সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
আজকের হাতের কাজটা একটু অন্য রকম। ডিজাইনার বিদিশা বসু বলছিলেন, ফেলে দেওয়া জিনিস কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। বাচ্চাদের এই ধরনের কাজ শেখানোর মাধ্যমে দুটো জিনিস করা যায়। প্রথমত ফেলে দেওয়া জিনিসটাও কাজে লাগানো সম্ভব সেটা তাদের শেখানো যায়। আর দ্বিতীয়ত, তাদের মধ্যে একটা সৃজনশীল মনোভাব গড়ে তোলা।
আজকের হাতের কাজ ডাব দিয়ে। অবাক লাগছে তো? ভাবছ কীভাবে আবার ডাবকে কাজে লাগিয়ে হাতের কাজ করা যেতে পারে! তাহলে বলি শোনো। ডাবের জল খাওয়ার পর আমরা তো খোলাটা ফেলেই দিই। তা না করে ওটা রেখে দাও। তারপর ওটাকেই কাজে লাগিয়ে বানিয়ে ফেল সুদৃশ্য ফুলের টব। একেবারে একশো শতাংশ প্রাকৃতিক ফুলের টব। জানতে ইচ্ছে করছে তো কী করে তৈরি করবে এই প্রাকৃতিক ফুলের টবটা? প্রথমে জেনে নিই এটা তৈরি করতে কী কী লাগবে।
উপকরণ: একটা ডাবের খোলা, একটা মোটা তুলি, পছন্দসই পোস্টার কালার, বেশ খানিকটা মাটি, একটা খুরপি, একটা ফুল বা পছন্দসই গাছের চারা।
পদ্ধতি: প্রথমে ডাবের খোলা রোদে রেখে একটু শুকিয়ে নাও। এবার এই খোলার ভেতর থেকে শাঁসটা কুরিয়ে ফেলে দাও। তারপর তা জল দিয়ে ধুয়ে নাও। খোলার বাইরেটা নিজের পছন্দমতো ডিজাইন করে নাও। রং ও তুলির সাহায্যে মোটা স্ট্রাইপ বা ফুল অথবা অন্য যেকোনও ডিজাইনে ডাবটাকে রাঙিয়ে নাও। একদম শিশুদের পক্ষে স্ট্রাইপ নকশায় কাজ করাটাই সহজ হবে বলে এখানে স্ট্রাইপটাই দেখানো হল। রং করার পর তা রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে তা আলাদা করে রেখে দিতে হবে। ইতিমধ্যে মাটিটা খুরপির সাহায্যে একটু কুপিয়ে নাও। তারপর তা ডাবের খোলার ভিতর ভরে দাও। এবার পছন্দমতো চারা তাতে লাগিয়ে দাও। এখানে মনে রাখতে হবে, অল্প যত্নে যে গাছ করা যায় তেমন গাছই এই টবে লাগানো ভালো। ব্যস তৈরি হয়ে যাবে মনের মতো ফুলের টব।