Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বাকি সব গুছিয়ে আনার জন্য!’ নাকের উপর নেমে আসা চশমাটা একটু ঠেলে ঠাকুরমশাই বললেন, ‘অ্যাঁ! বাঙালি হয়ে এটাও জানো না যে, ভাদ্রমাসে এসব শুভ কাজ করতে নেই! মলমাস বলে কতা! তা তোমরা পড়াশোনা জানা বড়ঘরের মানুষ! এসব জানবেই বা কেন!’
আমার কাছেও অনেকেই আসেন বিয়ে নিয়ে কথা বলতে। তাঁদের অধিকাংশই প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, ‘আচ্ছা, অমুক মাসটি, অমুক দিনটি, অমুক সময়টি শুভ তো? ওই মাসটি মলমাস নয় তো? পৌষমাসে পনেরো তারিখের আগে কোনও হল পাচ্ছি না, জানেন! কী হবে! পনেরোই ডিসেম্বরের পর তো মলমাস পড়ে যাচ্ছে!’ শুভ-অশুভ, এই কথাগুলি পেরিয়ে মলমাস কথাটিতে যাই। এটি একটি বিশুদ্ধ অঙ্ক দ্বারা সৃষ্ট ভাবনামাত্র। অনেকটা ইংরেজি লিপ ইয়ারের মতো। প্রতি চার বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দিন বাড়ানো হয় হিসেবের সুবিধার জন্য। মলমাসও তাই। প্রতি বছরে একাধিক মলমাস হওয়া তো দূরের কথা, সব বছরে মলমাস থাকেও না। মাসের হিসেব, বছরের হিসেব ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একরকম। আমাদের ভারতবর্ষের আবার আলাদা দু’রকম। চান্দ্র মাস এবং সৌর মাস।
ভারতীয় প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর চারপাশে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের প্রায় ২৭.৩ দিন সময় লাগে। পৃথিবী প্রতি ৩৬৫.২৪২২ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী ও চাঁদ ২৭.৩ দিনে সূর্যের চারপাশে প্রায় ১/১২ পথ পদ্ধতি হিসাবে সরে গিয়েছে। এর অর্থ হল এক পূর্ণিমা থেকে পরবর্তী পূর্ণিমা পর্যন্ত, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের বক্ররেখার কারণে চাঁদকে আবার পূর্ণিমা রূপে আবির্ভূত হওয়ার আগে ২.২ অতিরিক্ত দিন ভ্রমণ করতে হবে। এটি চান্দ্র বছর এবং সৌর বছরের মধ্যে বছরে ১০.৮৭ দিনের পার্থক্য তৈরি করে। এই পার্থক্যের জন্য পূরণ করতে, গড়ে প্রতি ৩২.৫ মাস পরে অতিরিক্ত একটি মাস যোগ করা হয়। এবং প্রায় তিন বছর পর এমন একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় বলে একে অধিক মাস বলেও অভিহিত করা হয়। এই অতিরিক্ত মাসকেই মূলত মলমাস বলা হতো। এর সঙ্গে ভালো বা খারাপের যোগ থাকতেই পারে না।
সাধারণ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ না-করা পর্যন্ত কোনও শুভ কার্য শুরু হয় না। এক্ষেত্রে মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি যে, বৈদিক যুগে হিন্দু ধর্ম বলে কোনও ধর্মের উল্লেখ নেই। আসলে দিন যত এগিয়েছে, আমরা সামাজিক ধারায় যেন আরও পিছিয়ে পড়েছি। গ্রহ-নক্ষত্রের গতিধারা, পূর্ণিমা-অমাবস্যা, গ্রহণের সঙ্গে মানুষের জীবনের যোগ যুক্ত করেছি। পুরোটাই অত্যন্ত সচেতনভাবে। জীবনযাত্রা যত জটিল হবে, তত বেশি করে আমাদের ব্রাহ্মণদের, সমাজপতিদের কাছে ছুটতে হবে। এই সময় এমন কাজ করা যায় তো? করলে আমার পরিবারের কারুর কোনও বিপদ আসবে না তো? আর যদি করতেই হয়, তবে কীভাবে, কত বড় যজ্ঞ বা শান্তি স্বস্ত্যয়ন করলে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে? এ যেন ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার এবং দুর্নীতি প্রতিষ্ঠা করে টাকা লুন্ঠনের নিদারুণ উপায়। দরিদ্র হলে আসলে তার সবটাই অশুভ।
এক মাসে দু’টি অমাবস্যা পড়লে সেই মাসটিকে দুষ্ট বা মলিন মাস অর্থাৎ মলমাস বলা হয়। একবার সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে, জীবনবোধ দিয়ে ভেবে দেখুন তো, অমাবস্যার সঙ্গে কাজ করা বা না করার কোনও যোগ থাকতে পারে? আজ পর্যন্ত যত কাজ, যেগুলিকে আমরা উৎসবের মতো করে পালন করি, তা বিয়ে, গৃহপ্রবেশ বা অন্নপ্রাশন—যাই হোক না কেন, যাঁরা যাঁরা পাঁজি দেখে, প্রচলিত ধারায় দিনক্ষণ মেনে সম্পন্ন করেছেন, সবার সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে তো? আর এই সব কিছু ভারতবর্ষের মধ্যেই হয়?  যেমন, নির্ভয়ার ঘটনায় কারা যেন বলেছিল, মেয়েটি রাতে বেরিয়েছিল কেন? ধর্ষকদের ভাই বলে ডাকেননি কেন? কৃষ্ণনাম করেনি কেন? তাদেরই তৈরি করা শাস্ত্র তৈরি করেছে শুভ-অশুভের এমন আশ্চর্য হিসেব! যা মানুষের হাতে নেই! অথচ মানুষ ভয় পায়! অজানাকে ভয়। অচেনাকে ভয়। আর সেই না জানা থেকেই অন্ধ ভক্তি।
চৈত্র, কার্তিক, ভাদ্র আর পৌষমাসে এদিকে লক্ষ্মীপুজো হয়। ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হয়। রাধার জন্মও কল্পনা করা হয়েছে এই ভাদ্র মাসেই। আবার মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড় উৎসব গণেশ পুজোও এ মাসেই হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষ মৃতদের পুজোর জন্য সংরক্ষিত। এই সময়টিকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। ঋষি পঞ্চমীও এই মাসেই পালন করা হয়। এতগুলো পুজো বা উৎসব যে মাসে পালিত হয়, সেই মাসটিকে অশুভ বলে লাঞ্ছিত করাই বা কেন? তাছাড়া ঈশ্বরে যিনি বিশ্বাস করেন, তিনি কী করে মনে করতে পারেন যে সর্বমঙ্গলময় ঈশ্বর সময়কে শুভ-অশুভতে ভাগ করেছেন? আর যাঁরা বোঝেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব একটি কল্পনামাত্র, তাঁদের তো এই সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর কথাই না!
আমাদের বাংলা ভাষায় প্রতিটি মাসের নাম এসেছে কোনও না কোনও নক্ষত্রের নামে। যেমন পুষ্যা নক্ষত্রের নাম থেকে পৌষ। ঠিক তেমনই পূর্ব ভাদ্রপদ, ‍উত্তর ভাদ্রপদ থেকে এসেছে ভাদ্র মাসের নাম। আর ভাদ্র মাত্রেই তো অধিমাসও নয়। কিন্তু দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়, এই নিয়মে ভাদ্রমাসকে অধি বা মলমাস হয়ে বসে আছে। আর ওই যুক্তির ব্যাখ্যাকে চাপা দিয়ে উঠে এসেছে অন্ধকার মাসের তত্ত্ব। দুষ্ট মাসের তত্ত্ব। ঠিক যেমন সব জেনেও আমরা রাসায়নিক সার দেওয়া খাবার খাই বা রাস্তার জাঙ্ক ফুডের দোকানে দাঁড়িয়ে রোল, চাউমিন, মোমো, পিৎজা খেয়ে তার পরেই অ্যাসিড, পেটব্যথার জন্য ওষুধ কিনতে ছুটি... আর শেষে ভর্তি হই হাসপাতালে; এও যেমন একটা চক্র। এই সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস ছড়িয়ে, অশুভ শক্তির বিপদের কথা বলে আমাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়, যাতে আমরা ছুটি শুভ শক্তির নাম করে ব্যবসা করা অশুভ শক্তির দালালদের কাছে।
নিজেকে প্রশ্ন করুন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করুন। ইস্কুলে ছেলেমেয়েদেরও প্রশ্ন করতে উৎসাহ দেওয়া হোক। শরীরের যেমন হজমশক্তি বাড়ানো দরকার, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম দরকার, ঠিক তেমনই মানসিক হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য যে কোনও বিষয় গভীরে গিয়ে বোঝা দরকার। উপলব্ধি করা দরকার।
শ্রবণ-মনন-নিদিধ্যাসন। এই ছিল প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার পদ্ধতি। আগে ভালো করে শোনো। সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করো। বার বার চর্চা করো। তার পরে সেই বিষয়ের অর্থকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সহায়তায় উপলব্ধি করো। কিন্তু মেনে নেওয়ার অভ্যাসটি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে। সেই ‘সোনার কেল্লা’য় জটায়ু মেনে নিয়েছিলেন ফেলুদার কথা। কোনও প্রশ্ন নয়। তারপরেও তাঁকে থামানো যায়নি। মনের মধ্যে গজিয়ে ওঠা প্রশ্ন করেই ফেলেছিলেন। আমরা করি না। ছেলেমেয়েদের প্রথমেই চুপ করিয়ে দিই। নিজেদের মনে প্রশ্ন জাগলেও অধিকাংশ সময়েই চুপ করে থাকি। কী জানি বাবা, ঝামেলা বাড়িয়ে কাজ কী! যদি কিছু খারাপ হয়, গোলমাল হয়, শুধু শুধু দোষ ঘাড়ে নেওয়ার দরকার কী! বরং মেনে নাও। সেই একটি জনপ্রিয় গান আছে না—‘কথা বলো না, কেউ শব্দ করো না, ভগবান নিদ্রা গিয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না!’ ২০২৪ সালে এসেও আমাদের সেই অবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থারও গোড়াতেই গলদ। মুখস্থ করো। আত্মস্থ নয়। কারণ আত্মস্থ করতে গেলেই প্রশ্ন তৈরি হবে যে। তাই মেনে নিতে শেখাও। বুঝতে হবে না, পালন করুক। যাঁরা অচেতনভাবে এই সব মেনে চলেন, তাঁদের কথা তবু আলাদা।  কিন্তু এইসব আশ্চর্য লোকাচার যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরাই ভয়ানক বিপজ্জনক। কারণ তাঁরা সবথেকে ভালো জানেন যে, শুভ-অশুভ বলে কিছু হয় না সেভাবে। আর সেই কারণেই দুর্বলদের লুট করার জন্য তাঁরা অনায়াস দক্ষতায় এই সমস্ত অপবিশ্বাসের বীজ মানুষের মনে পুঁতে দেন।  
08th  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে। খেতাবি লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লায়োনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে দু’মাস। চোট সারিয়ে মাঠে ...

আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM