Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার

‘তখন গরমি কালটা অনেকেই গঙ্গার ধারে বাগানবাড়িতে গিয়ে কাটাতেন। কোন্নগরের বাগানে বাবামশায় যাবেন, ঠিক হল। মা পিসিমা সবাই যাবেন; সঙ্গে যাব আমি আর সমরদা। দাদা থাকবেন বাড়িতে; বড় হয়েছেন, স্কুলে যান রোজ, বাগানে গেলে পড়াশুনোর ক্ষতি হবে। আমার আনন্দ দেখে কে। কাল সকালবেলায় যাব, কিন্তু রাত পোহায় না। ঘুমোব কি! সারারাত ধরে ভাবছি, কখন ভোর হয়।’ উৎসাহের অন্ত ছিল না অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। আসলে হুগলি নদী তীরবর্তী এই বাগানবাড়িটি ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কেনা অজস্র জমিদারির মধ্যে একটি অংশ। উত্তরাধিকার সূত্রে তা পান দ্বারকানাথের মধ্যমপুত্র গিরীন্দ্রনাথ। পরে তা পান পুত্র গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সুবাদে ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এই বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসতেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে যেমন ছিল ‘বাবামশাই’ গুণেন্দ্রনাথের কড়া শাসন, তেমনই মিলত প্রিয় ‘রবিকা’র সঙ্গে অঢেল মজা করার সুযোগও।
এই বাগানবাড়িতে যাওয়ার প্রসঙ্গে ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে তিনি লিখছেন, ‘এখন কোন্নগরে তো যাওয়া হবে—কত দেরি করেছিল সেদিন সকালটা আসতে। যেমন রামলালের ডাক ‘ওঠো’, অমনি তড়িঘড়ি বিছানা থেকে লাফিয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে ইজের কামিজ বদলে তৈরি হয়ে নিলুম। লোকজন আগেই চলে গেছে বাগানে। এবার আমরা যাব। সাদা জুড়িঘোড়া জোতা মস্ত ফিটন দাঁড়াল দেউড়িতে ভোর পাঁচটায়। আমরা উঠলুম তাতে। বাবামশায় বসলেন পিছনের সিটে, আমাদের বসিয়ে দিলেন সামনেরটায়। দুপাশে বসলেন আরও দুজন, পাছে আমরা পড়ে যাই। সেকালের গাড়িগুলির দু-পাশ থাকত খোলা—একটুতেই পড়ে যাবার সম্ভাবনা। মা পিসিমা আগেই রওনা হয়েছেন বন্ধ আপিসগাড়িতে।’
এই যাত্রাপথেই প্রথমবার হাওড়া ব্রিজ দেখেছিলেন অবন ঠাকুর। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল—‘হাওড়ার পুল দেখি সেই প্রথম, আমি তো ভয়ে মরি।’ হাওড়া ব্রিজ অতিক্রম করে তাঁদের ফিটন গাড়ি এগোয়। মাঝরাস্তায় ঘোড়া বদল করে অবশেষে তাঁরা পৌঁছলেন কোন্নগরের বাগানবাড়িতে। অবন ঠাকুরের কথায়, ‘তখন মোটরগাড়ি ছিল না যে এক ঘণ্টায় পৌছে দেবে শহর থেকে বাগানে।’
লেখার মধ্য দিয়েই যেন ছবি আঁকতে পারতেন অবন ঠাকুরের। কোন্নগরের বাগানবাড়িতে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মুহূর্তের বর্ণনায় রয়েছে সেই ছোঁয়া—‘কোতরঙের ইঁটখোলা—সেখানে পাহাড়ের মতো ইঁটের পাজায় আগুন ধরিয়েছে, তা থেকে ধোঁয়া উঠছে আস্তে আস্তে আকাশে। তার পরই কোন্নগরের বাগান আমাদের। দু-থাক ঢালুর উপরে সাদা ছোট্ট বাড়িখানি।’
সেসব কবেকার কথা। ছোট্ট বাগানবাড়িখানির রঙ আজও একই। বইয়ের বর্ণনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার হাওয়ায় সামান্য একটু নোনা ধরেছে অবশ্য। বাড়ির ভিতরে অবন ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ছবির রেপ্লিকা। বাড়ির সামনের রাস্তা সুন্দরভাবে সাজানো। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ের বিভিন্ন অংশকে উক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি সেগুলি পড়লে ফিরে যাবেন সে-সময়ে। 
বাগানবাড়ির মধ্যস্থলে অবন ঠাকুরের মূর্তি। আর বাগান জুড়ে অজস্র গাছ। বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছও রয়েছে। বিষধর সাপের উৎপাতের জন্য জায়গায় জায়গায় রয়েছে বিশেষ  সতর্কবার্তা। এই মূল বাড়িটি ছাড়াও প্রবেশপথে রয়েছে একটি প্রাচীন বাড়ি। যা মূলত ‘অফিসঘর’। অফিসঘর ছাড়াও রয়েছে গ্রন্থাগার, রন্ধনশালা সহ বেশ কয়েকটি ঘর। এই বাড়িটি অতীতে ছিল ‘সার্ভেন্ট কোয়ার্টার’। এখানেই থাকত ঠাকুরবাড়ির ফিটন গাড়ি এবং পালকি। একটি পালকি এখনও সযত্নে রক্ষিত। 
কোন্নগরের বাগানবাড়ি জুড়ে ছিল গাছ আর গাছ। আজও সেই পরিবেশ বজায় রয়েছে। হাজারো পাখির কলতান। আম গাছে ধরেছে আম। বাগানের কাঁঠাল গাছে দেখা গেল কাঁঠাল ধরেছে। অবন ঠাকুরের আমলের সেই গাছ আজও সযত্নে রক্ষিত। এই কাঁঠাল গাছ ঘিরে অবন ঠাকুরের কত স্মৃতি। তিনি লিখছেন-  “উত্তর দিকে মস্ত ছাতার মতো নিচু একটি কাঁঠালগাছ।রাত্রে যখন বিছানায় যেতুম তখনও চলত আমার কল্পনা। নানারকম কল্পনায় ডুবে থাকত মন; স্পষ্ট যেন দেখতে পেতুম সব চোখের সামনে। খড়খড়ির সামনে ছিল কাঁঠালগাছ। জ্যোৎস্না রাত্তির, চাদের আলোয় কাঁঠালতলায় ছায়া পড়েছে ঘন অন্ধকার।”
এই কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে নিয়ে একটি কল্পনার দৃশ্যকল্প এঁকেছেন অবন ঠাকুর। উনার কথাতেই শোনা যাক- “দিনের বেলায় চাটুজ্যে মশায় বলেছিলেন, আজ রাত্তিরে কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে হবে। রাত জেগে দেখছি চেয়ে, কাঁঠালতলায় যেন সত্যি কাঠবেড়ালির বিয়ে হচ্ছে, খুদে খুদে আলোর মশাল জ্বালিয়ে এল তাদের বরযাত্রী বরকে নিয়ে, মহা হৈ-চৈ, বাদ্যভাণ্ড, দৌড়োদৌড়ি, হুলুস্থুলু ব্যাপার। সব দেখছি কল্পনায়। কাঁঠালতলায় যে জোনাকি পোকা জ্বলছে তা তখন জ্ঞান নেই।” এই কাঁঠালগাছের তলায় চৌকি পেতে গুনেন্দ্রনাথ গল্পের আসর বসাতেন। 
অবন ঠাকুরের বেশ আনন্দেই দিন কাটত কোন্নগরে। দুপুরবেলা বাগানের কুলগাছ থেকে রেশমি গুটি জোগাড় করতেন। প্রজাপতির পায়ে সুতো বেঁধে ঘুড়ির মত ওড়াতেন।এক নাপিত পোষা কাঠবেড়ালির ছানা এনে দিত। কেউ বা খালি বাবুইয়ের বাসা জোগাড় করে এনে দিত। বহুরূপী এসে নাচ দেখাত। শুধু মজা করেই দিন কাটত না ছোট্ট অবন ঠাকুরের, রীতিমতো পড়াশোনা করতে হত। ঠিক যেভাবে রবি ঠাকুরকে হিমালয়ে নিয়ে গেলেও পিতা দেবেন্দ্রনাথ ছোট্ট রবিকে পড়াতেন।
গোকুলবাবু ছিলেন বাগানবাড়ির গৃহশিক্ষক। বাংলার ইতিহাস মুখস্থ করাতেন। অবন ঠাকুরকে পড়তে হত সিরাজের কাহিনি। গৃহশিক্ষকদের পড়ানোতেই বিষয়টা মিটে যেত এমনটা নয়। গুনেন্দ্রনাথের সামনে ভাইবোনদের সবাইকে পরীক্ষা দিতে হত। আর সেই পরীক্ষায় একবার প্রথম হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। আর ‘ফার্স্ট প্রাইজ’ হিসেবে পেয়েছিলেন ‘বিলিতি অর্গ্যান বাজনা’। এই বাড়িতেই প্রথম গান শিখেছিলেন অবন ঠাকুর। আর সেই গানের কাহিনিটিও বেশ মজার। ‘ব্লাকইয়র’ নামে এক সাহেব ছিলেন কোন্নগরে। তিনি রোজ ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে বের হতেন। আর বেড়িয়ে ফিরবার সময় এক গয়লার বাড়ি গিয়ে গয়লানীর কাছে এক পোয়া করে দুধ খেতেন। আর তা দেখে স্থানীয় পাড়ার লোকে তার নামে গান বেঁধেছিল। গানের সুরটি ছিল এরকম- “হায় রে সাহেব বেলাকর/ আমি গাই দেব তুই বাছুর ধর।” এই গানই সেসময় গাইতেন ছোট্ট অবন ঠাকুর। 
অবন ঠাকুরের ছবি আঁকায় হাতে খড়ি হয়েছিল এই বাগান বাড়িতেই।সেই প্রথম ছবি আঁকার কাহিনি তাঁর লেখা থেকেই জেনে নিই - “সেই সেবার কোন্নগরে আমি কুঁড়েঘর আঁকতে শিখি। তখন একটু আধটু পেনসিল নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এটা ওটা দাগি। বাগান থেকে দেখা যেত কয়েকটি কুঁড়েঘর। কুঁড়েঘরের চালটা যে গোল হয়ে নেমে এসেছে, তা তখনই লক্ষ্য করি। এর আগে আঁকতুম কুঁড়েঘর—বিলিতি ড্রইং-বইএ যেমন কুঁড়েঘর আঁকে। দাদাদের কাছে শিখেছিলুম এক সময়ে। বাংলাদেশের কুঁড়েঘর কেমন তা সেইবারই জানলুম, আর এ পর্যন্ত ভুল হল না।”
বাগান বাড়ির ঠিক সামনেই গঙ্গা। আজও একই ভাবে তা দেখা যায়। সুন্দর বাঁধানো ঘাট। গঙ্গার ওপাশে ঠাকুরদেরই আরেকটি বাগানবাড়ি, ‘পানিরহাটি বাগানবাড়ি’ বা ‘পেনেটির বাগানবাড়ি’। যেখানে মাঝেমধ্যে থাকতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। হাজির হতেন অবন ঠাকুরের প্রিয় ‘রবিকা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবন ঠাকুরেও যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে।
পিতা গুনেন্দ্রনাথ সাঁতরে গঙ্গার এপার ওপার করতেন। পুত্র অবনীন্দ্রনাথকেও সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করতেন পিতা। পিতার নির্দেশে চাকর-বাকরেরা গামছা পরিয়ে অবন ঠাকুরকে জলে ছুঁড়ে দিত। অবন ঠাকুর লিখছেন-”সাঁতার দেব কি, ভয়েই অস্থির। কোনো রকম করে আঁচড়ে পাঁচড়ে পারে উঠে পড়ি।”
গঙ্গার এপার আর ওপারের বাগানবাড়ির যোগসূত্রের একটি মজার কাহিনি রয়েছে। কাহিনির বর্ণনা দিচ্ছেন লেখক এভাবে- “গঙ্গার পশ্চিম পারে আমাদের কোন্নগরের বাগান, ওপারে পেনিটির বাগান, জ্যোতিকাকা মশায় সেখানে আছেন। কোনোদিন এপার থেকে বাবামশায়ের পানসি যায়, কোনোদিন বা ওপার থেকে জ্যোতিকাকামশায়ের পানসি আসে; এমনি যাওয়া আসা। বন্দুকের আওয়াজ করে সিগন্যালে কথা বলতেন তাঁরা।”
একবার যেমন কি হয়েছিল ছেলেকে সাহসী করে তোলার জন্য গুনেন্দ্রনাথ ছেলে অবনের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়ার করেছিলেন। অবন ঠাকুর লিখছেন, “একবার আমায় দাড় করিয়ে আমার কাঁধের উপর বন্দুক রেখে বাবামশায় বন্দুক ছোঁড়েন, পেনিটির বাগান থেকে ওপারে। জ্যোতিকাকামশায় বন্দুকের আওয়াজে তার সাড়া দেন।”
বাগান বাড়ির সামনেই প্রবাহিত গঙ্গার চমৎকার বর্ণনা দিচ্ছেন অবন ঠাকুর। লিখছেন- “আমরা বাগানবাড়ির বারান্দার সিঁড়ির ধাপে বসে থাকতুম গঙ্গার দিকে চেয়ে—সামনেই গঙ্গা। ঠিক ওপারটিতে একটি বাঁধানো ঘাট। চেয়ে থাকি সেই ঘাটের দিকে। লোকেরা চান করতে আসে; কখনও বা একটি দুটি মেয়ের মুখ দরজা খুলে উঁকি মারে, আবার মুখ সরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর দেখি তর্‌তর্‌ করে গঙ্গা বয়ে চলেছে। নৌকো চলেছে পর পর—কোনোটা পাল তুলে, কোনোটা ধীরে, কোনোটা বা জোরে হু-হু করে।”
অবন ঠাকুর লেখার মধ্য দিয়ে ছবি আঁকেন। অবন ঠাকুর বাগানবাড়ি থেকে নিয়মিত গঙ্গা দেখতেন। আর তা দেখার ফলে ছোট্ট অবনের মন চলে যেত এক দূরের দেশে। তিনি এই বাগান বাড়ি থেকে গঙ্গার তিনখানি দৃশ্যকল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন। 
যেমন প্রথমত, “যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত দেখতে দেখতে আধখানা গঙ্গা কালো হয়ে যেত, আধখানা গঙ্গা সাদা ধবধব করত; সে কি যে শোভা!” 
দ্বিতীয়ত, “গঙ্গার আর এক দৃশ্য, সে স্নানযাত্রার দিনে। দলের পর দল নৌকো বজরা, তাতে কত লোক গান গাইতে গাইতে, হল্লা করতে করতে চলেছে। ভিতরে ঝাড়লণ্ঠন জ্বলছে; তার আলো পড়েছে রাতের কালো জলে।” 
তৃতীয়ত,”যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত জেলেডিঙিগুলো সব তাড়াতাড়ি ঘাটে এসে লাগত ঝড় ওঠবার লক্ষণ দেখে। গঙ্গা হয়ে যেত খালি। যেন একখানা কালো সাদা কাপড় বিছানো রয়েছে। এই গঙ্গার দৃশ্য বড় চমৎকার লাগত।”
সেই গঙ্গার ঘাট আজ আর নেই। সামান্য বাঁধানো হয়েছে । আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে চারপাশ। লোহার মজবুত দরজা বসেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে যা তালাবন্ধ। গঙ্গার ওপারে পেনেটির বাগানবাড়ি দৃশ্যমান। ভাবছিলাম, ঠাকুরবাড়ির কায়দায় এপারে-ওপারে বন্দুক না-ই বা চলল কিন্তু যদি নৌকায় চড়ে ওপাশে যাওয়া যেত তো বেশ হত। হয়ত হবে কোনো দিন! 
এই বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোকের যাতায়াত ছিল।মাঝে মাঝে বড় জুড়িঘোড়া হাঁকিয়ে আসতেন উত্তরপাড়ার রাজা। গুণেন্দ্রনাথের একটি জুড়িগাড়ি ছিল। এছাড়া ছোটলাট সাহেবের মেমের একটি ছোট্ট টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি ছিল। যা কিনেছিলেন গুনেন্দ্রনাথ। গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন মেয়ে সুনয়নী ও বিনয়িনীর বেড়াতে বের হওয়ার জন্য। যদিও সেই গাড়িতে অবন ঠাকুরও চড়তেন। আর মাঝেমাঝে বের হতে বেড়াতে। একবার ছোট্ট অবন ঠাকুর বের হয়েছেন তাঁদের ছোট্ট জুড়ি গাড়ি চড়ে বেড়াতে। পথে দেখা উত্তরপাড়ার জমিদারের সাথে। তারপর - “উত্তরপাড়ার রাজার জুড়িগাড়ির সামনে আমার টাটুঘোড়া ভয়ে চোখ বুজে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায়। জুড়িগাড়ির ভিতরে বসে বৃদ্ধ ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কার গাড়ি যায়? কার ছেলে এরা?’ চোখে ভালো দেখতে পেতেন না। সঙ্গে যারা থাকে তারা বলে দেয় পরিচয়। শুনে তিনি বলেন, ‘ও, আচ্ছা আচ্ছা, বেশ, এসেছ তা হলে এখানে। বোলো একদিন যাব আমি।’ তাঁর জুড়িঘোড়া টগবগ করতে করতে তীরের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যায়—আমার ছোট্ট টাটুঘোড়া তার দাপটের পাশে খাটো হয়ে পড়ে।” লোকজন তখন মজা করে বলতে শুরু করে- “যেমন ছোট্ট বাবু তেমনি ছোট্ট গাড়ি।”
গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আকস্মিক মৃত্যুর পর বাগানবাড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান অবন ঠাকুর ও তাঁর পরিবার। বাগানবাড়িতে পড়ে থাকে তাঁদের পোষ্য কুকুর, ঘোড়া, বাঁদর, হরিণ সহ বিভিন্ন জীব। তারপর ঠাকুরবাড়ির যোগাযোগ কমে আসে এই বাড়ির সাথে। দেখতে দেখতে এই বাড়ি ভগ্নদশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সাধের বাগানবাড়ি অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে এককোনে পড়ে থাকে।
এই বাড়ির একেবারে পিছনের দিকে রয়েছে একটি মাজার এবং ক্রাইপার সাহেবের সুইমিংপুল।শুকিয়ে যাওয়া সেই সুইমিংপুল আজও দেখতে পাওয়া যায়। উইলিয়াম রিসডন ক্রাইপার সাহেবের হাত ধরে কোন্নগরে নগরায়ন শুরু হল। তিনি নিজে একটি কুঠী বানালেন। তাঁর হাত ধরে এ তল্লাটে কল-কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করল । ইংরেজ বাবুদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেল। সেই সুবাদে ঠাকুরদের এই বাগানবাড়ি চলে গেল ইংরেজদের দখলে। ইতিহাস বলছে ক্রাইপার সাহেব এই বাড়ি মেরামত করেন। তখন এই বাড়ির লোকমুখে নাম হয় ‘সাহেব কুঠী’। 
শোনা যায়, তারপর একদিন ইংরেজদের কাছেও এই বাড়ির গুরুত্ব কমে আসে। ইংরেজরা এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে  দীর্ঘদিন এই বাড়ি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। তার বহু পরে এই বাগানবাড়ি হস্তান্তরিত হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত জমিদার ভাগ্যকূল রায় পরিবারের হাতে। যাঁরা কুমোরটুলিতে একসময় জাঁকিয়ে বসেন এবং দুর্গাপুজোর প্রবর্তন করেন। এই রায়দের হাত থেকে বাগানবাড়ি কিনে নেন ব্যবসায়ী লাখোটিয়ারা। দীর্ঘসময় জরাজীর্ণ বাড়িটি ততদিনে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। খোয়া গেছে অনেককিছু। পরে এই বাড়ি ঘিরে দেখা দেয় বেশ কিছু আইনি জটিলতা। পরে সেই জটিলতা কাটিয়ে বাড়িটি অবশেষে ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা পায়। আর এই বাড়িকে নবরূপদানে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে কোন্নগর পুরোসভা। পুরোসভার উদ্যোগে সেজে ওঠে অবন ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি, গঙ্গার তীরে একটুকরো শান্তিনিকেতন।
04th  August, 2024
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ...বিশদ

03:28:03 PM

বেহাল দশায় কোচবিহারের খুকশিয়া উদ্যান
বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে কোচবিহার জেলোর খাগড়াবাড়ি ১গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ...বিশদ

03:20:00 PM

কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পথে বৃন্দাবনে বাসে আগুন, ঝলসে মৃত ১
পূর্ণকুম্ভে পূণ্যের ডুব দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। ...বিশদ

03:15:45 PM

নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি পরিবহণের অভিযোগ, পুলিসি অভিযানে গ্রেপ্তার ৪
জলপাইগুড়ি জেলার জল্পেশ সংলগ্ন জর্দা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি ...বিশদ

03:00:00 PM

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাটোয়া শহরে একটি বাড়ির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলছে পুরসভা

02:55:11 PM

শান-ই-পাঞ্জাব এক্সপ্রেসের একটি কোচের ব্রেক অ্যাক্সেলে আগুন, হতাহতের খবর নেই

02:43:31 PM