Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

আপনি দশানন দাসকে চেনেন?              
যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।   
লোকটাকে দেখলেই মায়া হবে আপনার। সবার হয়। কিন্তু জানেন তো, বিন্তিমাসির ভাইপোর বন্ধুর পিসের ভাই অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া ওই দশানন দাসকে একদম পছন্দ করে না। ওকে দূর থেকে দেখলেই রাস্তা বদলে অন্য রাস্তা ধরে। কী বলছেন, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়ার নামই শোনেননি আপনি? দূর মশাই, আপনি দেখি কিছুই জানেন না। দশানন দাসকে চেনেন না, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়ার নাম শোনেননি, তাহলে জানেনটা কী?                        
ও মা রাগ করলেন? আচ্ছা আচ্ছা, আপনি দশানন দাস বা অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়াকে চেনেন না সে আর এমনকী! নাই চিনতে পারেন। আপনি তো আর বলেননি যে ভজগৌরাঙ্গ খন্দকারকে আপনি চেনেন না! আমি জানি তাঁকে আপনি চেনেন। আরে ওই যে, গত মাঘ মাসে খালপাড়ের মাঠে যে সুপারহিট যাত্রাপালাটা এসেছিল, ওই যে ‘গলির মোড়ে পুকুরধারে তুমি আর আমি’, সেই দলেরই অধিকারী হলেন ভজগৌরাঙ্গ খন্দকার। কী, চিনলেন তো এবার? জানি চিনবেন। তা সেই ভজগৌরাঙ্গের লতায়পাতায় পিসতুতো ভাই হল গে অবিনশ্বর। কিন্তু এই গল্পটা আসলে অবিনশ্বরের নয়। এটা আসলে দশানন দাসের গল্প।              
আরে চললেন কোথায়? বসুন না মশাই। এই আপনাদের নিয়ে আর পারা যায় না। সব ব্যাপারে তাড়াহুড়ো। বাড়ি যাবেন? সে তো যাবেনই। তা বাড়ি গিয়ে কী করবেন? সেই তো আপনার গাছপাকা ছেলেকে পড়াতে বসাবেন। তক্ষুনি লোডশেডিং হয়ে যাবে। রোজই হয়। এক হাতে পাখা চালাতে চালাতে এক হাতে ছেলের অঙ্ক খাতায় ত্রৈরাশিকের অঙ্ক কষবেন। মাঝে মাঝে পাখার বাঁট দিয়ে মাথার খুশকি আর পিঠের ঘামাচি চুলকোবেন। এদিকে ছেলেও ইয়াব্বড় বড় হাই তুলবে। তুলবেই। কারণ আপনি তো ত্রৈরাশিক কবেই ভুলে মেরে দিয়েছেন। কিন্তু সে কথা ছেলের সামনে প্রকাশ করা চলে না। তাই অগত্যা আপনি আঁক কষেই চলবেন। তারপর যেই না ছেলে আরেকবার হাই তুলবে, অমনি ছেলের পিঠে পাখার ডান্ডা দিয়ে এক রদ্দা কষিয়ে বিড়ি ধরিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াবেন।                
তা তাতেও কী শান্তি আছে? মধ্যবিত্ত বাঙালি পুরুষ নিজের বাড়িতে বসে কবেই বা নিরুদ্বিগ্ন মনে একটা আস্ত বিড়ি টানতে পেরেছে? আপনিও পারবেন না। যেই দ্বিতীয় টানটা দিয়ে ধোঁয়াটা ছাড়বেন, অমনি দেখবেন আপনার গিন্নি রান্নাঘর থেকে চিল চিৎকার জুড়েছেন। না, মানে প্রথমেই সেটা ঠিক ঢক্কানিনাদ মার্কা হবে না। বিড়বিড়, গজগজ, ফ্যাঁচফ্যাঁচ অনেকগুলি পর্ব পেরিয়ে তারপর যেমন বজ্রপাতটা হয় বরাবর, তেমনই হবে। বাঙালি পুরুষের সমস্যা হল গে, পূর্বরাগ পর্বগুলোতে কানে ঠুলি এঁটে থাকে। তারপর আর সামলাতে পারে না। আপনিও পারবেন না জানা কথাই।            
সুতরাং বজ্রপাতটা হবেই। হতে বাধ্য। যেইমাত্র লোডশেডিং হয়েছে, আর আপনার আশপাশের বাড়িগুলোতে জেনারেটরের ঘ্যাটঘ্যাট শব্দ আর নেবারস এনভি ওনারস প্রাইড মার্কা মৃদু মিহিন আলো ছড়িয়ে পড়ছে, আপনার দেড়-দুই দশক পুরনো গিন্নিটিও রান্নাঘরে ইঁদুর আর আরশোলার মাঝে ঘেমে নেয়ে প্রথমে দপদপ করে, পরে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছেন, জেনে রাখুন, আপনি শহিদ হয়েই গেছেন। তারপর সেই তো, থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। যুদ্ধটা এই বয়সে এসে শোয়ার ঘরেও থামে না। বিয়েতে শ্বশুরমশাইয়ের দেওয়া বিছানার দুইপ্রান্তে বিবদমান দুই প্রতিপক্ষ মাঝে কুরুক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ প্রান্তর রচনা করে ঘুমোতে যাবেন। আপনার গিন্নি অভিমানী মেনির মতো ফ্যাচফ্যাচ করে চলবেন, যতক্ষণ না ঘুম আসে। ওদিকে আপনিও চোখ আর নিঃশ্বাস দুটোই প্রাণপণে চেপে পাথুরে অহল্যার মতো পড়ে থাকবেন।                
আমি কী করে জানলাম? আরে মশাই, ফিফটিন ইয়ারস ধরে সংসার কচ্ছি, আমি জানব না? একদম ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা। বাড়ি ঢোকা মাত্র শুরু হবে অশান্তি। তাই তো রাত ন’টা অবধি রোজ এখানে বসে থাকি, এই আপনাদের মতো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গল্পগাছা করি টরি আর কী! তারপর ন’টার ট্রেন ধরি। বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত দশটা। ততক্ষণে বউ ‘ঢ্যাঁড়স-কুমার নাচন-ওয়ালা’ সিরিয়ালে ঢুকে যায়। ওটা ওর ফেভারিট। কিন্তু লোড শেডিং হলেই চিত্তির। মোটা মানুষ তো, দরদর করে ঘামে। তখন শুরু হয় চিল চিৎকার আর আমার বাপ-বাপান্ত। কী বলব, প্রতিবেশীদের বাড়ির দরজা-জানলা তখন এই গরমের মধ্যেও ধপাধপ বন্ধ হতে থাকে। সব দোষ আমার। আমি হলাম গে বেসরকারি অফিসের তস্য জুনিয়ার কেরানি। জিভ বের করে খাটায়, বেতনের ভাঁড়ে মা ভবানী। জেনারেটর কেনার পয়সা পাব কোথায়? সে যাই হোক, আমার কথা ছাড়ুন। আরে উঠছেন যে বড়? বসুন না, দশানন দাসের গল্পটা একটু শুনে যান।              
আচ্ছা যেটা বলছিলাম, দশানন দাসের অমন পাগলপারা অবস্থা বরাবর ছিল না। দিব্যি ভালো মানুষ, মায়ের হাতের পুঁটি, চারা বা খলসে মাছের ঝোলটি দিয়ে এক থালা ভাত খেয়ে ফুলবাবুটি সেজে অফিসে যেত সে, মাইরি বলছি। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আমার কথা কিন্তু বর্ণে বর্ণে সত্যি। আরও শুনতে চান? দশানন দাস একটি সরকারি চাকরিও করত। হলই বা চতুর্থ শ্রেণির কেরানি, তাইতে কী মশাই! চাকরির যা বাজার, পেপারে দেখেননি, আজকাল লাশকাটা ঘরে ডোমের চাকরির জন্যেও পিএইচডির ছাত্ররা ফর্ম ভরে!          
দশানন দাস অবিশ্যি অত লেখাপড়া করেনি। তার বাবা তখনও বেঁচে। ছেলের লেখাপড়ায় মন নেই বেশ বুঝেছিলেন তিনি। ওই বয়স থেকেই ছেলে টেরি বাগিয়ে, ফুল-পাতা-জঙ্গল ছাপ হাওয়াই শার্ট পরে মেয়ে-ইশকুলের সামনে ঘুরে বেড়ায়। দেখেশুনেই বুঝি মনের দুঃখে অসময়ে চোখ বুজলেন ভদ্রলোক। আর তার পরের বছরই দুই বচ্ছর ফেল মারার পর তৃতীয় বছরে গিয়ে আশ্চর্যভাবে দশানন দাস উচ্চ মাধ্যমিকের চৌকাঠটা পেরিয়ে গেল এবং বাবার ছেড়ে যাওয়া সরকারি চাকরির সিংহাসনে গিয়ে বসল।           
আহা, দশানন দাসের জীবনে সোনারঙা সময় ছিল সেটা। কিন্তু মহিলাদের সমস্যাই হচ্ছে তারা পুরুষদের সুখ সহ্য করতে পারে না। এই যে, আপনি আবার উশখুশ করতে শুরু করলেন যে বড়? একটু শান্ত হয়ে বসে শুনুন না মাইরি। ধরান, বিড়িটা ধরান। আমাকেও একটা দেবেন। মাথায় ধোঁয়া না লাগলে গল্প গড়ায় না।      
হ্যাঁ, তা যা বলছিলাম। দিব্যি তো ছিল দশানন দাস। কিন্তু তার সেই সুখ মায়ের সইলে তো? সে বুড়ি উঠেপড়ে লাগলেন ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজতে। তা দশাননের যে খুব একটা আপত্তি ছিল তাও নয়। নারীজাতি সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান আহরণ তার সেই কাঁচা বয়সেই সারা হয়ে গেছিল। মায়ের সঙ্গে ফি সপ্তাহান্তে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতৃকুলের বাড়িতে গিয়ে জলযোগ সহকারে অনূঢ়া কুমারীদের দিকে টেরচা চোখে তাকিয়ে বেশ নতুন শিহরন অনুভব করছিল। মনে হচ্ছিল, একখানি নরমসরম বউ হলে মন্দ হয় না।                   
নিশ্চয়ই ভাবছেন, যে দশাননের এক মুখরা, দজ্জাল বউ এল, যার জন্য দশাননের আজ এই অবস্থা! উঁহু, আপনার কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতে পারছি না। বউ এল দশাননের, ঠিক যেমনটা সে চেয়েছিল। সাত চড়ে রা করে না, ভীরু চোখে চায়, বকলে চোখ ছলছল করে তার, চোখের পাতায় বাষ্প জমে। এই দেখুন দেখি, মেয়েদের ব্যাপারটাই এমন। তাদের কথা বলতে গেলেই আমার কেমন কাব্যি পায়। তা সে যা হোক, দশাননের বউটির নামটিও ছিল বেশ নরম। ধরা যাক, তার নাম লাবণী। অমন সুন্দরী বউ পেয়ে দশানন তো কী করবে ভেবেই পায় না। বউকে ‘মাথায় রাখলে উকুনে খাবে, মাটিতে রাখলে পিঁপড়েয় খাবে’ দশা তার।         
অল্প বয়স থেকে মেয়েদের সম্পর্কে যেটুকু থিওরিটিক্যাল জ্ঞান আহরণ করেছিল দশানন, বউয়ের বেলায় কোনও অভিজ্ঞতাই কোনও কাজে এল না। এ মেয়ের মনের তল পাওয়া ভার। এমনিতে লাবণী সুগৃহিণী। সারাদিন মুখ বুজে ঘরের কাজ করে, বেতো শাশুড়ির সেবা করে। খাসা রান্নাও করতে পারে। আত্মীয়স্বজনেরা নতুন বউয়ের রান্না খেয়ে ধন্য ধন্য করে যায়। শাড়ি-গয়নার জন্য আবদার করে না, সিনেমা বা বাজারে যাওয়ার জেদ করে না। শুধু মঙ্গল আর শুক্কুরবার করে বেলা এগারোটায় ফুলকুল্লি জংশন ইস্টিশনের কাছে শীতলা মন্দিরে পুজো দিতে আসে বউ। ঠাকুর-দেবতাতে তার ভারী ইয়ে, মানে ভক্তি। বিয়ে হওয়া ইস্তক দশাননের মঙ্গলের জন্য ব্রত রেখেছে। জ্যোতিষী নাকি বলেছেন, ছয়মাসের আগে স্বামীসঙ্গ করলে তার বৈধব্যযোগ আছে। অবাক চোখে বউকে চেয়ে চেয়ে দেখে দশানন, আর ভাবে, আহা, এত সুখও তার কপালে ছিল!           
কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না। এক মঙ্গলবার লাবণী মন্দিরে পুজো দিতে গেল। গেল তো গেলই, আর ফিরল না। খুব ট্র্যাজিক গল্প মশাই, কী আর বলব! সেই থেকে দশানন দাস কেমন জানি পাগল পাগল হয়ে গেল। প্রতি হপ্তায় মঙ্গল আর শুক্কুরবার করে বিন্তিমাসির দোকানে এসে বসে থাকে আর বিড়বিড় করে। মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে মন্দিরে যাওয়া আসার পথে মেয়ে-বউদের মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।           আহা আহা, আপনি অমন কাঁদো কাঁদো মুখ করে আছেন কেন? তা আপনারই বা কী দোষ। দশানন দাসের দুঃখে পাথরও কাঁদে। দশানন দাসকে ওই এলাকায় সকলেই চেনে। তাই তো বিন্তিমাসি ফি মঙ্গল আর শুক্কুরবার ওকে বিনি পয়সায় চা খাওয়ায়। সঙ্গে লেড়ো বিস্কুট। বউ পালানো পুরুষ মানুষদের মহিলারা বরাবরই একটু বেশি স্নেহের চোখে দেখে, এটাই নিয়ম। বোঝে না, যারা ঘরে বউ নিয়ে নিত্যদিন জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের দুঃখ আরও বেশি। সবই কপাল!              
কী বলছেন? লাবণী কোথায় গেল? দাঁড়ান মশাই, এসব কথা কি আর উঁচু গলায় বলা যায়? আচ্ছা শুনুন তবে, ঠিক এইখানটায় গল্পে এন্ট্রি নিচ্ছে কে? না, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া। সেই ছোটবেলা থেকেই অবিনশ্বরের সঙ্গে লাবণীর প্রেম। হলে কী হবে? বেকার প্রেমিক, তার উপর আধা বিহারী। যদিও তিন পুরুষ বাংলায় বাস। ওদিকে লাবণীর অমরীশ পুরী মার্কা বাপ কিছুতেই আধা বিহারী, বেকার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বে দেবেন না। ওই যেমন বাংলা সিনেমায় হয়, দু’জনে মিলে হাতে হাত দিয়ে কান্নাকাটি করে। তারপর একদিন প্রেমিকা পোঁ পোঁ সানাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে যায়, সেরকম হার্ট-ড্রেঞ্চিং প্রেম কাহিনি মশাই।         
তো লাবণী ও তার প্রেমিক মিলে মোক্ষম প্যাঁচ কষেছিল। শ্বশুর বাড়িতে ক’দিন লক্ষ্মী বউ হয়ে রইল সে। দশাননকে ধারেকাছেও ঘেঁষতে দিল সে। শুধু মঙ্গল আর শুক্কুরবার মন্দির যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করত। সুখ দুঃখের গপ্পগাছা করত। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চলত। এরই মধ্যে তার প্রেমিকটি এদিক ওদিক করে একখানা চাকরি জুটিয়ে ফেলল। তারপর সময় বুঝে দু’জনে ভাগলবা। সেই থেকে দশাননের এই দশা।      
কী বলছেন, আমি দশানন দাসকে কেন খুঁজছি? কী আর বলব মশাই, লজ্জার কথা। দশানন দাসকে আমার খুব দরকার। তাকে জানাতে তো হবে যে সে কী বাঁচা বেঁচে গেছে! ভাগ্যিস লাবণী তাকে ছেড়ে পালিয়েছিল, নইলে শুধু মঙ্গল, শুক্কুরবার কেন, বরাবরের জন্যই এ দোকান আর সে দোকানের বেঞ্চে বসে কাটাতে হতো। বাড়ি ফেরার কথা মনে হলেই মনে হতো বাঘের গুহায় মাথা ঢোকাতে যাচ্ছে। সংসারের জ্বালায় তাকে জ্বলতে হয়নি, বড় বাঁচা বেঁচেছে সে।      
যাক, আপনার সঙ্গে আলাপ হয়ে খুব ভালো লাগল মশাই। আজ উঠি। ন’টার ট্রেনটা ধরতে হবে। যাই বলুন, বিবাহিত লোক হল বলদের মতো, গোয়াল যতই খারাপ হোক, দিনের শেষে ফিরতেই হয়। আচ্ছা চলি কেমন?  
ডাকলেন আমাকে? আমার নাম? ওই দেখুন কথায় কথায় নিজের নামটাই বলা হয়নি। আমার নাম অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া। আসি ভাই, আর দেরি হলে ট্রেনটা মিস করব। তখন আবার বউ...! যাক গে যাক। আপনার সঙ্গে দুটো সুখ-দুঃখের কথা কয়ে সন্ধেটা ভারী ভালো কাটল। ভালো থাকবেন। 
07th  April, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী রহস্যময় লৌহস্তম্ভ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটি লৌহস্তম্ভ কতটা পথ অতিক্রম করেছে? একটি লৌহস্তম্ভ কীভাবে একটি শহরের জন্মবৃত্তান্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? একটি লৌহস্তম্ভ মরচে লেগে কেন পুরনো হয় না? একটি লৌহস্তম্ভ কবে প্রথম প্রোথিত হল? কোথায় তার জন্মস্থান? বিশদ

12th  May, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
একনজরে
রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...

ভুয়ো চালান ব্যবহার করে নদী থেকে যেন বালি না ওঠে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এভাবেই সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার বন ও ভূমি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। ...

আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টোকোসকে সই করিয়ে দলবদলের বাজার জমিয়ে দিল ইস্ট বেঙ্গল। ...

খেলতে গিয়ে ৫০ ফুট গভীর শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয় পড়ে গেল দেড় বছরের এক শিশুকন্যা। শুক্রবার গুজরাতের আমরেলি জেলার সুরাগপাড়া গ্রামের ঘটনা। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM