Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

স্বামীজির মৃত্যু ও এক বিদ্রোহের জন্ম
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

মশালটা জ্বলছে। মৃত্যুহীন প্রাণের আঁচ অনুভূত বাংলার মনে। তিনি চলে গেলেন নিঃশব্দে। তবু মশালটা জ্বলছে সংস্পর্শীদের হৃদয়তন্ত্রে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মেঘরাশি নিজেই সরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বেলুড়মঠে কামাখ্যা মিত্রকে বলেছিলেন ‘ভারতের আজ বোমার প্রয়োজন!’
সেই বোমার আগুনের আঁচ পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকার ইসলামপুরের আসফ জমাদার লেনের এক তরুণের প্রাণে। কলকাতার বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রিটের আরেকটি প্রাণও জ্বলছে সেই আগুনের তাপে।
পরদিন একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে ফলাও করে প্রকাশিত হল—‘বেলুড় মঠের মাংসভোজী সন্ন্যাসীর মৃত্যু হয়েছে।’ এমন অপমান এদেশের মানুষের থেকে কম পাননি স্বামীজি। তবুও বিশ্বাস করেছেন, মানুষ জাগবেই। সখারাম গণেশ দেউস্করের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে বলেছিলেন, ‘আমি মরবার আগে দেখে যেতে চাই ভারত একটা বারুদের স্তূপ হয়ে আছে।’
৫ জুলাই, ১৯০২। স্বামীজির মৃত্যুর পরদিন, ৯১ বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি থেকে সতীশচন্দ্র ছুটতে ছুটতে গেলেন স্বামী সারদানন্দের কাছে। মৃত্যুর আগে কী নির্দেশ দিয়েছেন স্বামীজি? ব্যাকুল সতীশচন্দ্রের মনের চঞ্চলতা উপলব্ধি করেন সারদানন্দ। বললেন, ‘স্বামীজি যে কাজ তোমাদের করতে বলেছিলেন, সেই কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখবে। একটা কাক দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকলে যেমন মুক্তির জন্য ঝটপট করে, তেমনি তোমরাও মুক্তির জন্য জীবন দেবে! সিস্টার তোমাদের পথ দেখাবেন।’
নিবেদিতা! নামটা শুনেই মনটা তৃপ্ত হয়ে যায় সতীশচন্দ্রের। কলকাতাকে দেওয়া স্বামীজির শ্রেষ্ঠ উপহার। আইরিশ বিদ্রোহের জ্বলন্ত অগ্নি। ১৬ নম্বর বোসপাড়া লেন। কলকাতার বিদ্রোহী যুবকদের চেনা ঠিকানা। ছুটে আসেন সতীশচন্দ্র। মনে বহু প্রশ্ন আর অনিশ্চয়তা। মাতৃস্নেহে সতীশচন্দ্রকে সান্ত্বনা দিলেন নিবেদিতা। স্বামীজির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বেলুড় মঠে গিয়ে কী দেখেছিলেন, জানালেন। ঘরের মেঝের উপর হরিদ্রাবর্ণের ফুলের চাদর আবৃত হয়ে শায়িত স্বামীজির দেহ। ক্লান্ত শিশু যেন মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকে। তেমনই মহাযোগী মগ্ন মহাযোগে। পদ্মচক্ষুদু’টি ঊর্ধ্বগামী, মুখে প্রশান্তি। বলতে বলতে তন্ময় সিস্টার। সম্বিত ফেরে সতীশচন্দ্রের করুণ মুখে মৃদু আর্তনাদ শুনে। আদেশের সুরে বলেন, ‘স্বামীজি নেই, আমি তো আছি। তোমরা স্বামীজির উপদেশ জান। বস্তিতে বস্তিতে কাজ করতে হবে। লাঠি, মুগুর খেলবে, শরীরচর্চা করবে!’
সতীশচন্দ্র স্বামীজির নির্দেশেই গড়ে তুলেছিলেন ‘হিস্টরিক্যাল ক্লাব।’ তাঁর কলেজ জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশনের (বর্তমান স্কটিশচার্চ কলেজ) ছাত্রদের নিয়ে। স্বামীজিও এই কলেজের অ্যালমনি।
স্বামীজি বেঁচে থাকতেই মহাযজ্ঞের আবহ সঙ্গীত বেজে উঠেছিল। ১৯০২ সালের ১০ মার্চ। দোল পূর্ণিমার দিন সতীশচন্দ্র ৪৯ নম্বর কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটে বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করা ক্লাবের নাম দিয়েছিলেন ‘অনুশীলন সমিতি।’ সভাপতি হলেন ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র। নিউ ইন্ডিয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্য থেকে অনুশীলন সমিতি নাম দিয়েছিলেন। স্বামীজির মহাপ্রয়াণ নাড়া দিয়ে গেল সতীশচন্দ্র সহ সমিতির সদস্যদের। মনে মনে সংকল্প করেন তাঁরা, স্বামীজির ইচ্ছা বাস্তবায়িত হবেই।
এরই মধ্যে কলকাতায় টানা সাতদিন বৃষ্টির পর দেখা দিল প্লেগ। সারদানন্দ ও নিবেদিতার সেবা কার্যের প্রধান সেনাপতি সতীশচন্দ্র। সেবা কার্যের জন্য প্রতিষ্ঠা হয় ‘বিবেকানন্দ সোসাইটি’। তাদের অক্লান্ত সেবায় কলকাতার অনেকে রক্ষা পেলেন মহামারি থেকে। কলকাতার বৃন্ধাবন বোস লেনে গড়ে ওঠে বিবেকানন্দ সোসাইটির কার্যালয়। অনুশীলন সমিতির তরুণ কর্মীদের আস্তানা।
এতেই খুশি নন সতীশচন্দ্র। বিবেকানন্দের ইচ্ছার পূর্ণতা দিতে হলে চাই আরও বড় কর্মপ্রচেষ্টা। প্রেসিডেন্ট প্রমথনাথ মিত্র কর্মপ্রচেষ্টার উদ্বোধনের জন্য বাংলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ শুরু করলেন। ঢাকায় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পুলিনবিহারী দাস। প্রমথনাথক নিয়ে এলেন ঢাকায়। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকায় তরুণদের একটি সভা। প্রধান বক্তা প্রমথনাথ। আলোচনায় গভীরে প্রবেশ করেছে সকলে। হঠাৎ একটি ছেলে বলে ওঠে ‘শুধু কথা নয় কাজ চাই, স্বামীজির এই নির্দেশ ছিল।’ তরুণ ছেলেটির নাম হেমচন্দ্র ঘোষ। ঢাকায় স্বামীজির নিজ হস্তে প্রজ্জ্বলিত শিখা। উৎসাহিত প্রমথনাথ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
ঢাকার ইসলামপুরের আসফ জমাদার লেনে থাকেন হেমচন্দ্র। মহাপ্রয়াণের এক বছর আগে বিবেকানন্দ ঢাকা ভ্রমণে যান। ১৯০১ সালের ১৯ মার্চ রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মুখরিত জনতার সখ্যে প্রথম স্বামীজিকে দেখেছিলেন হেমচন্দ্র ঢাকায় স্বামীজি ছিলেন ফরাসগঞ্জে জমিদার মোহিনীমোহন দাসের বাড়িতে। হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে বহুমানুষ ভীড় করেছিলেন। হেমচন্দ্রও দর্শনপ্রার্থী। প্রথম দর্শনে আর তেজোদীপ্ত ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হলেন তিনি।
সতেরো দিনের ঢাকা ভ্রমণে হেমচন্দ্র সঙ্গী হলেন বিবেকানন্দের। হেমচন্দ্রের জীবনের গতিপথ স্বামীজির স্পর্শে পাল্টে গেল। জীবনে এক নতুন অশোকের সন্ধান পেলেন। হেমচন্দ্রের তরুণ মনের অনেক প্রশ্ন, দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে কাটিয়ে স্বামীজি বললেন, ‘আগে চরিত্রবান হও। দেশের সেবা যদি করতে চাও তাহলে বিপ্লবী হও। দেশ মাতৃকার দুর্গতি দূর করিবার জন্য প্রচণ্ড শক্তি ও সাহস সঞ্চয় করে অগ্রসর হও।’
হেমচন্দ্র প্রথম শুনলেন একটি শব্দ ‘বিপ্লবী’। তাঁর পরবর্তী জীবনের রূপরেখা নিজের হাতেই এঁকে দিলেন বিবেকানন্দ। হেমচন্দ্রের বন্ধু শ্রীশচন্দ্র পাল, আলিমুদ্দিন আহমেদও এই দুর্লভ দর্শন এবং আশীর্বাদ লাভের সাক্ষী। তার আগে পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ছিল শুধুই বন্ধুত্ব। স্বামীজির স্পর্শে সেই সম্পর্ক হয়ে উঠল একই আদর্শে উৎসর্গিত মরমি সুহৃদ— কমরেড ইন ফেইথ।
 স্বামীজির মৃত্যু সংবাদ আকুল করে তুলেছিল হেমচন্দ্রকে। তাঁর শেষ ইচ্ছার সফল রূপান্তর ঘটাতে তৈরি করেন একটি গোপন সংগঠন।
ঢাকা থেকে ফেরবার সময় হেমচন্দ্রকে কলকাতায় আসতে বলেন প্রমথনাথ। ১৯০৫ সালেই গুপ্ত দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নাম দিলেন ‘মুক্তি সংঘ’। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে দলের কার্যক্রমে অসহায়, দুর্গত মানুষের মধ্যে সেবার কাজও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯০৫ সালের মাঝামাঝি হেমচন্দ্র এলেন কলকাতায়। দেখা করলেন নিবেদিতা ও ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সঙ্গে। অনুশীলন সমিতি, আত্মোন্নতি সমিতির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়। হেমচন্দ্র দেখলেন কলকাতাতেও স্বামীজির আদর্শে বিশ্বাসী তরুণদল তৈরি হচ্ছে।
স্বামীজির মৃত্যু যেন বজ্রের মতো নেমে এসেছে বাংলায়। চন্দননগরের তরুণ কর্মী মতিলাল রায় তখন সহকর্মী সাগরকালী ঘোষ, ননীলাল দে, সত্যচরণ কর্মকার প্রমুখদের নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের ‘বীরবাণী’ ভিত্তিক এক সেবাদল ‘সৎপথাবলম্বী সম্প্রদায়’ গড়ে তোলেন। চন্দননগরেও এসেছিলেন বিবেকানন্দ। চেয়েছিলেন বাংলায় অস্ত্র সরবরাহের কেন্দ্র হোক চন্দননগর। স্বামীজির মৃত্যু বাংলার সকল বিপ্লবী মানসিকতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য  করেছিল।
স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ অনুযায়ী সমিতি মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিল। মুষ্টিভিক্ষার সাহায্যে চাল এবং দ্রব্য সংগ্রহ করে দরিদ্র পরিবারদের সাহায্য করা হতো। বন্যা বা দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলে সাহায্য ও চিকিৎসার কাজের জন্য পাঠানো হতো সমিতির সদস্যদের। বাংলায় সমিতির প্রথম যুগ এল। বিপ্লবী কাজের আগে চাই খাঁটি মানুষ। স্বামীজির এই শিক্ষাই মুক্তি পাগল তরুণ হৃদয়ের মর্মবাণী। বিবেকানন্দ মৃতপ্রায় জাতির বুকে প্রাণ সঞ্চার করার জন্য বলেছিলেন, ‘Arise Awake and Stop Not Till the goal is Reached’. বিপ্লবীরা তা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করলেন। দেখতে দেখতে অনুশীলন সমিতির কার্যালয় বারুদের স্তুপে পরিণত হল।
স্বামীজির আহ্বান মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিবেদিতা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিতেন। কলকাতার টাউন হলে নিবেদিতার Dynamic Religion বক্তৃতা শুনে বিপিনচন্দ্র পাল বলেছিলেন, ‘এতো পুরো Dynamite।’ অনুশীলনের কর্মীরা তৈরি হয় ডিনামাইটের মতো ফেটে পড়বার জন্য। ম্যাৎসিনির আত্মজীবনী, ক্রোপটকিনের মেমরিজ অফ এ রেভোলিউফানিস্ট, বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত’ বিপ্লবীদের অবশ্য পাঠ্য। ম্যাৎসিনির  বইয়ের শেষ অংশে ‘গেরিলাযুদ্ধ’ অধ্যায়টা নিবেদিতার খুব প্রিয়। তিনি স্বপ্ন দেখেন, এই শহরের বুক থেকে ছড়িয়ে পড়বে যুদ্ধের বার্তা। এই অংশটা নিজে টাইপ করে সমিতির তরুণ সদস্যদের পড়তে দিতেন। দেখতে দেখতে সারা বাংলায় প্রচারিত হল ‘গেরিলা যুদ্ধ’।
বাঙালি বিপ্লবীদের উপরে বিবেকানন্দের মৃত্যু যে গভীর প্রভাব ফেলেছিল লক্ষ্য করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ডাঃ সরসীলাল সরকারের পত্রের উত্তরে ১৯২৮ সালের  ৯ এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ সেই সময়ের সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন—
‘আধুনিককালের ভারতবর্ষে বিবেকানন্দই একটি মহৎ বাণী প্রচার করেছিলেন, সেটি কোনও আচারগত নয়। তিনি দেশের সকলকে ডেকে বলেছিলেন, তোমাদের সকলের মধ্যে ব্রহ্মের শক্তি— দরিদ্রদের মধ্যে দেবতা তোমাদের সেবা চান। এই কথাটা যুবকদের চিত্তকে সমগ্রভাবে জাগিয়েছে। তাই এই বাণীর ফল দেশের সেবায় আজ বিচিত্রভাবে বিচিত্র ত্যাগে ফলছে। তাঁর বাণী মানুষকে যখনই সম্মান দিয়েছে তখনই শক্তি দিয়েছে। সেই শক্তির পথ কেবল একঝোঁকা নয়, তা কোনও দৈহিক প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তির মধ্যে পর্যবসিত নয়, তা মানুষের প্রাণ-মনকে বিচিত্রভাবে প্রাণবান করেছে। বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে যেসব দুঃসাহসিক অধ্যাবসায়ের পরিচয় পাই তার মূলে আছে বিবেকানন্দের সেই বাণী যা মানুষের আত্মাকে ডেকেছে, আঙুলকে নয়।’
বিবেকানন্দের আহ্বান যুবকদের উদ্বেল করেছিল। অস্থিরতার তারনায় বাংলায় এসেছিল বিপ্লবের যুগ। মৃত্যুর আগে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ‘বোমা’ অস্ত্র চেয়েছিলেন বিবেকানন্দ। ১৯০৫ সালে অরবিন্দ ঘোষের নতুন কর্মপন্থা বিবেকান্দ কাঙ্ক্ষিত সশস্ত্র প্রতিরোধের স্বপ্নকে বাস্তব করেছিল। ১৯০৭ সালে ভারতের ক্রিমিন ইন্টালিজেন্স প্রধান জেমস ক্যাম্বেলকার মৃত্যুর পরের বিবেকানন্দ বিপ্লবীদের হৃদয়ে কতটা সক্রিয় তার উল্লেখ করেছেন পলিটিক্যাল ট্রাবল ইন ইন্ডিয়া (১৯০৭-১৭) গ্রন্থে। দৈহিক মৃত্যু ঘটলেও বিবেকানন্দের প্রেরণা জাজ্জ্বল্যমান বহ্নিশিখার মতো লেলিহান হয়ে জ্বলতে লাগল অগ্নিযুগের কাণ্ডারিদের মননজগতে।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
30th  June, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
একনজরে
হরিরামপুরে দু’মাস ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। কিশোরীর অভিযোগ পাওয়ার পর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি হরিরামপুর থানার গোকর্ণ এলাকায়। ...

রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...

সম্প্রতি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এবার পুতিনের দেশকে তার মোক্ষম জবাব দিল জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আকাশ পথে হানায় আগুন ঝরাল ইউক্রেন। সৌজন্যে ‘ড্রাগন ড্রোন’। যা নিমেষের মধ্যে গাছপালা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM