের শ্রমিকদের কথা চিন্তা করেই রবিবার ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি জেলার প্রান্তিক এলাকা বিশেষ করে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা যথাযথ নেই, সেখানে মোবাইল ক্যাম্প করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এব্যাপারে রাজ্যের থেকেও অনুমোদন মিলেছে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। আবার ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনকারীদের পরিষেবা প্রদান করা হবে। এরমধ্যেই চা বাগান এলাকা ও প্রান্তিক এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ক্যাম্প করার কথা জানাল প্রশাসন। 
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, রাজ্যের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে স্থানীয় পরিস্থিতি পরিবেশের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা যেতে পারে। তাই সমীক্ষা করার পাশাপাশি চা বাগানের শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে রবিবার জেলার অন্তত ৭৩টি বাগানে ক্যাম্প করা হবে। ১ এপ্রিল থেকে  ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলাকালীন ২টি রবিবারই ওই বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে বনবস্তি, কিছু গ্রামাঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা মাঝে মধ্যে বিঘ্নিত হয়, সেখানেও মোবাইল ক্যাম্প করা হবে। এদিকে, প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সম্পাদক সুমিত ঘোষ। তিনি বলেন, দুয়ারে ক্যাম্প হলে চা বাগানগুলিতে সুবিধা হবে। সব বাগানেই যে রবিবার ছুটি থাকে তা ঠিক নয়। কিছু বাগানে সপ্তাহের মাঝেও ছুটি থাকে। সেখানের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তবে বাগানে আধার কার্ড নিয়ে বিস্তর সমস্যা আছে। সেগুলো সংশোধনের প্রয়োজন আছে। 
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার পঞ্চায়েত স্তরে ১ হাজার ৯৬৪টি নির্বাচনী কেন্দ্রেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প করা হবে। যাতে সব গ্রামই ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সুফল পায়।