সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
মহেশতলা পুরসভা এলাকার ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি জল এই তিনটি লকগেট দিয়ে বেরিয়ে খালে পড়ে। পাম্পিং স্টেশন তৈরির দায়িত্ব কেএমডিএকে দেওয়া হলেও নিকাশি খাল সংস্কার ও পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেচদপ্তর ও মহেশতলা পুরসভাকে। মহেশতলার এক পুরকর্তার দাবি, খাল সংস্কার ও পরিষ্কারের কাজ এইসঙ্গে চলছে। তবে বর্ষার কারণে দ্রুত কাজ করা যাচ্ছে না। পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়ে গেলে জল জমার সমস্যা আর থাকবে না।
মহেশতলা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, জল জমার অনেক কারণ রয়েছে। নিকাশি খালগুলি অধিকাংশই নাব্যতা হারিয়েছে। তার উপর অনেক ক্ষেত্রেই দখল হয়েছে দু’পাড়। বিশেষ করে বেলতলা হানা খালের নাব্যতা ও দখলের কারণে জল যাওয়ার গতি রুদ্ধ হয়েছে। প্রসঙ্গত, মহেশতলায় নুঙ্গি আবাদি খাল এবং হেতালখালিকে দু’টি লকগেট রয়েছে। ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪— এই পাঁচটি ওয়ার্ডের নিকাশি জল নুঙ্গি আবাদি খালের লকগেট হয়ে যায়। এই খালের সঙ্গে যুক্ত বেলতলা হানা খাল। অন্যদিকে হেতালখালি লকগেট হয়ে জল বের হয় ৩১, ৩৩, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের। বেলতলা হানা খাল পুরোটাই চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ফলে সেখানকার দখলদারি নিয়ে পুরসভা কিছু বলতে পারছে না। একাধিক কাউন্সিলার বলেছেন, এ নিয়ে প্রশাসন ও সরকারের কাছে একধিকবার দরবার করা হলেও সুরাহা হয়নি। এর থেকেও বড় সমস্যা হল, গঙ্গার তুলনায় মহেশতলা পুরসভার নিকাশি খালগুলির অবস্থান নিচুতে। আসলে অনেক আগে সেচের জল আনতে এইসব খাল কাটা হয়েছিল। তখন গোটা মহেশতলা এলাকাই ছিল গ্রামাঞ্চল। এখনও সেই অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। তাই পাম্পিং স্টেশন করে জল বের করার দিকে এগচ্ছে সরকার।