উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসার কিছু অবকাশ পাওয়া যায় একই সঙ্গে ফিজিওথেরাপি করে রোগী প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। বিশেষ করে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি ভালো কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে, হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য সরকরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ক ব্যবস্থা রাখা, ফ্যাক্টর রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এবং ফিজিওথেরাপির সুবন্দোবস্ত রাখা উচিত।
‘হিমোফিলিয়া ফেডারেশন ইন্ডিয়া’ সংস্থার মতে, ভারতে হিমোফিলিয়া রোগীর কল্যাণে আশু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এদেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন কলকাতার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ প্রকাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রথম দিকে এই রোগ ধরা পড়লে এবং সময়মতো চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি করালে তারা স্বাভাবিক সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। সমাজ এবং সরকারের উচিত হাতে হাত মিলিয়ে এই বিশেষ ধরনের ব্লাড ডিজঅর্ডারের রোগীদের জন্য কাজ করা। বিশেষ করে হিমোফিলিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার করা দরকার। কারণ এই রোগে সামান্য ভুল প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
ইতিমধ্যে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘হিমোফিলিয়া এ’ অসুখের নতুন থেরাপির খোঁজ মিলেছে। হিমোফিলিয়া এ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ফ্যাক্টর ৮ নামে একটি বিশেষ প্রোটিন উপস্থিত থাকে না। এই প্রোটিনটিই ৯এ এবং ১০ ফ্যাক্টরকে জুড়তে সহায়তা করে। কারণ এই দুটি ফ্যাক্টরই রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার একটি ওষুধ হিমোফিলিয়া এ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের তরফেও এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।