সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
শনিবার দুপুরে দেখা গিয়েছে, মৃৎশিল্পীরা গণেশ মূর্তি বিক্রি করে দুর্গা মূর্তি তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ করতে ব্যস্ত। গত কয়েক ধরে বঙ্গে গণপতি বাপ্পার আরাধনা বেড়েছে। ফলে মূর্তির চাহিদাও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বেড়েছে নানা ডিজাইনের গণেশের বরাত আসা। এদিন বনমালি সরকার স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, কুমোরটুলি স্ট্রিট সহ পটুয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, সেখানে অধিকাংশ শিল্পীর ঘর থেকে বিক্রি হয়ে গিয়েছে গাছের আদলে তৈরি, অশ্বত্থ পাতার আদলে বা সব্জি-ফলের আদলে তৈরি গণেশ। কেউ বানিয়েছিলেন রাজবেশের গণেশ। সবই রমরম করে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শনিবার গণেশ পর্ব মেটার পর সবাই ব্যস্ত দুর্গা প্রতিমা নিয়ে। রাজা পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, ‘আমরা ১৭টি গণেশের বরাত পেয়েছিলাম। পাশাপাশি অতিরিক্ত তৈরি করেছিলাম। সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’ চায়না পাল নামে আর এক শিল্পী বলেন, ‘এবার গণেশের বাজার ছিল খুব ভালো। যত দিন যাচ্ছে হরেক রকমের গণেশের চাহিদা বাড়ছে। পুজো উদোক্তাদের অনুরোধে আমরাও সেরকম প্রতিমা তৈরি করছি।’ নারায়ণ পালের স্টুডিওতে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত কালাচাঁদ দাস ও বিট্টু দাস নামে দুই শিল্পী। তাঁরা বলেন, ‘গণেশের বাজার বেশ ভালো। আমরা দিনরাত এক করে মূর্তি তৈরি করেছি।’ জবা পাল নামে এক শিল্পী বলেন, ‘২২টি গণেশের অর্ডার পেয়েছিলাম। গত বছর পেয়েছিলাম ১৪টি।’ দুর্গা তৈরির মাঝে এতগুলি গণেশ তৈরি করে অতিরিক্ত রোজগার হয়েছে। ফলে খুব খুশি জবাদেবী। হাসি মুখে বলেন, ‘আগে এই পুজোর এতটা প্রচলন ছিল না। এখন তো দেখছি হই হই করে হচ্ছে।’একই বক্তব্য, শিল্পী সমীর পাল, শিল্পী অভয় পাল সহ একাধিক শিল্পীর।