Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

বেগম বনাম কন্যা
‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? 
ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
১৯৭৪ সাল। কাও গেলেন ঢাকায়। শেখ মুজিবুর রহমান একটি মিটিং করছিলেন। চিরকুট দেখে তিনি বিস্মিত। এই ভদ্রলোক এখানে? এই লোকটা ইন্ডিয়ার সাংঘাতিক এক স্পাই মাস্টার! একাত্তরে একাই প্ল্যান করে বহু অপারেশন করিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধদের অপারেশনাল মুভমেন্ট নিজেই করেছেন। এমনকী বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি তৈরিতে এই মানুষটির কৃতিত্ব সর্বাধিক। 
মুজিব বেরিয়ে এলেন। নিজের চেম্বারের দিকে হাঁটছেন। আর এন কাও এগিয়ে এসে বললেন, ‘স্যর, একটু বাইরে আসুন। বাগানে।’ মুজিব বিস্মিত। কী ব্যাপার? কাও তাঁকে যে কথা বললেন, সেটা শুনে ভ্রু কুঁচকে গেল বঙ্গবন্ধুর। তারপর হেসে বললেন, ‘এ আপনি কী বলছেন? না না এসব সম্ভবত ঠিক নয়। যাদের কথা আপনি বলছেন, তারা সব আমার খুব কাছের মানুষ। এরা এরকম করবে কেন?’ কাও ফিরে এলেন। আবার ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে পাঠালেন এক অফিসারকে। আবার একটি ইনপুট পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে সেই একই উদ্দেশ্য। এবারও মুজিব সেরকম গুরুত্ব দেননি।
হ্যাঁ। দু’বার ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা মুজিবকে সতর্ক করেছিল যে, তাঁর আশেপাশেই একটি চক্রান্ত চলছে। তৈরি হচ্ছে তাঁকে হত্যার প্লট। তিনি যেন সতর্ক থাকেন। আর প্রশাসন তথা আর্মিতে সবাইকে বদলে দেন! মুজিব হয়তো কিছুদিন পর সেকথা মেনে কিছু রদবদল করতেন। কিন্তু ভারতের গুপ্তচর সংস্থার সোর্স ইনপুটকে সত্য করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবুর রহমানকে বাসভবনে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। শুধু দুই কন্যা ছিলেন না অভিশপ্ত সেই বাসভবনে! হাসিনা এবং রেহানা। দু’জনেই ছিলেন জার্মানিতে। আর তাই প্রাণে রক্ষা পেলেন। দু’জনেই গোপনে ফিরলেন। কোথায়? দিল্লিতে। ইন্ডিয়া গেটের কাছেই পান্ডারা রোড। সেখানে সরকারের এক গেস্ট হাউসে শেখ হাসিনার গোপনে থাকার ব্যবস্থা হল। কে করে দিলেন এই ব্যবস্থা? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ঠিক ৪৯ বছর পর আবার হাসিনা প্রাণরক্ষা করতে পালিয়ে এলেন গোপনে সেই একই শহরে। দিল্লি। এবারও ভারত সরকার তাঁকে ভারতীয় বায়ুসেনার এক অতিথিশালায় আশ্রয় দিয়েছে। এবারও সেই আগস্ট!
১৯৭৫ সালে মুজিব হত্যার পর ক্ষমতাসীন হওয়া মোশতাক আহমেদকে সরিয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেন। এসেই মুজিব হত্যার অপরাধীদের মুক্তি দিতে শুরু করেন। তৈরি করেন নিজের একটি দল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। বিএনপি।
জিয়াউর রহমান কিন্তু হত্যার রাজনীতির কাছে নিজেও আত্মসমর্পণ করলেন একদিন। ১৯৮১ সালে সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে তাঁকেও হত্যা করল আর্মির এক বাহিনী।
তারপর কেটে যায় ১০ বছর। ১৯৯১ সালে হঠাৎ একটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বাংলাদেশের আকাশে মোকাবিলায় অবতীর্ণ হন দুই নারী। একজনের পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা। অন্যজনের স্বামী নিহত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া। দুই নারীর সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস থেকে আর বেরতে পারেনি বাংলাদেশ। আজও বাংলাদেশের জনমনের দুই-ই চালিকাশক্তি। বেগম এবং কন্যা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪। ৩৩ বছর ধরে দু’জনে বলে এসেছেন, তাঁরাই আনবেন গণতন্ত্র! কেউ কথা রাখেনি! 
অলৌকিক রবীন্দ্রনাথ
সোভিয়েত ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে একটি কারখানা নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৮ সাল। সেই অর্থেই জি এম প্লান্ট উদ্বোধন করলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এসেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট অধিবেশনে কোরান তেলাওয়াতের আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা নিয়ে প্রতিবাদ হ঩য়েছে। একাংশের বক্তব্য, কোরান তেলাওয়াতের আগে কীভাবে জাতীয় সঙ্গীত স্থান পায়? সবার উপরে কোরান। অন্য পক্ষের বক্তব্য, জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই তো অনুষ্ঠানের সূত্রপাত। দোষের কী আছে?
সেই প্রসঙ্গ টেনে সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা চৌধুরী ইউসুফ বললেন, ‘স্যর, আমাদের পতাকায় ইসলামিক রং নাই। এটা আমাদের ভালো লাগে না।’ জিয়াউর হাত তুলে বললেন, ‘সবকিছু হবে। তার আগে জাতীয় সঙ্গীতটা পাল্টানো দরকার। তারপর জাতীয় পতাকা।’
জিয়ার ওই আশ্বাস নিছক কথার কথা ছিল না। ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান একটি গোপন চিঠিতে সেই প্রস্তাব দিলেন সরকারকে। লিখলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী। উনি একজন হিন্দু কবি। তাই আমাদের নিজেদের কবির লেখা জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত। জাতীয় সঙ্গীত হোক ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’।’ চিঠি পেয়েই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দিকে অগ্রসর হয় মন্ত্রিপরিষদ। তবে জাতীয় সঙ্গীতকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই আর্মির হাতে প্রাণ হারান রাষ্ট্রপতি।
সেই প্রথম নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবকে হত্যার পরই প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ স্থির করলেন, জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে হবে। গঠন করা হল কমিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বীপ মহম্মদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক বৈঠকে স্থির হয়, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ বদলে দু’টি গানের মধ্যে থেকে একটিকে বাছা হবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফারুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ নামক কবিতা। কিন্তু মোশতাক আহমেদ ক্ষমতায় থাকতেই পারলেন না। হয়ে গেল আবার অভ্যুত্থান। আবার ধামাচাপা পড়ল উদ্যোগ। 
২০০২ সালের ১৯ মার্চ। বিএনপি-জামাত জোটের সরকারের দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামি ও আলি আহসান মুজাহিদ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে উদ্যোগী হন। খালেদা জিয়ার কাছে জমা দেওয়া সেই সুপারিশপত্রের ভাষ্য ছিল, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ ও চেতনার আলোকে জাতীয় সঙ্গীত সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করেননি। তিনি চিঠি পাঠিয়ে দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবাদও ওঠে। ঠান্ডাঘরে পাঠানো হয় প্রস্তাব। স্থির হয়, সুযোগ বুঝে মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সময় আর আসেনি। ২০০৪ সালে ওই সময়েই শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড অ্যাটাক হয়।
বিএনপি এবং জামাত ক্ষমতাসীন হলেই এই উদ্যোগ বারংবার দেখা গিয়েছে। সুতরাং ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করার প্লট সফল হওয়ার পর, এরপর কী কী বদল হতে চলেছে বাংলাদেশে? জাতীয় সঙ্গীতে কি রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ থাকবে?  
এ ব্যাপারে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। দু’টি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে চলেছে এই উপমহাদেশে। বহুকাল ধরে। মোট সাতবার ভাঙা হয়েছে এবং গড়া হয়েছে দিল্লি নামক একটি নগরী। যতবার সেই নগরীকে কেউ বদলাতে চেয়েছে, ততবারই সে ধাক্কা খেয়েছে। কখনও সিংহাসনচ্যুত হয়ে। কখনও পরাস্ত হয়ে পলায়ন বা রণাঙ্গণে নিহত হয়েছে সেই শাসক। আবার পাশাপাশি এটাও কি অলৌকিক এক সমাপতন নয় যে, ঢাকা নামক অন্য একটি নগরীর ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে বসে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত যখনই যে সরকার অথবা শাসক বিগত ৫৩ বছরে বদলাতে চেয়েছে, ঠিক তারপরই দেখা দিয়েছে সেই শাসকের বিদায়ধ্বনি! অতএব ভুল যেন না করে নতুন সরকার! না হলেই উল্টে যাবে ক্ষমতা!
11th  August, 2024
মেহফিল-এ ডোভাল লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
একনজরে
পুলিসের ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুরের সুজালি পঞ্চায়েতের ঢুলিগাঁও মোড় এলাকায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সোহরাব আলি (৫০) ওই এলাকার বাসিন্দা। ...

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর আমেরিকায় ‘অবৈধ অভিবাসী’ ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলেছেন তিনি। ...

ভারতীয় সেনায় ঢুকে পড়েছে পাক গুপ্তচর! এমনই চাঞ্চল্যকর মামলায় আগেই এফআইআর দায়ের করে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার ঘুষ খেয়ে এহেন গুরুত্বপূর্ণ ...

মহেশতলার বাটা কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। দু’বছর অন্তর নির্বাচন হয় শ্রমিক সংগঠনে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭: কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৮৯৭: শর্টহ্যান্ড লেখন পদ্ধতির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যানের মৃত্যু
১৯০০: টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭: প্রথমবার বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার
১৯৩৪: অভিনেতা তথা চিত্রপরিচালক বিজয় আনন্দের জন্ম
১৯৪৯: ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের জন্ম
১৯৬৮: সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্রর জন্ম
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম
১৯৯৯: দীর্ঘ ২১ বছর পর পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের ভারত সফর শুরু হয়
২০২২: কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.১২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৩ টাকা ১০৭.৯৩ টাকা
ইউরো ৮৮.৬২ টাকা ৯১.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী ২২/২০, দিবা ৩/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৫০/৪৮ রাত্রি ২/৩৪। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১। অমৃতযোগ  দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪ গতে ৪/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী  দিবা ১/৩৪। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১/২১। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৮ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৯ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৮ গতে ৪/৪৭ মধ্যে।     
২১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গল এলাকায় আকাশচুম্বী বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

02:10:00 PM

পিকনিক স্পটে যাতে কোনও পশু আক্রমণ না করে সেটা দেখতে হবে: মমতা

02:02:00 PM

রাজাভাতখাওয়াতে প্রবেশ করতে গেলে কেন পর্যটকাদের টাকা দিতে হবে? ক্ষুব্ধ মমতা

01:57:00 PM

২৬ জানুয়ারি দিল্লি অভিযানে অনড় কৃষকরা
এত দেরি কেন? আরও আগে কেন আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে ...বিশদ

01:53:00 PM

গ্যাস বুকিংয়ে সমস্যা গ্রাহকদের,অভিযোগ
রান্নার গ্যাস বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন ইন্ডেন গ্রাহকরা। তাঁদের অভিযোগ, ...বিশদ

01:51:37 PM

তোমাদের কাজে গাফিলতি রয়েছে, জেলাশাসককে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর

01:44:00 PM



Loading...