সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
আগেকার দিনে তুলসী গাছ প্রতিটি হিন্দু বাড়ির উঠোন বা দালানের শোভা বর্ধন করত। তখন অনেকটা জমির উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাড়ি বানানো হতো। সঙ্গে বাগান, নানারকম ফল ও ফুলের গাছ আশ্চর্যের বিষয় ছিল না। ক্রমশ স্থানাভাবে এবং বাড়ি দেখভাল করতে না পেরে ছোট ছোট বাসস্থান তৈরি করতে শুরু করলাম আমরা থাকার জন্য। সেখানে উঠোন বা দালান নেই ঠিকই, তবু গাছের শখ আমাদের গেল না। ফ্ল্যাট বাড়ির সামান্য চিলতে জায়গা, কখনও বারান্দা, কখনও বা জানলার সিলেই ছোটখাট টব রেখে ফুলের গাছ লাগাতে শুরু করল বাঙালি। আর সেইসব গাছের অন্যতম প্রধান হল তুলসী গাছ। হিন্দু প্রথায় তাকে মহারানির আখ্যা দেওয়া হয়। একটু যত্নও লাগে তার। সুদৃশ্য সুন্দর জায়গা ছাড়া এই গাছ বাঁচে না। আগাছার পাশে বা জঞ্জালের সঙ্গে তুলসী গাছ রাখলে তা মরে যায়। আজ এই গাছেরই একটু ভিন্ন সাজের কথা জানালেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। জানতে ইচ্ছে করছে তো কেমন সেই সাজ? আর তার জন্য কী-ই বা লাগবে? তাহলে চটপট কাগজ কলম নিয়ে তৈরি হও। লিখে নাও গাছের সাজের কথা।
উপকরণ: একটা মাটির টবে লাগানো তুলসী গাছ, এক টুকরো বেনারসি শাড়ি (আঁচল আর পাড়ের অংশ হলে ভালো), একটু আঠা, বেশ কয়েকটা সেফটি পিন।
পদ্ধতি: টবটা ভালো করে পরিষ্কার করে নাও। এবার তার রিম (উপরের অংশ) বরাবর আঠা লাগিয়ে নাও। তারপর বেনারসি শাড়িটার একটা অংশ ধরে টবের সঙ্গে লাগিয়ে নাও। বাকি শাড়িটা নিজের পছন্দমতো প্লিট করে বা নিজের ইচ্ছে মতো ডিজাইনে টবের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। খানিক বাদে বাদে সেফটি পিন লাগিয়ে দিও তাতে শাড়িটা খুলে আসবে না। আর আঠা লাগানো অংশটা একটু শুকিয়ে গেলে তবেই বাকি শাড়ি জড়াতে শুরু করবে। মহিলারা তো এমনিতেই বেনারসি শাড়ি ভালোবাসে, আর ইনি তো মহারানি আখ্যায় ভূষিত। ফলে তাঁর সাজে বেনারসির বাহার বেমানান লাগবে না।