উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ৪০ রকম বা তার বেশি বিপাক প্রক্রিয়ার বিশৃঙ্খলাকে একত্রে বলা হয় লাইসোসামাল স্টোরেজ ডিসঅর্ডার। এই রোগে দেহের লাইসোসোমাল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং ছোটখাট অঙ্গ বা অর্গানেলের মধ্যে জীবাণু জমতে থাকে। বিপাক প্রক্রিয়ার ত্রুটির জন্যই গচার ডিজিজ হয়। আসলে এটি হল গ্লুকোসেরেব্রোসিডেজ নামে একটি এনজাইমের ঘাটতি। যে জিন এই এনজাইমটি শরীরে তৈরি করে, গ্লুকোসেরেব্রোসিডেজের ঘাটতির দরুন সেই জিনেরই পরিবর্তন ঘটে যায় (জিবিএ১ বা অ্যাসিড–বি–গ্লুকোসিডেজ জিন)। এর ফলে ম্যাক্রোফাগের লাইসোসোমসে জীবাণু জমতে থাকে (গ্লুকোজিলসেরামাইড) এবং নানা ভাবে শরীরে তার প্রকাশ দেখা যায়। সম্প্রতি গচার রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল লাইসোসামাল স্টোরেজ ডিসঅর্ডার সাপোর্ট সোসাইটি (এলএসডিএসএস)। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা)
দেবাশিস ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ–এর ডিরেক্টর ডাঃ অপূর্ব ঘোষ, এলএসডিএসএস–এর যুগ্ম সম্পাদক শিবশঙ্কর চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।