গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ঘরোয়া নেলপালিশ বানানোর পদ্ধতি
উপকরণ: একটা কালারলেস (ন্যাচারাল) নেলপালিশ, এক কিউব আইশ্যাডো, টুথপিক, গোল করে কাটা বাটার পেপার।
পদ্ধতি: প্রথমে কালারলেস নেলপালিশ থেকে সামান্য একটু ফেলে দিন। নাহলে বাকি উপকরণ মেশাতে গেলে উপচে যাবে। আইশ্যাডো বাক্স থেকে বের করে তা মাখন মাখানোর ছুরি দিয়ে একদম গুঁড়ো করে নিন। যত মিহি করে গুঁড়ো করবেন ততই নেলপালিশের টেক্সচার ঘন হবে। গোল করে কাটা বাটার পেপারটা মুড়িয়ে ফানেলের মতো করে নিন। এরপর নেলপালিশের ঢাকা খুলে মুখে এই ফানেল লাগিয়ে দিন। তারপর গুঁড়ো করা আইশ্যাডো ফানেলের মধ্যে দিয়ে নেলপালিশের শিশিতে ঢেলে দিন। আইশ্যাডোর গুঁড়ো শিশিতে ঢালার সময় তা যদি মুখের কাছে আটকে যায় তাহলে টুথপিক দিয়ে ঠেলে দিন। এবার ঢাকা বন্ধ করে খুব জোরে ক্রমাগত তা নাড়তে থাকুন। যখন দেখবেন শিশির তরলটি রঙিন হয়ে গিয়েছে তখন বুঝবেন নেলপালিশ তৈরি। যতক্ষণ পর্যন্ত সব একসঙ্গে না মিশছে ততক্ষণ বারবার ঝাঁকিয়ে মেশাতে হবে। এই নেলপালিশে গ্লিটার মেশাতে চাইলে চামচ এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন। আবার ঝাঁকিয়ে নিন। মিশে গেলে গ্লিটার নেলপালিশ তৈরি হয়ে যাবে।
ব্যবসায়িক ব্যবহারে নেলপালিশ বানানোর নিয়ম
উপকরণ: ১৪ মিলি নেলপালিশের খালি শিশি, ল্যাকার বেস ৬ মিলি, টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড ৪ মিলি, পছন্দসই রঙের রেগুলার টিন্টার ১ টিউব করে, সিরিঞ্জ ২টো, গ্লাভস ১ জোড়া। (মালপত্র সবই অনলাইন আনানো যায়। বড়বাজারেও পাবেন)
পদ্ধতি: গ্লাভস পরে সিরিঞ্জে ৬ মিলি ল্যাকার ভরে নিন। তার থেকে ৪ মিলি শিশিতে ভরে নিন। ৪ মিলি টাইটেনিয়াম ডাই একটা সিরিঞ্জে ভরে ল্যাকার বেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এরপর ইচ্ছেমতো রং মিশ্রণে ঢেলে দিন। বাকি ২ মিলি ল্যাকার বেস মিশিয়ে শিশির মুখ বন্ধ করে দিন। তারপর তা ক্রমাগত ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন। তরলের রং বদলে গেলে বুঝবেন নেলপালিশ রেডি। যদি শুধু গ্লিটার নেলপালিশ বানাতে চান তাহলে ক্রাফট গ্লিটার (গোল্ডেন বা সিলভার) নিয়ে নেলপালিশের শিশির ভরে নিন। তার সঙ্গে ল্যাকার মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। গিল্টার নেল কালার তৈরি।
নেলপালিশ তো বানালেন। কিন্তু বিক্রি করবেন কোথায়? নেলপালিশ যদি সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারেন তাহলে রোজগারের অঙ্কটা মন্দ হবে না।
আপনার ক্রেতা কারা, ঠিক করে নিন। অর্থাৎ নেলপালিশ বানানোর পর তার গ্রাহক কারা হবে সেটা আগে থাকতেই নির্বাচন করুন। মহিলারাই সিংহভাগ গ্রাহক। মোটামুটি ১০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত মহিলাদের টার্গেট করে নেলপালিশের রং বেছে নিন।
রঙের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য একটু গ্লিটার দেওয়া নেলপালিশ বানান, টিনএজার থেকে সদ্য চাকরিরতদের জন্য বেছে নিন ফ্লুরোসেন্ট রঙের নেলপলিশ, ম্যাট ফিনিশ, গ্লসি নেল কালার ইত্যাদি। সবুজ, নীল, হলুদ, কমলা যেমন রাখবেন তেমনই সিলভার, কপার, গোল্ডেন বা অন্য কোনও মেটালিক রংও রাখবেন। একটু বয়স্কদের জন্য গতানুগতিক রং রাখুন। তাতে গ্লস ও ম্যাট দু’রকমই বানাতে পারেন। খয়েরির বিভিন্ন শেড, চন্দন রঙের হাল্কা থেকে গাঢ় শেড, মেরুন ইত্যাদি রাখুন।
বিক্রির মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগান। অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কীভাবে বিক্রি করা যায় সে বিষয়েও খোঁজ নিন। পাড়ার প্রসাধনীর দোকান থেকে বিউটি পার্লারেও খোঁজ নিতে পারেন।
বিজ্ঞাপন করুন নিজের তৈরি জিনিসের। ক্রেতাদের আগ্রহ অনুযায়ী ভাষাচয়ন করুন।
দাম খানিকটা কম রেখে বাজারে নামুন। প্রথমেই লাভের মাত্রা খুব বেশি রাখবেন না। মোটামুটি বানানোর খরচের উপর দুই থেকে পাঁচ শতাংশ লাভ রেখে বাজারে ছাড়ুন।
এটি খুবই ট্রেন্ডিং ব্যবসা। রং ও স্টাইল সারাক্ষণ বদলাতে থাকে। সেই মতো নিজেকেও তৈরি রাখুন।