Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

বেগম বনাম কন্যা
‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? 
ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
১৯৭৪ সাল। কাও গেলেন ঢাকায়। শেখ মুজিবুর রহমান একটি মিটিং করছিলেন। চিরকুট দেখে তিনি বিস্মিত। এই ভদ্রলোক এখানে? এই লোকটা ইন্ডিয়ার সাংঘাতিক এক স্পাই মাস্টার! একাত্তরে একাই প্ল্যান করে বহু অপারেশন করিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধদের অপারেশনাল মুভমেন্ট নিজেই করেছেন। এমনকী বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি তৈরিতে এই মানুষটির কৃতিত্ব সর্বাধিক। 
মুজিব বেরিয়ে এলেন। নিজের চেম্বারের দিকে হাঁটছেন। আর এন কাও এগিয়ে এসে বললেন, ‘স্যর, একটু বাইরে আসুন। বাগানে।’ মুজিব বিস্মিত। কী ব্যাপার? কাও তাঁকে যে কথা বললেন, সেটা শুনে ভ্রু কুঁচকে গেল বঙ্গবন্ধুর। তারপর হেসে বললেন, ‘এ আপনি কী বলছেন? না না এসব সম্ভবত ঠিক নয়। যাদের কথা আপনি বলছেন, তারা সব আমার খুব কাছের মানুষ। এরা এরকম করবে কেন?’ কাও ফিরে এলেন। আবার ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে পাঠালেন এক অফিসারকে। আবার একটি ইনপুট পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে সেই একই উদ্দেশ্য। এবারও মুজিব সেরকম গুরুত্ব দেননি।
হ্যাঁ। দু’বার ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা মুজিবকে সতর্ক করেছিল যে, তাঁর আশেপাশেই একটি চক্রান্ত চলছে। তৈরি হচ্ছে তাঁকে হত্যার প্লট। তিনি যেন সতর্ক থাকেন। আর প্রশাসন তথা আর্মিতে সবাইকে বদলে দেন! মুজিব হয়তো কিছুদিন পর সেকথা মেনে কিছু রদবদল করতেন। কিন্তু ভারতের গুপ্তচর সংস্থার সোর্স ইনপুটকে সত্য করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবুর রহমানকে বাসভবনে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। শুধু দুই কন্যা ছিলেন না অভিশপ্ত সেই বাসভবনে! হাসিনা এবং রেহানা। দু’জনেই ছিলেন জার্মানিতে। আর তাই প্রাণে রক্ষা পেলেন। দু’জনেই গোপনে ফিরলেন। কোথায়? দিল্লিতে। ইন্ডিয়া গেটের কাছেই পান্ডারা রোড। সেখানে সরকারের এক গেস্ট হাউসে শেখ হাসিনার গোপনে থাকার ব্যবস্থা হল। কে করে দিলেন এই ব্যবস্থা? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ঠিক ৪৯ বছর পর আবার হাসিনা প্রাণরক্ষা করতে পালিয়ে এলেন গোপনে সেই একই শহরে। দিল্লি। এবারও ভারত সরকার তাঁকে ভারতীয় বায়ুসেনার এক অতিথিশালায় আশ্রয় দিয়েছে। এবারও সেই আগস্ট!
১৯৭৫ সালে মুজিব হত্যার পর ক্ষমতাসীন হওয়া মোশতাক আহমেদকে সরিয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেন। এসেই মুজিব হত্যার অপরাধীদের মুক্তি দিতে শুরু করেন। তৈরি করেন নিজের একটি দল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। বিএনপি।
জিয়াউর রহমান কিন্তু হত্যার রাজনীতির কাছে নিজেও আত্মসমর্পণ করলেন একদিন। ১৯৮১ সালে সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে তাঁকেও হত্যা করল আর্মির এক বাহিনী।
তারপর কেটে যায় ১০ বছর। ১৯৯১ সালে হঠাৎ একটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বাংলাদেশের আকাশে মোকাবিলায় অবতীর্ণ হন দুই নারী। একজনের পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা। অন্যজনের স্বামী নিহত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া। দুই নারীর সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস থেকে আর বেরতে পারেনি বাংলাদেশ। আজও বাংলাদেশের জনমনের দুই-ই চালিকাশক্তি। বেগম এবং কন্যা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪। ৩৩ বছর ধরে দু’জনে বলে এসেছেন, তাঁরাই আনবেন গণতন্ত্র! কেউ কথা রাখেনি! 
অলৌকিক রবীন্দ্রনাথ
সোভিয়েত ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে একটি কারখানা নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৮ সাল। সেই অর্থেই জি এম প্লান্ট উদ্বোধন করলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এসেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট অধিবেশনে কোরান তেলাওয়াতের আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা নিয়ে প্রতিবাদ হ঩য়েছে। একাংশের বক্তব্য, কোরান তেলাওয়াতের আগে কীভাবে জাতীয় সঙ্গীত স্থান পায়? সবার উপরে কোরান। অন্য পক্ষের বক্তব্য, জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই তো অনুষ্ঠানের সূত্রপাত। দোষের কী আছে?
সেই প্রসঙ্গ টেনে সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা চৌধুরী ইউসুফ বললেন, ‘স্যর, আমাদের পতাকায় ইসলামিক রং নাই। এটা আমাদের ভালো লাগে না।’ জিয়াউর হাত তুলে বললেন, ‘সবকিছু হবে। তার আগে জাতীয় সঙ্গীতটা পাল্টানো দরকার। তারপর জাতীয় পতাকা।’
জিয়ার ওই আশ্বাস নিছক কথার কথা ছিল না। ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান একটি গোপন চিঠিতে সেই প্রস্তাব দিলেন সরকারকে। লিখলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী। উনি একজন হিন্দু কবি। তাই আমাদের নিজেদের কবির লেখা জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত। জাতীয় সঙ্গীত হোক ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’।’ চিঠি পেয়েই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দিকে অগ্রসর হয় মন্ত্রিপরিষদ। তবে জাতীয় সঙ্গীতকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই আর্মির হাতে প্রাণ হারান রাষ্ট্রপতি।
সেই প্রথম নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবকে হত্যার পরই প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ স্থির করলেন, জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে হবে। গঠন করা হল কমিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বীপ মহম্মদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক বৈঠকে স্থির হয়, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ বদলে দু’টি গানের মধ্যে থেকে একটিকে বাছা হবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফারুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ নামক কবিতা। কিন্তু মোশতাক আহমেদ ক্ষমতায় থাকতেই পারলেন না। হয়ে গেল আবার অভ্যুত্থান। আবার ধামাচাপা পড়ল উদ্যোগ। 
২০০২ সালের ১৯ মার্চ। বিএনপি-জামাত জোটের সরকারের দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামি ও আলি আহসান মুজাহিদ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে উদ্যোগী হন। খালেদা জিয়ার কাছে জমা দেওয়া সেই সুপারিশপত্রের ভাষ্য ছিল, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ ও চেতনার আলোকে জাতীয় সঙ্গীত সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করেননি। তিনি চিঠি পাঠিয়ে দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবাদও ওঠে। ঠান্ডাঘরে পাঠানো হয় প্রস্তাব। স্থির হয়, সুযোগ বুঝে মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সময় আর আসেনি। ২০০৪ সালে ওই সময়েই শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড অ্যাটাক হয়।
বিএনপি এবং জামাত ক্ষমতাসীন হলেই এই উদ্যোগ বারংবার দেখা গিয়েছে। সুতরাং ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করার প্লট সফল হওয়ার পর, এরপর কী কী বদল হতে চলেছে বাংলাদেশে? জাতীয় সঙ্গীতে কি রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ থাকবে?  
এ ব্যাপারে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। দু’টি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে চলেছে এই উপমহাদেশে। বহুকাল ধরে। মোট সাতবার ভাঙা হয়েছে এবং গড়া হয়েছে দিল্লি নামক একটি নগরী। যতবার সেই নগরীকে কেউ বদলাতে চেয়েছে, ততবারই সে ধাক্কা খেয়েছে। কখনও সিংহাসনচ্যুত হয়ে। কখনও পরাস্ত হয়ে পলায়ন বা রণাঙ্গণে নিহত হয়েছে সেই শাসক। আবার পাশাপাশি এটাও কি অলৌকিক এক সমাপতন নয় যে, ঢাকা নামক অন্য একটি নগরীর ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে বসে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত যখনই যে সরকার অথবা শাসক বিগত ৫৩ বছরে বদলাতে চেয়েছে, ঠিক তারপরই দেখা দিয়েছে সেই শাসকের বিদায়ধ্বনি! অতএব ভুল যেন না করে নতুন সরকার! না হলেই উল্টে যাবে ক্ষমতা!
11th  August, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...

শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে। খেতাবি লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লায়োনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে দু’মাস। চোট সারিয়ে মাঠে ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM