সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
বছর কুড়ি আগেও পরিস্থিতিটা এমন ছিল না। পুজো মানে তখন প্রায় সবই সাবেকি। কেবল কোনও প্রতিমা ডাকের সাজে মাতৃরূপী, তো কোনও প্রতিমা গেরুয়া বসনে চণ্ডীরূপী। এরপর সময় যত এগিয়েছে পুজোর আড়ম্বর বেড়েছে। সাবেকি ছেড়ে থিমে ঝুঁকেছে কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরের অধিকাংশ পুজো। রাজ্য সরকার অনুদান দেওয়ায় অনেক উদ্যোক্তাই থিমের পুজো করতে উৎসাহ পাচ্ছেন। ক্রমশ বদলাতে থাকা এই প্রবণতাতেই যেন নতুন করে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠছে শান্তিপুরের কুমোরপাড়াগুলি।
কলকাতার কুমোরটুলির অধিকাংশ পটুয়া যেহেতু থিমের মূর্তি তৈরিতেই ঝুঁকছেন, তাই এই ছোট দুর্গা প্রতিমার অধিকাংশ অর্ডারই চলে আসে শান্তিপুরে। যা নতুন করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে এই জনপদের শিল্পীদের। যেমন শান্তিপুরের চৌগাছা পাড়ার মৃৎশিল্পী গৌর পাল বলেন, থিমের ঠাকুর প্রায় কেউই পুজো করেন না। তাই এই ছোট ঠাকুর নিয়ে যান তাঁরা। ইদানীং প্রচুর কাজ বেড়ে গিয়েছে। কুমোরটুলির অধিকাংশ অর্ডার চলে আসে এদিকে। স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম নেহাত এই পেশার দিকে আসছে না, তাই কর্মীর সংখ্যা সামাল দেওয়ার মতো হচ্ছে না। না হলে এটা বলাই যায়, কেউ কলকাতার বাজার থেকে ঠিকঠাক ভাবে এই ছোট দুর্গার অর্ডার তুলতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা সম্ভব। কারণ বড় ঠাকুরের মতো প্রচুর কাঁচামাল লাগে না। অল্প পরিসরে অনেক কাজ করা সম্ভব। প্রসঙ্গত, প্রায় তিন মাস আগে থেকে এই ধরনের প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন গৌরবাবু। এখন সার সার ছোট দুর্গা বাক্সবন্দি করার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ তো রয়েছেই। আশ্বিনের প্রাক্কালে চূড়ান্ত ব্যস্ততা তাঁর গোলায়। শেষবেলায় তৃপ্তির সুরে শিল্পী বলেন, এক সময় তো ভেবেছিলাম মৃৎশিল্পের হাত ধরে হয়তো সারাটা জীবন কাটাতে পারব না। এখন এই কাজ নতুন করে আসা জোগাচ্ছে। এবার পুজোয় পরিবারকে অনেক কিছু কিনে দিতে পারব। -নিজস্ব চিত্র