Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

 ভগিনী নিবেদিতা

 আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার ভগিনী নিবেদিতা। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।

‘ভবিষ্যৎ ভারত-সন্তানদের কাছে তুমি একাধারে জননী, সেবিকা ও বন্ধু হয়ে ওঠো।’ স্বামী বিবেকানন্দ যাঁর সম্বন্ধে এই কথাগুলো বলেছিলেন তিনি হলেন একজন বিদেশিনী— মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল যাঁর নাম, যাঁকে আমরা চিনি ‘ভগিনী নিবেদিতা’ বলে। তাঁর জন্ম যদিও হয়েছিল বিদেশের মাটিতে, তবু সেই মহীয়সী নারীর মন, প্রাণ, স্বপ্ন সব কিছুতে ছেয়েছিল শুধুই ভারতবর্ষ! সেই মার্গারেট নোবল ঩কী করে ‘সিস্টার নিবেদিতা’ হয়ে উঠেছিলেন আজ তোমাদের শোনাব সেই কথা।
মার্গারেটের বাবার নাম স্যামুয়েল চিরমন্ড নোবল এবং মায়ের নাম মেরি ইসাবেল। বাবা ছিলেন ধর্মযাজক। দাদামশাই হ্যামিলটন ছিলেন তখনকারের আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা। মার্গারেটের জন্মের আগেই তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরই, হয়তো এটাকেই বলে বিধিলিপি। ১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর। উত্তর আয়ারল্যান্ডের টাইরন প্রদেশের ডানগ্যানন নামে একটি ছোট শহর। মেরি ইসাবেল জন্ম দিতে চলেছেন তাঁর প্রথম সন্তানের। কিন্তু বুক তাঁর কাঁপছে ভয়ে! তিনি ঈশ্বরের কাছে মনে মনে শপথ করলেন, যদি তাঁর প্রথম সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীর আলো দেখে, তাহলে তিনি সেই সন্তানকে ঈশ্বরের চরণেই সমর্পণ করবেন। ঠিক এর পর মুহূর্তেই জন্ম নিলেন মার্গারেট নোবল। সুতরাং তাঁর জন্মই হয়েছিল ঈশ্বরের নির্ধারিত কাজ করবার জন্যই।
মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি হারালেন তাঁর বাবাকে। অল্প বয়স থেকেই তাঁর ওপর সংসারের অনেক দায়দায়িত্ব এসে পড়ল। মার্গারেটের বয়স তখন সবে তেরো। সংসারের খরচ বাঁচাতে তিন বছরের ছোট ছেলেকে নিজের বাবার বাড়িতে রেখে মানুষ করবার কথা ভাবলেন মেরি ইসাবেল। কিন্তু তাকে সেখানে পৌঁছে দেবে কে? মার্গারেট দায়িত্ব নিয়ে ছোট ভাইকে ভুলিয়ে ভালিয়ে দীর্ঘপথ এমনকী সমুদ্র পেরিয়ে দাদামশায়ের বাড়ি ঠিক পৌঁছে দিয়ে এলেন। এমনি আত্মবিশ্বাসী আর সাহসী ছিলেন তিনি সেই ছোট্টবেলা থেকেই।
লন্ডনের এক বোর্ডিং স্কুলে মার্গারেট পড়াশুনো করে সাফল্যের সঙ্গেই স্কুল জীবন শেষ করলেন। তারপর উইম্বলডনে একটি স্কুল খুলে সেখানে পড়াতে শুরু করলেন। সেই সঙ্গে নানান পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেও সুনাম অর্জন করলেন। মার্গারেটের মনে কিন্তু অস্থিরতা— প্রকৃত ধর্মজীবন কী তা জানবার জন্য তিনি যখন ব্যাকুল, চিন্তাগ্রস্ত, ঠিক তখনই ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসের এক সন্ধেবেলা লন্ডনের এক অভিজাত পরিবারের বাড়িতে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হল স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে। স্বামীজির মুখে ভারতীয় ধর্মের কথা শুনে তিনি বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়ে গেলেন! স্বামীজিকে নানান প্রশ্ন করে তিনি বুঝতে পারলেন এতদিন যে প্রকৃত ধর্মজীবনের পথ তিনি খুঁজছিলেন, এই ভারতীয় সন্ন্যাসীই সেই পথ তাঁকে দেখাতে পারবেন। মার্গারেট তাঁকে মনে মনে ‘গুরু’ হিসেবে মেনে নিলেন। স্বামীজিও বুঝলেন এই বিদেশিনী মেয়েটিই পারবে ভারতবর্ষের মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে। তাই তিনি এই কাজের জন্য আহ্বান জানালেন মার্গারেটকে।
মার্গারেট ১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি নিজের স্বদেশ ছেড়ে ভারতবর্ষের মাটিতে পা দিলেন। স্বামীজির পবিত্র সংস্পর্শে এসে মার্গারেটও পেলেন তাঁর ‘মাস্টার’কে!
ভারতবর্ষে আসবার পর সংঘ-জননী শ্রীশ্রীমা সারদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন স্বামীজি মার্গারেটের। সারদা মা তাঁকে পরম আদরে কাছে টেনে নিলেন। নিজে হাতে করে তাঁকে শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের প্রসাদ খাওয়ালেন এবং নিজেও সেই বিদেশিনীর সঙ্গে একসঙ্গে বসে সেই মহাপ্রসাদ গ্রহণ করলেন। বললেন, ‘আজ থেকে তুমি আমার খুকি।’ মার্গারেট তাঁর ডায়েরিতে এই দিনটি ‘জীবনের সেরা দিন’ বলে লিখে রেখে গেছেন।
স্টার থিয়েটারে সকলের সঙ্গে এরপর একদিন মার্গারেটের পরিচয় করিয়ে দিলেন স্বামীজি। তিনি সবাইকে বললেন, ‘মার্গারেট হলেন ইংল্যান্ডের দেওয়া ভারতবর্ষকে একটি উপহার! ... মার্গারেট তাঁর প্রাণ ভারতবর্ষের সেবায় দিতে এসেছেন।’
২৫ মার্চ স্বামীজি মার্গারেটকে দীক্ষা দিলেন। এবং তাঁর নাম রাখলেন ‘নিবেদিতা’। নিবেদিতা তাঁর ডায়েরিতে লিখলেন, এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘আনন্দময় সকাল।’
এরপরই শুরু হল ভগিনী নিবেদিতার কর্মকাণ্ড। ১৬নং বোসপাড়া লেনে নিবেদিতা খুললেন মেয়েদের জন্য স্কুল। সে স্কুলের প্রতিষ্ঠা করলেন স্বয়ং শ্রীশ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণের পুজো করে। সেই স্কুলে যাতে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাঁদের মেয়েদের পাঠান সে জন্য স্বামীজিও অনেক চেষ্টা করতেন। নিবেদিতা নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে তাঁদের কাছে মেয়েদের পড়াশুনো শেখানোর জন্য ভিক্ষা চাইতেন। এইভাবে তিনি এদেশে মেয়েদের শিক্ষার জন্য অক্লান্তভাবে চেষ্টা করে গেছেন। কারণ, সেই সময় আমাদের দেশে মেয়েদের পড়াশুনো শেখানোর তেমন চল ছিল না। তাদের তিনি পড়াশুনোর সঙ্গে সঙ্গে সেলাই, ছবি আঁকা, হাতের কাজও শেখাতেন। বয়স্কা বিবাহিতা এবং বিধবা মহিলারাও যাতে লেখাপড়া, সেলাই ইত্যাদি শিখতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন। শ্রীশ্রীমা সারদাও তাঁর গৃহী ভক্তদের বলতেন তাঁদের মেয়েদের নিবেদিতার স্কুলে পাঠানোর জন্য।
১৮৯৯ সালে কলকাতায় প্লেগরোগ মহামারির আকার ধারণ করল। স্বামীজির নির্দেশে নিবেদিতা রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নিয়ে সেবা কাজে নেমে পড়লেন। সেই সঙ্গে শহরের রাস্তাঘাট, পাড়াকে আবর্জনামুক্ত করতে নিজে হাতে ঝাড়ু-বালতি নিয়ে নেমে পড়তেও এতটুকু কুণ্ঠা বোধ করলেন না তিনি। এক মেমসাহেবকে এমনভাবে কাজ করতে দেখে পাড়ার ছেলেরা লজ্জিত হয়ে তখন নিজেরাই এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে হাত লাগাল। আজীবন ভগিনী নিবেদিতা ভারতবাসীর সেবা করে গেছেন। ১৯০৬ সালে পূর্ববঙ্গে দুর্ভিক্ষ ও বন্যা কবলিত মানুষের সেবা করতে গিয়ে তিনি ব্রেন-ফিভারে আক্রান্ত হন, তবু জল-কাদা ভেঙে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেবা করেছিলেন সেই অসুস্থ শরীরেও!
ভারতবর্ষের শিল্পের উন্নতির জন্যও তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসুর মতো শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। উদীয়মান বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুকে সাহায্য করেছেন আর্থিকভাবে যাতে তিনি তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অত্যন্ত ভরসাস্থল ও প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তিনি।
নিবেদিতার লেখা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হল— ‘The Master as I saw Him’, ‘The web of Indian Life’, ‘Hints on National Education in India’, ‘Glimpses of Famine and Flood in East Bengal in 1906’, ‘Notes, of some wanderings with Swami Vivekananda’. ইত্যাদি।
তিনি নিজেকে বলতেন— ‘রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের নিবেদিতা’। ‘ভারতবর্ষ’ শব্দটি তিনি জপ করতেন ভাবে বিভোর হয়ে। ভারতবর্ষের সমস্ত কিছুর প্রতি তাঁর ছিল পূজার দৃষ্টি। তাইতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘তিনি যখন বলিতেন “Our People” তখন তাহার মধ্যে যে একান্ত আত্মীয়তার সুরটি লাগিত আমাদের কাহারো কণ্ঠে তেমনটি ত লাগে না।’
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
27th  October, 2019
‘চিন্তার জগৎকে বড় করে পৃথিবীটা বদলে দিন...’ 

আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারকে পৃথিবী চেনে ‘টার্মিনেটর’ হিসেবে। তিনি একজন অভিনেতা, পেশাদার বডিবিল্ডার। রাজনীতিও করেছেন। ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। এসব পরিচয় ছাপিয়েও তরুণদের কাছে তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা। সম্প্রতি স্পিকোলা ডটকম-এ প্রকাশিত হয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দেওয়া তাঁর এক বক্তৃতা। সেই বক্তৃতা তোমাদের জন্য তুলে দিলেন মৃণালকান্তি দাস। 
বিশদ

24th  November, 2019
সারা বাংলা অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন
করেছে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল কালচার 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। তোমরা যারা ছবি আঁকতে ভালোবাসো তাদের কথা মাথায় রেখে সারা বাংলা অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল কালচার। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সংস্থার নির্দিষ্ট জায়গায় এই বিশেষ প্রতিযোগিতাটি হবে। 
বিশদ

24th  November, 2019
মার্কশিট

তোমাদের জন্য শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইংরেজি।
  বিশদ

24th  November, 2019
নোলকপুরের গোলকরাজা
প্রদীপ আচার্য

নোলকপুরের রাজার কান্না আর থামছে না। দিনরাত ভেউ ভেউ করে কেঁদেই চলেছে। ঘুম থেকে উঠেই রাজা কাঁদতে শুরু করে। আবার কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে পড়ে। তারই ফাঁকে ব্রেকফাস্টে গোটা দুয়েক আস্ত চিকেন রোস্ট, দিস্তা দিস্তা বাটার টোস্ট, কাটলেট, ওমলেট ভরপেট খাচ্ছে। 
বিশদ

24th  November, 2019
গোলাপি বিপ্লবের সন্ধিক্ষণে ইডেন

ছোট্টবন্ধুরা! তোমরা যারা ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসো, বা যারা ক্রিকেটের খোঁজখবর একটু আধটু রাখো, তারা নিশ্চয়ই ইডেনে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হওয়ার খবর জানো। ভারত তাদের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নামছে ২২ নভেম্বর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। 
বিশদ

17th  November, 2019
অরণ্যে অ্যাডভেঞ্চার

গা ছমছমে গহিন অরণ্য। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে জলপ্রপাতের গর্জন। পথে বন্য পশুর ভয়। কোথাও ভয়ঙ্কর নদী পেরতে হবে। এমনই কয়েকটি অরণ্যের কথা তোমাদের শুনিয়েছেন সায়ন নস্কর। 
বিশদ

17th  November, 2019
ছোটদের রান্নাঘর 

তোমাদের জন্য চলছে একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন দ্য পার্কিং লট রেস্তোরাঁর এক্সিকিউটিভ শেফ সুমিত রঘুবংশী। 
বিশদ

10th  November, 2019
জওহরলাল নেহরুর ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

10th  November, 2019
ছোটদের ভালোবাসতেন চাচা নেহেরু 

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। শিশুদের কাছে তিনি চাচা নেহরু হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। নেহরু ছোটদের খুব ভালোবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনটি অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর দেশজুড়ে শিশুদিবস পালিত হয়। প্রিয় চাচা নেহরুকে নিয়ে লিখেছে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।  
বিশদ

10th  November, 2019
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা।
 
বিশদ

03rd  November, 2019
সে কি সত্যি হবে! 
আয়ূষী বন্দ্যোপাধ্যায়

পাইন আর দেওদার গাছের মধ্যে পাখির বাসা থাকে কি না তা ঠিক জানা নেই, তবে এক মিষ্টি পাখির কূজন কানে ভেসে আসে রোজই। গতকাল রাতে অমন ঝড়, বৃষ্টি, দম্ভোলি হয়েছে কে বলবে? ভোরের প্রভাকরের প্রকীর্ণ আভা যেন দুর্যোগকে নিশ্চিহ্ন করেছে। ঈশ্বরের দেশে সবই তো তাঁর লীলাখেলা, সেখানে যে নেই কোনও মোহ, মায়া, মাৎসর্য। শুধুই আছে মনকে দয়ার্দ্র করে তোলার পরিপূর্ণ রসদ। 
বিশদ

03rd  November, 2019
পুজোর ছুটি 

পুজোর ছুটিতে কে কী করবে তার পরিকল্পনা অনেক আগেই সেরে ফেলে ছোটরা। সেই তালিকায় ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব, মামার বাড়ি যাওয়া, বেড়ানো, গল্পের বই পড়া, খেলাধুলো সবই থাকে। এবারের পুজোর ছুটি কার কেমন কাটাল তোমাদের শোনাচ্ছে বৈঁচি বিহারীলাল মুখার্জি’স ফ্রি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র-ছাত্রীরা। 
বিশদ

03rd  November, 2019
 আলোর উৎসব
কা লী পু জো

 রং-বেরঙের আলো দিয়ে বাড়ি সাজানো, তুবড়ি, হাউই আর রংমশালের আলোর ছটা, মিষ্টিমুখ, রাত জেগে পুজো দেখা... এমনভাবেই কেটে যায় কালীপুজোর দিনটা। জানাল বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরা। বিশদ

27th  October, 2019
হ্যালোইন নাকি ভূত উৎসব

কার কতটা ভূতের ভয় তা আমার জানা নেই, আমার কিন্তু খুবই ভূতের ভয়, তাই রাতে আমি একা একা ঘরে শুতে পারি না, চোখ বুঝলেই ভূশুণ্ডির মাঠ থেকে হাজার হাজার ভূত উড়ে এসে আমাকে ঘিরে ধরে, কেউ আমার পা ধরে টানে কেউ বা আবার কাতুকুতু দিয়ে আমাকে নাজেহাল করে ছাড়ে, সে সব দুঃখের কথা আজ নয় ছেড়েই দিলাম। তাই ভূত নিয়ে কিছু লিখতে গেলে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে, গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। বিশদ

27th  October, 2019
একনজরে
হায়দরাবাদ, ৬ ডিসেম্বর (পিটিআই): হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার চার অভিযুক্তের মৃত্যু হল পুলিসি এনকাউন্টারে। যবনিকা পতন ঘটল এক বর্বরোচিত অপরাধের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, গত দশ দিনে কোন পথে এগিয়েছিল ঘটনাক্রম।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাইনি হুন্ডাইয়ের উদ্যোগে ২৯তম ফ্রি কার কেয়ার ক্লিনিকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই ক্লিনিক শুরু হয়েছে। তা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ...

নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর (পিটিআই): একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যই প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার সুফল নিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় বছরে বরাদ্দ ছ’হাজার কোটি টাকা।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সমস্ত দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে এবার ব্লক অফিসে গিয়ে বৈঠক করে কাজের হালহকিকত খতিয়ে দেখতে শুরু করলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। বৃহস্পতিবার তিনি সাঁকরাইল ব্লকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এর আগে তিনি আমতা-২ ব্লকেও প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ
১৯৮৪: বরুণ সেনগুপ্তের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করল ‘বর্তমান’  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, দশমী ১/৭ দিবা ৬/৩৪। রেবতী ৪৭/৫০ রাত্রি ১/২৮। সূ উ ৬/৭/৩৪, অ ৪/৪৮/২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে উদয়াবধি। 
২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, একাদশী ৬০/০/০ অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৫০/২৭ রাত্রি ১/১৭/৯, সূ উ ৬/৮/৫৮, অ ৪/৪৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/২৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮/৩৮ গতে ৪/৪৮/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮/৩৯ মধ্যে ও ৪/২৮/৫৬ গতে ৬/৯/৩৭ মধ্যে। 
৯ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উপার্জন ভাগ্য ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে ...বিশদ

07:03:20 PM

আলিপুরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ 
আলিপুর রোডে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ...বিশদ

05:05:00 PM

মালদহে মহিলার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির 

03:51:00 PM

মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দর নবীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 
মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহারের মতো অব্যবহৃত বিমানবন্দর ও বিমান স্ট্রিপগুলির নবীকরণের ...বিশদ

03:34:00 PM

একনজরে গতকালের ম্যাচের রেকর্ডগুলি 
গতকাল হায়দরাবাদে প্রথম টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দারুণ জয় ...বিশদ

02:35:02 PM