Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

স্বস্তিকের সাইকেল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

কী রে সতু, অঙ্কে কত পেলি? আজ তোর রেজাল্ট বেরিয়েছে তো?’
জেঠিমার প্রশ্নটা শুনে স্বস্তিকের মুখটা একেবারে শুকিয়ে গেল। কোনও উত্তর না দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল ওদের ঘরের দিকে।
‘কী রে, বললি না তো অঙ্কে কত পেয়েছিস? ফেল করেছিস নাকি?’ জেঠিমা আবার প্রশ্ন করল স্বস্তিককে। 
আজ স্বস্তিকের হাফ- ইয়ারলি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। ও এখন ক্লাস সিক্সে পড়ে। ওর দুই জেঠতুতো দাদা দেবায়ন আর শুভায়ন। দু’জনেই লেখাপড়ায় খুব ভালো। দেবুদা গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। জয়েন্ট এন্ট্রাসে পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। দেবুদা এখন হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে। ছুটিতে যখন বাড়ি আসে, তখন সবাই ওকে মাথায় করে রাখে। শুভদাও লেখাপড়ায় ভালো। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। জেঠুর খুব ইচ্ছা ছোট ছেলে ডাক্তার হোক। শুভদা তাই এখন থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে। সারাদিন একটুও খেলাধুলা করে না, কারও সঙ্গে গল্প করে না। যতক্ষণ জেগে থাকে, ততক্ষণ শুধুই পড়া আর পড়া।
স্বস্তিকও চায় দেবুদা আর শুভদার মতো ভালো ছেলে হতে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। চেষ্টাও করে অনেক। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় সব উল্টেপাল্টে যায়। রেজাল্ট বেরলে দেখা যায়, ওর কোনও চেষ্টাই সফল হয়নি। রেজাল্ট ভালো হয়নি একেবারে।
‘সতু, এই সতু! কোথায় গেলি? এদিকে আয় একবার। দেখ, তোর জন্য কী এনেছি।’
বাবার গলা শুনতে পেয়ে ঘর থেকে এক ছুট্টে বেরিয়ে পড়ে স্বস্তিক। বাবা আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছে। বারান্দায় এসে স্বস্তিক দেখে বাবা একগাল হেসে ওর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। আর বাবার সঙ্গে রয়েছে একটা নতুন সাইকেল। যেমনটা সতু চেয়েছিল, ঠিক তেমনটা। টুকটুকে লাল সাইকেল। সতু দৌড়ে গিয়ে একবার বেশ ভালো করে দেখে নেয় সাইকেলটাকে। কী সুন্দর রং। কেমন চকচকে। সতু মনের আনন্দে সাইকেলটায় বারবার হাত বোলায়। সাইকেলের বেলটা বাজিয়ে দেখে দু’-একবার। ও যদি সাইকেল চালাতে জানত, তাহলে এখনই এই নতুন সাইকেলটায় চেপে অনেক অনেক দূর পর্যন্ত ঘুরে আসত। 
‘কী রে সাইকেল পছন্দ হয়েছে? এটা তোর জন্মদিনের গিফট।’
সত্যিই তো! আর চারদিন পরেই স্বস্তিকের জন্মদিন। পরীক্ষা আর রেজাল্টের আশঙ্কায় প্রতি বছরই জন্মদিনের কথাটা ভুলে যায় স্বস্তিক। কিন্তু বাবা-মা ঠিক মনে রাখে। মনে করে ঠিক সেই উপহারটাই আনে, যেটা স্বস্তিক আগে কখনও বাবার কাছে চেয়ে রেখেছিল। আর মা প্রতি বছর স্বস্তিকের জন্মদিনে ওর পছন্দের ডালপুরি-আলুর দম আর সিমাইয়ের পায়েস বানিয়ে দেয়। 
‘কী রে, কিছু বলছিস না যে? সাইকেল পছন্দ হয়নি?’
বাবার প্রশ্ন শুনে চিন্তায় ছেদ পড়ল স্বস্তিকের। একগাল হেসে  ‘থ্যাঙ্ক ইউ বাবা। সাইকেলটা খুব সুন্দর হয়েছে’ বলে স্বস্তিক আর একবার সাইকেলের বেলটা বাজিয়ে দিল।
বাবাকে হাসিমুখে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বললেও স্বস্তিকের মনে এখন থেকেই একটা আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ও ঠিকঠাক সাইকেল চড়া শিখতে পারবে তো? নাকি অঙ্ক শেখার মতোই সাইকেলে চড়াও আর ভালো করে শেখা হবে না ওর?  
দুই
‘বাবু, এই রবিবারে একবার দাদুর বাড়ি যেতে হবে। দেবু আর শুভ দু’জনে মিলে ঠিক করেছে দাদুর বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দেবে। প্রোমোটার ওখানে একটা ফ্ল্যাটবাড়ি বানাবে। সেই বাড়িতে আমাদেরও একটা ফ্ল্যাট দেবে।’ মায়ের কথা শুনে পরীক্ষার খাতা থেকে মুখ তুলে মায়ের দিকে তাকাল স্বস্তিক। 
কিছুদিন আগেই স্কুলের হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ক্লাস সিক্সের ছাত্রদের অঙ্ক পরীক্ষার খাতা দেখছিল স্বস্তিক। ও এখন একটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই। ছাত্ররা সবাই ওকে খুব ভালোবাসে। কারণ, অঙ্ক না পারলে স্বস্তিক কোনও ছাত্রকে বকাবকি করে না। বরং, আরও একবার যত্ন করে অঙ্কটা বুঝিয়ে দেয়। যাতে পরের বার আর ভুল না হয়।
মায়ের কথামতো রবিবারে সকাল সকাল চা-জলখাবার খেয়ে নিজের চার-চাকা গাড়িটা নিয়ে দাদুর বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল স্বস্তিক। ও যে স্কুলে পড়ায় সেটা ওর পৈতৃক বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। ওখান থেকে রোজ যাতায়াত করা খুবই অসুবিধের। তাই স্বস্তিক 
এখন মাকে নিয়ে স্কুলের কাছাকাছি একটা দু’কামরার ফ্ল্যাটে থাকে। 
আজ সকাল থেকেই বাবার কথা খুব মনে পড়ছে স্বস্তিকের। হয়তো দাদুর বাড়ি যাচ্ছে বলেই। বাবার কথা মনে পড়লেই স্বস্তিকের মনখারাপ হয়ে যায়। ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাবা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন। 
আবছা হয়ে যাওয়া চোখটা মুছে নিয়ে আবার গাড়ি চালানোয় মন দিল স্বস্তিক। এই ক’বছরে মফস্‌স঩লের এই অঞ্চলটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। ফাঁকা মাঠ, ছোট ছোট বাড়িঘর, সে সব আর কিছুই নেই এখন। রাস্তার দু’ধারেই উঁচু উঁচু আবাসন। তবে রাস্তার অবস্থাটা সেই আগের মতোই আছে। এবড়ো-খেবড়ো, খানা-খন্দে ভর্তি। সাবধানে গাড়ি চালিয়ে দাদুর বাড়িতে পৌঁছল স্বস্তিক।
দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর শুভদা বলল, ‘চল সতু, তোদের ঘরগুলো একবার দেখে নিবি। এরপর বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দিলে তো আর ভালো করে দেখার সুযোগ পাবি না।’
দেবুদা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেঙ্গালুরুতে চাকরি করে। ওখানেই থাকে। এখানে ফিরে আসার আর তেমন ইচ্ছা নেই দেবুদার। শুভদা ডেন্টিস্ট। ওর দাঁতের ডাক্তারখানাটা স্টেশনের কাছে। এই অঞ্চলে দাঁতের ডাক্তার হিসেবে শুভদার খুব খ্যাতি। বেশ ভালো পসার। তাই শুভদার এখান থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই। তবে একা হাতে এত বড় বাড়ির তদারকি করা খুব মুশকিল। তাই ওরা দু’ভাই মিলে ঠিক করেছে বাড়িটা প্রোমোটারকে দিয়ে দেবে।
‘তুই সব ভালো করে দেখে নে। আমি ততক্ষণে তৈরি হয়ে নিই। আমাকে আবার একটু পরেই বেরতে হবে। ডাক্তারদের তো আর রবিবারে ছুটি নেই। ছুটির দিনগুলোতেই বরং বেশি কাজ,’ বন্ধ ঘরগুলো খুলে দিয়ে চলে গেল শুভদা।
অনেক দিন বন্ধ ছিল। তাই ঘরটার মধ্যে কেমন একটা ভ্যাপসা গন্ধ। ঘরটাকে দেখে খুব মায়া হল স্বস্তিকের। জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানেই কেটেছে ওর। সেইসব ফেলে আসা দিনের কথা আবার নতুন করে মনে পড়ে গেল। আধো অন্ধকারে ঘরটাকে ভালো করে দেখতে লাগল স্বস্তিক। ড্যাম্পের জন্য ঘরের দেওয়ালে কেমন নোনা ধরে গিয়েছে। আর সেই নোনা ধরা দেওয়ালের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে একটা সাইকেল। স্বস্তিকের সাইকেল। সেই 
লাল টুকটুকে সাইকেল, যেটা বাবা ওকে জন্মদিনে উপহার দিয়েছিল। যে সাইকেলটা বদলে দিয়েছিল ওর জীবনের গতিপথ। এই সাইকেলটার জন্যই হয়তো সেদিনের সেই ‘অঙ্কে খারাপ’ সতু আজ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক।
দু’কামরার ফ্ল্যাটে সাইকেল রাখার জায়গা কোথায়! তাই ইচ্ছা থাকলেও বাবার দেওয়া সাইকেলটাকে তখন সঙ্গে নেওয়া যায়নি। কিন্তু আজ স্বস্তিক সাইকেলটাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে। রং চটা, পুরনো সাইকেলটার গায়ে পরম যত্নে হাত বোলায় স্বস্তিক। মনে পড়ে যায় বাবার বলা সেই কথাগুলো।  
সেদিন অনেক চেষ্টার পরেও সাইকেল চড়া শিখতে না পেরে, বারবার সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে সারা গায়ে ব্যথা নিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল স্বস্তিক। জেঠিমা ওকে দেখেই বলে উঠেছিল, ‘এ কী করেছিস সতু! সাইকেল চড়া শিখতে গিয়ে এবার শরীরের সব হাড়গোড় ভেঙে ফেলবি নাকি! রক্ষে কর বাবা! এই সাইকেল চড়া, অঙ্ক করা এসব তোর দ্বারা হবে না।’ জেঠিমার কথা শুনে দুঃখে কেঁদে ফেলেছিল স্বস্তিক। পাছে ওর চোখে জল দেখতে পেয়ে জেঠিমা আবার কিছু বলে বসে তাই এক ছুট্টে ঢুকে পড়েছিল ঘরের ভেতর। তখন বাবা ওর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিল, ‘আমাদের জীবনটা একটা সাইকেলের মতো। প্রথমে হাফ প্যাডেল শিখতে হয়। তারপর ফুল প্যাডেল। তারপরে সাইকেলের সিটে বসে এগিয়ে যেতে হয়। রাস্তায় অনেক উঁচু-নিচু থাকবে, খানা-খন্দ পড়বে। আঘাতও লাগবে অনেক। তবে সে সবে ভেঙে পড়লে চলবে না। একমনে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সাফল্য নামের গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে।’
08th  December, 2024
খাঁচা ভর্তি গাছ

একটা অন্য ধরনের হাতের কাজ আজ শেখাবেন তোমাদের ডিজাইনার বিদিশা বসু। নাম ‘কেজ প্লান্টিং’। খাঁচার ভেতর গাছের ছায়া। অবাক হলে নাকি? ভাবছ, খাঁচায় আবার গাছ কবে থেকে রাখা হয়? খাঁচা তো পাখির জন্য। কিন্তু তা মোটেও বিশ্বাস করেন না এই ডিজাইনার। বিশদ

08th  December, 2024
মাস্তুল রহস্য
অরিন্দম ঘোষ

হুগলি জেলার ব্যান্ডেল চার্চের জন্য বিখ্যাত। এটিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গির্জা বলে মনে করা হয়ে থাকে। গির্জাটি নির্মিত হয় ১৫৯৯ সালে। ১৯৮৮ সালের ২৫ নভেম্বর পোপ দ্বিতীয় জন পল ব্যান্ডেল চার্চকে ‘ব্যাসিলিকা’র মর্যাদা দান করেন। বিশদ

08th  December, 2024
কম্পিউটারের ঊষাকাল

আগামী কাল অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস। কম্পিউটার ছাড়া এখন গোটা বিশ্ব অচল। চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে কীভাবে এল এই বিস্ময়কর যন্ত্র, জানালেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

01st  December, 2024
অঙ্ক কষে বলে দাও বন্ধুর বয়স 
স্বরূপ কুলভী

অঙ্ক মানে সংখ্যার খেলা। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের মধ্যে হাজার মজা লুকিয়ে রয়েছে। শুধু শিখে নিতে হয়। খুঁজে নিতে হয়। আর এই মজার মধ্যেই রয়েছে অঙ্কের ম্যাজিক। আজ এমনই একটা ম্যাজিক শিখে নেব। আর এটা একেবারেই যোগ, গুণ, বিয়োগ। বিশদ

01st  December, 2024
পরীক্ষা প্রস্তুতি

সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা। এখন শেষ মুহূর্তের পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার সময়। কেমন চলছে পরীক্ষার প্রস্তুতি, জানাল কলকাতার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের ছাত্রীরা। বিশদ

24th  November, 2024
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক

ছোট্ট ছেলেটা মুদির দোকানে কাজ করে। কয়েক বছর আগে বাবাকে চিরতরে হারিয়েছে সে। ‌বাড়িতে রোজগেরে বলতে তেমন কেউই নেই। অভাব নিত্য সঙ্গী। অগত্যা নিয়তির পরিহাসেই স্কুলের গণ্ডিটা আর পেরনো হল না। বিশদ

24th  November, 2024
ডাবের খোলায় ফুলের টব

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  November, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের কথা

রোমান সভ্যতায় দেখা মেলে বহু বিখ্যাত যোদ্ধার। তেমনই একজন ছিলেন স্পার্টাকাস। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের লড়াইয়ের গল্প বললেন কালীপদ চক্রবর্তী বিশদ

10th  November, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মহামঞ্চ

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। এবারের বিষয় তুলসীর মহামঞ্চ। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। বিশদ

10th  November, 2024
ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
স্বরূপ কুলভী

এই তো কয়েকদিন আগেই সবার মুখে ছিল একটাই কথা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। শেষ পর্যন্ত ও঩ড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ডানা।
বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM