কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
গ্ল্যামারের দুনিয়া হাতছানি দিয়ে ডাকলেও তখন পড়াশোনাকেই প্রাধ্যান্য দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। আশুতোষ কলেজে ইতিহাস নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশোনার সময় স্বপ্ন দেখতেন আইপিএস হওয়ার। কিন্তু স্কুলবেলায় বাক্সবন্দি করে রাখা সাফল্যটাই যেন প্রিয়াঙ্কার পিঠে ইচ্ছে ডানার পাখনা বসিয়ে দিল। সেই সাফল্যকে সম্বল করেই প্রযোজক-পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর পরীক্ষায় পাশ করা এবং জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হৃদয়হরণ বি এ পাশ’-এ কুড়ানির চরিত্রটি কুড়িয়ে নেওয়া।
সেই কুড়ানিই মুম্বইতে গিয়ে বনে গেলেন ‘দুলহনিয়া’। ভারত কাঁপানো ‘কপিল শর্মা শো’তে। কলকাতার সহকর্মীরা একসন্ধ্যায় চোখ কচলে দেখলেন, বেহালা থেকে বাসে করে আসা মেয়েটি টক্কর দিচ্ছে কপিল শর্মার সঙ্গে। কীভাবে? রহস্য ফাঁস করলেন প্রিয়াঙ্কা স্বয়ং। বলেন, ‘হৃদয়হরণ করতে করতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি, মুম্বইতে গিয়ে কাজ করব। উৎসাহ দিলেন স্নেহাশিসদা। যোগাযোগ করলাম বেশ কয়েকটি প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে। প্রথমেই ডাক পেলাম সলমন খানের প্রোডাকশন হাউজ থেকে। আমি দু’বার ভাবিনি। মুম্বইতে গিয়ে অডিশন দিলাম। এবং পাশ করলাম। তখনও জানতাম না আমি কপিল শর্মা শো-এর জন্য সিলেক্ট হয়েছি। ফ্লোরে গিয়ে চমকে গেলাম। এতদিন যাঁকে টিভিতে দেখেছি তাঁর সঙ্গে স্টেজ আর স্ক্রিন শেয়ার করব আমি? বিশ্বাসই হচ্ছিল না। শুরু হল প্রস্তুতি। কয়েকদিন রিহার্সাল দিলাম। কমেডি অ্যাক্ট্রেস হিসেবে। আমার চরিত্রর নাম কৃষ্ণা। কপিল শর্মার দাবি আমি ওঁর ‘দুলহনিয়া’। তৈরি হয় হাস্যকর বিভ্রান্তি। শেষে প্রমাণিত হয় আমি কারও বউ নই। দারুণ মজার ছিল গোটা শো।’
এমন একটি শোতে অংশগ্রহণ করে কোনও বিশেষ প্রাপ্তি? ‘অর্চনা পুরম সিং-এর হাসি’ হাসতে হাসতে জবাব দেন প্রিয়াঙ্কা। কপিল শর্মাকে লেগেছে বড় দাদার মত। কিন্তু দেখা হয়নি ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে। ‘তবে সলমনের সঙ্গে একদিন দেখা তো হবে নিশ্চয়ই’ আত্মবিশ্বাসী শোনায় অভিনেত্রীর গলা। যে আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে মুম্বইতে অভিনয় জানা বাঙালি অ্যাক্ট্রেস হিসেবে তিনি পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। আর সেইজন্যই নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন আর এক জনপ্রিয় শো ‘ক্রাইম পেট্রল দস্তক’-এ।
তাহলে কি মুম্বইতেই স্থায়ী ঠিকানার খোঁজ করছেন প্রিয়াঙ্কা? ‘একেবারেই না। কলকাতাতেও বেশ কয়েকটা কাজের অফার আছে। আমি দু’জায়গাতেই কাজ করব।’ গলায় জোর এনে বলেন মেয়ে। কতটা পার্থক্য, এখানে আর সেখানে? ‘পেশাদারিত্বের’ ছোট্ট জবাব প্রিয়াঙ্কার। পরবর্তী লক্ষ্য? ‘বালাজি’। ঝিলিক দিয়ে ওঠে প্রিয়াঙ্কার দু’চোখ।