Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিজন আত্মঘাতী হবেন। হ্যাঁ, এই কুৎসিত কলঙ্ক আর লজ্জার হাত থেকে একমাত্র মৃত্যুই বাঁচাতে পারে তাঁকে।
কাল সকাল হলেই ওরা থানায় যাবে। বিশু হুমকি দিয়ে গেছে। বিশুর মারের ভয়ে নিজেকে বাঁচাতে জবাও থানায় গিয়ে বলবে, ‘হ্যাঁ, উনি আমাকে...।’ পুলিস এসব কেসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসবে। এতদিন সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার পরে তাঁর উঁচু মাথা মুহূর্তে হেঁট হয়ে যাবে। মানুষ গায়ে থুতু ছেটাবে। কানাঘুষো, কানাকানি, ফোনাফুনি চলবে। থানা, পুলিস, কোর্ট কাছারি, পি সি, জে সি, হাজতবাস। নন বেলেবেল অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট। বিজন কোথায় পালিয়ে বাঁচবেন? আত্মপক্ষ সমর্থনে গলা ফাটালেও কেউ বিশ্বাস করবে না। এসব মহিলাঘটিত ব্যাপারে তাঁকে যদি কেউ নির্দোষ ভাবেও, তবু বলবে, কী জানি, হতেও পারে। আজকালকার যা যুগ, যা ঘটছে চারপাশে। সাধু-সন্ন্যাসীরা পর্যন্ত রেপ কেসে কনভিকটেড হচ্ছে। আর বিজন তো ঘোরতর সংসারী মানুষ। সবাই বলবে, বউ-মরা বেচারার বুড়ো বয়সে ভীমরতি আর কাকে বলে। না না এসব শোনার আগে তাঁকে চলে যেতে হবে এই পৃথিবী থেকে। জবা যেমন ঠান্ডা সুস্থির ভীতু মেয়ে, বিশু ওকে যা শিখিয়ে দেবে মারের ভয়ে ও তা-ই বলবে থানায় গিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা হল, বিজনের নিজের ছেলে আর ছেলের বউ যখন তাঁকে দুশ্চরিত্র, লম্পট ভাবছে, তখন বাইরের পাঁচজন আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব কি বলতে ছাড়বে? বলবে, ভীমরতি বুঝলে, স্রেফ ভীমরতি। ডাকু বলেছে, ‘ছিঃ, ছিঃ বাবা! শেষ পর্যন্ত এই! ভাবতেও ঘেন্না হচ্ছে আমার।’
গভীর রাতে সবার অলক্ষ্যে চুপিসারে বেরিয়ে পড়লেন বিজন সেন। সদর দরজা এমনকী তাঁর শোবার ঘরের দোরদরজা সব আলগা পড়ে রইল। আসুক চোর। বাড়ি ফাঁক করে সব নিয়ে যাক। এখন আর তাতে কিছুমাত্র  যায় আসে না বিজনের। সবই পড়ে থাকবে। তাঁর তো পিছুটান বলে কিছু নেই এখন। ডাকাত পড়ুক বাড়িতে। লুটপাট করে নিয়ে যাক সব।
সন্ধেবেলা জবার বর বিশু এসে যখন হুজ্জোত করল, তখন তিতলিকে দেখে বিজন অবাক হয়ে গেছেন। বিশুর পক্ষ নিয়ে শ্বশুরকে সে টেনে হিঁচড়ে নর্দমায় নামিয়ে দিল। জবাকে খুবই হিংসে করে তিতলি। জবা প্রায়ই সন্ধেবেলা বিজনের কাছে আসে। আজও এসেছিল। কিন্তু এতদিন যা হয়নি, আজ তাই ঘটে গেল। কেন আজ বিজন তাঁর আবেগকে সংযত করতে পারলেন না? তাতেই নিয়তি তাঁকে নিয়ে এই খেলা খেলল। বাষট্টি বছর বয়সে তাঁকে টেনে নিয়ে এই কঠিন পথের প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়ে দিল। তাঁর সামনে এখন একটাই পথ খোলা। সেই পথ গেছে সোজা রেললাইনে। রাত আড়াইটায় একটা সুপার এক্সপ্রেস ছুটে যায় এই আধা শহর আর আধা গ্রাম কাঁপিয়ে। বিজনের টার্গেট এখন সেই সুপার এক্সপ্রেস। হন হন করে হেঁটে সেই ট্রেন ধরতে এগিয়ে যাচ্ছেন বিজন।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে একবারও তিনি বাড়ির দিকে ফিরে তাকালেন না। বিজনের রক্তজল করা পয়সায় তিল তিল করে তৈরি সাধের বাড়িটা। বিজন বলতেন, ‘দেয়ার ইজ নো প্লেস লাইক হোম। হোম সুইট হোম।’
বিজনের বাড়ির সামনে একফালি ফাঁকা জমিতে সাজানো বাগান। প্রকৃতি যেন বসন্তকে বন্ধক রেখেছিল সেই বাগানে। নিরুপমা চলে যাওয়ার পরে সেই বাগানের চিহ্নটুকুও অবশিষ্ট নেই। বুক ফেটে হা-হুতাশ হাহাকার বেরিয়ে আসত বিজনের। নিরুপমা সিঁথির সিঁদুর নিয়ে ড্যাং ড্যাং করে স্বর্গে চলে গেলেন। ব্যস, এই সংসারের সব সুখও তিনি আঁচলে বেঁধে নিয়ে গেলেন।
এই মাঝরাতে সেই বাড়িটা থেকেই ছুটে বেরিয়ে গেলেন বিজন। অলিগলির জংলা পথ ধরে হন হন করে হাঁটছেন তিনি। সদর রাস্তা দিয়ে এত রাতে যাওয়া মুশকিল। থানার লোকেরা জিপ নিয়ে টহল দেয়। পুলিস যদি এত রাতে বিজনকে এভাবে উদভ্রান্তের মতো হেঁটে যেতে দেখে, তাহলে পাকড়াও করবে। বিজনের কাছে তো কোনও সদুত্তর থাকবে না। পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাবে। তাঁকে থানায় টেনে নিয়ে যাবে। তারপর সকালে বিশু জবাকে নিয়ে থানায় ডায়েরি করতে এলে তখন দুয়ে দুয়ে চার করে নেবে পুলিস। বলবে, ‘পালাচ্ছিলেন?’
বিজন জংলা ঝোপঝাড় ভেঙে ভেঙে এগচ্ছেন। নয়নকাননের এই সব ঝোপেজঙ্গলে শঙ্খচূড় সাপের আড্ডা। সেসব কোনও ভয়ই তাঁকে ছুঁতে পারছে না এখন। মৃত্যু ভয় তো এখন তুচ্ছ তাঁর কাছে। এক বীভৎস মৃত্যুকেই তো আলিঙ্গন করতে ছুটে যাচ্ছেন বিজন।
নিরুপমা চলে যাওয়ার পরে একদিন স্টেশনে পাকাচুলের আসরে শরৎবাবু রহস্য করে বলেছিলেন, ‘পরপারে যাওয়ায় জন্য গোছগাছ করে তৈরি থাক হে বিজন। এবার তোমার ডাক এল বলে।’ শরৎবাবুর এই ধরনের রসিকতা পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো করে ঝেড়ে ফেলতে পারেননি বিজন। তাঁর চিবুক শক্ত হয়। শরৎবাবুর নজর এড়ায়নি তা। তিনি বিজনের পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘কথাটা শুনতে খারাপ লাগে জানি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা কী জানো ভায়া? কথাটা হল, বুড়ি মরে গেলে বুড়ো আর বেশিদিন টেকে না।’ শরৎবাবুর কথা সত্যি হয়নি। নিরুপমা চলে যাওয়ার পাঁচ বছর পরেও কি শমন এসেছে তাঁর?
একটা প্রাইভেট ফার্মে অল্প মাইনের চাকুরে ছিলেন বিজন। রিটায়ারমেন্টের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পুরোটাই বাড়িতে ঢেলেছেন। গ্র্যাচুইটির টাকাও বাড়িটাকে ঠিকঠাক আদল দিতে গিয়ে ফিনিশ। একেবারে  কপর্দকশূন্য হয়ে পড়লেন। পেনশন বলে যা আছে, তারচেয়ে বেশি বিল হয় ইলেক্ট্রিসিটির। ডাকুটা মোটা মাইনের ভালো চাকরিটা পেয়ে গেছে তার আগেই। সেই ভরসাতে সর্বস্ব বাড়ির পেছনে ঢেলে ডাহা বোকামি করেছেন তিনি। বিজনের পকেটও শূন্য আর নিরুপমাও চলে গেলেন। একা একেবারে নিঃস্ব আর নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন বিজন। সদর রাস্তার ওপর ভালো পজিশনে বাড়িটায় নজর পড়েছে প্রোমোটারদের। ডাকু আর ডাকুর বউ সে নিয়ে ঠারেঠোরে গাওনা গাইতে এসে বুঝে গেছে সুবিধে হবে না। সেই  থেকে বিজন ছেলে-ছেলের বউয়ের বিষ নজরে। এই বাড়িতে একা একা একটা ফালতু লোক হয়ে কোনওমতে টিকে ছিলেন বিজন।
পাশের বাড়ির বিশুটা অটো চালায়। রাতে বেহেড হয়ে ফেরে। জবাকে মারধর করে। নিরুপমা বেঁচে থাকতে ছুটে গিয়ে বউটাকে বুক দিয়ে আগলাতেন। নিরুপমার কাছে ছুটে ছুটে আসত জবা। নিরুপমা ওকে মেয়ের মতো বুকে টেনে নিয়েছিলেন। সে নিয়ে ডাকুর বউ তিতলির গায়ের জ্বালাপোড়া কম ছিল না। জবাকে বাঁকা কথা শোনাত তিতলি। নিরুপমা বলতেন, ‘ওসব গায়ে মাখিস না। বাড়িটা তোর মাসিমার এটা মনে রাখিস।’ তাই জবা কারও পরোয়া করত না। নিরুপমা চলে যাওয়ার পরেও জবার আসা বন্ধ হয়নি। বরং আসা যাওয়া আগের চেয়ে বেড়েছে। বিজনের ঘর গুছিয়ে দেয় জবা। চা করে দেয়। বিজন বলেন, ‘তুই রোজ রোজ মুখ বুজে মার খাস কেন?’ জবা চুপ করে থাকে। দু’হাতে মুখ ঢেকে কাঁদে। কামিজের দোপাট্টায় চোখ মুছে পাথরপ্রতিমার মতো বসে থাকে।
আজও সন্ধেবেলা চা করে দিতে গিয়ে জবা ধরা পড়ে গেল বিজনের কাছে। বিজন বললেন, ‘মুখ লুকোচ্ছিস কেন? কই দেখি, ইস! এমন অমানুষিক মার মেরেছে। চোখের নীচে কালশিটে পড়ে গেছে। বুঝলি জবা, তুই যদি আমার মেয়ে হতিস তাহলে তোকে ডিভোর্স করিয়ে আমার কাছেই এনে রেখে দিতাম।’ বিজনের এই কথায় বাপ-মা মরা মেয়ে জবা চমকে ওঠে। বিজনের দিকে সরাসরি তাকায়। জবার ভেজা চোখে যেন গর্জন তোলে। দেখে বিজনের বুকের ভেতরটা ককিয়ে ওঠে। এক অপার আবেগ তাঁর বুকের রক্তে আঘাত করতেই জবার দিকে দু’হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। জবাও ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজনের বুকে। বিজনও অপত্য স্নেহে আশ্লেষে জড়িয়ে ধরেন জবাকে। তখনই বিশু ঘরে ঢুকে পড়ে। বিশুর কানে বিষ ঢেলে রেখেছিল তিতলি। তিতলির ওপরের ঘরেই এসে ওত পেতে বসে ছিল বিশু। কিন্তু জবার মুহূর্তের রূপান্তরে বিজনের মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ে। বিশুকে দেখে জবা বলে ওঠে, ‘ছাড়ুন, ছাড়ুন আমাকে।’ বলে বিজনের হাত ছাড়িয়ে ছিটকে সরে যায় জবা। কথাটা সে এমনভাবে বলে, যেন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিজন তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেছিলেন। সেখানেই শেষ নয়, জবা নিজেকে নিরপরাধ সাব্যস্ত করতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। বিজনের দিকে তর্জনী তুলে বিশুকে বলে, ‘দেখো না, উনি আমাকে...’
হন হন করে হাঁটছিলেন বিজন। ভোর হতেই হয়তো তাঁর খোঁজে বাড়িতে পুলিস যাবে। দিস ইজ আ কেস অব মলেস্টেশন। পুলিস বলবে, ‘আপনাকে একটু থানায় আসতে হবে। ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট।’ পাড়া প্রতিবেশীর সামনে হেঁটে গিয়ে পুলিসের ভ্যানে উঠতে হবে। পাড়ার সব লোক ভিড় করে বিনে পয়সার সিনেমা দেখতে আসবে। এই কলঙ্ক কোনওদিন মুছে যাবে না।  মানুষ এসব কেচ্ছা কেলেঙ্কারির কথা ভোলে না। স্মৃতির দেরাজে সযত্নে ভ’রে রেখে দেয়। অবকাশ যাপনের জন্য দেরাজ খুলে বের করে জমিয়ে জাঁকিয়ে বসবে। পুরনো টিকেয় আবার নতুন করে আগুন জ্বেলে নিয়ে হুঁকোমুখোদের গুলতানি চলবে।
অন্ধকারে রেললাইনের পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন বিজন। তবু ভ্রূক্ষেপ নেই। ট্রেন আসার সময় হয়ে গেছে। দ্রুত পা চালিয়ে তিনি সুইসাইড জোনে পৌঁছে গেলেন। রেললাইনের পাশে দাঁতনপাতার ঝোপের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে বসে রইলেন বিজন। রাজ্যের মশার পাল ছেঁকে ধরল তাঁকে। যে শরীর আর খানিক বাদে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, সেই শরীরে মশার মিলিত দংশন এই মুহূর্তে তুচ্ছ মনে হল তাঁর। তাঁর চোখ রেললাইনের দিকে স্থির হয়ে আছে। এই স্পটে পঞ্চাশ বছর আগে বিজনের স্কুলের জলবিন্দু স্যরের কাটা লাশ পড়েছিল। তা দেখতে স্কুলের সবাই ছুটে এসেছিলেন দলবেঁধে। স্যরের বুক থেকে দু’আধখানা হয়েছিল শরীরটা। বুকের ওপর থেকে অর্ধেকটা এমনভাবে বসানো ছিল, যেন আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে। আশ্চর্য চোখের কালো ফ্রেমের মোটা লেন্সের চশমাটা কিন্তু খুলে পড়ে যায়নি। নাকের ওপর বসানো ছিল চশমাটা। যেমন থাকে। ভাবতে ভাবতে বিজনের বুক কেঁপে ওঠে। বহু দূর থেকে তাঁর এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটে আসছে। রেললাইনে একটা সাইক্লোনের মতো সোঁ সোঁ শব্দ ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে। ওই দূরের রেললাইনের দিকে দৃষ্টি ভাসিয়ে রাখেন বিজন। ঠিক সময়মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তাঁকে। কিন্তু বিজন এ কী দেখছেন? রেললাইন ধরে অন্ধকারে একটা ছায়ামূর্তি হেঁটে আসছে। ভূত বা প্রেতাত্মা নাকি? এখানে তো অনেকে কাটা পড়েছে, তাদেরই কারও প্রেতাত্মা কি ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে? ট্রেনের আওয়াজও এখন স্পষ্ট। কিন্তু রেললাইনের ছায়ামূর্তিটা অনেকটাই কাছে এসে পড়েছে। বিজন লক্ষ করলেন, ছায়ামূর্তিটি আসলে একটা নারীমূর্তি। রেললাইন ধরে হেঁটে আসছে। শাড়ির আঁচল লুটিয়ে পড়েছে। টলতে টলতে রেললাইন ধরে এগিয়ে আসছে। তার পেছন থেকে এগিয়ে আসছে ট্রেনটাও। দূর থেকে কানের পর্দা ফাটিয়ে হুইসেল দিতে দিতে ছুটে আসছে ঝড়ের গতিতে এক্সপ্রেস ট্রেনটা। মহিলার কোনও হুঁশ নেই। ভ্রূক্ষেপ নেই। বিজন হতচকিত হয়ে যান। ট্রেনটা একেবারে কাছে চলে এসেছে। বিজন ঝোপের ভেতর থেকে ছুটে বেরিয়ে আাসেন। তারপর তড়িৎ গতিতে ছুটে গিয়ে মহিলাকে জাপটে ধরে গড়িয়ে পড়েন রেললাইনের পাশে পাথরের ঢালে। দু’জনের শরীর থেকে একচুল তফাতে ট্রেনটা টর্নেডোর মতো ঝাপটা দিয়ে বেরিয়ে যায়। মহিলা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টায় হাত-পা ছুড়তে থাকে। বিজন তাঁর শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে মহিলাকে চেপে ধরে ক্রমাগত বলতে থাকেন, ‘না না, আত্মহত্যা মহাপাপ, আত্মহত্যা মহাপাপ...’ বাকি কথা সব ট্রেনের বিকট শব্দে চাপা পড়ে যায়।
19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
একনজরে
বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এক নার্সকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলেন। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু পরে বিয়ের জন্য জোর দিতে থাকেন শালু তিওয়ারি নামে ওই নার্স। ...

দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার। রবিবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ...

বছর দশেক আগে মণিপুরে ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়েছিলেন। মারাত্মক চোট পান বাঁ হাঁটুতে। বহু চিকিৎসাতেও কোনও কাজ হয়নি। ...

রবিবার পুরুলিয়া শহরে কার্যত জনজোয়ারে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শো চলার মাঝেই কোথাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট মেয়েকে আদর করলেন, কোথাও আবার বৃদ্ধাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস
১৪৯৮ - ভাস্কো ডা গামা প্রথম ইউরোপীয়, যিনি আজকের দিনে জলপথে ভারতের কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন
১৫০৬- ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মৃত্যু
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে। প্রকাশক ছিলেন থমাস থর্প
১৮৫৪ - বিশিষ্ট বাঙালি ব্যবসায়ী,সমাজসেবী ও দানবীর মতিলাল শীলের মৃত্যু
১৮৬৭ - মহারানি ভিক্টোরিয়া আজকের দিনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রয়াল অ্যালবার্ট হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৩২- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের মৃত্যু
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা ‍যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক পাড়ি দেন
১৯৪৭ - বিশিষ্ট কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক প্যারীমোহন সেনগুপ্তর মৃত্যু
১৯৫২ – প্রাক্তন ক্যামেরুনিয়ান ফুটবলার রজার মিল্লার জন্ম
১৯৭৪ - চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে
১৯৮৬ - বাংলা ভাষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত
২০১৯ - বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু
২০১৯ -  লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অদ্রীশ বর্ধনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম)  
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম)  
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম)  
রূপার বাট (প্রতি কেজি)  
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি)  
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী ২২/৩৩ দিবা ৩/৫৯। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮/২৩, সূর্যাস্ত ৬/৭/৫৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৯ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।   
৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৩/১৭। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩০ গতে ৪/১২ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় কোন রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭টি কেন্দ্র সহ ...বিশদ

08:22:49 PM

শ্রীরামপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
ভরসন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুর এলাকার একটি স্টকহাউসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। ...বিশদ

07:56:49 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(পঞ্চম দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৭টি ...বিশদ

06:30:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(পঞ্চম দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কত ভোট
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। গোটা দেশের একাধিক রাজ্যের ...বিশদ

06:20:00 PM

কল্যাণীর গয়েশপুরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উপর কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ

05:35:00 PM

মোদি আপনাদের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করে: মোদি

04:57:00 PM