দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় শীতলতার ছোঁয়া। সন্ধে নামার সময়টা তাই বেশ মনোরম। মন গুনগুন করে ওঠে— ‘এল আঁধার দিন ফুরালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো....’ এমন দীপময় রাতে সাজ হওয়া চাই ঝলমলে। আর হেমন্ত দিনে লাবণ্যময় শাড়ির সাজই আপনাকে করে তুলবে অনন্যা। আজ এমনই পাঁচটি শাড়ি-সাজের বিবরণ রইল আপনাদের জন্য।
বিষ্ণুপুরি সিল্ক প্রিন্ট
শাড়িটি বিষ্ণুপুরি সিল্কে এক্সক্লুসিভ ব্লক প্রিন্ট। ধনতেরাসের শুভলগ্নে ঘরগৃহস্থালির জিনিসপত্র কিনলে সংসারে লক্ষ্মী বিরাজ করেন — এমনটাই বিশ্বাস আমাদের। তাই আমাদের মডেল অভিনেত্রী রুম্পা ঠিক করেছে এই প্রিন্টেড সিল্কটি পরে ধনতেরসের শপিংয়ে বেরবে। শাড়িটি ‘প্রমিতি’জ কালেকশন’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার ছবি বন্দোপাধ্যায় জানালেন, শীত আসার আগে এই হিমেল দিনে সিল্ক তসরের বেশ চাহিদা থাকে। তাই আসন্ন আলোর উৎসবের জন্য সিল্ক তসরকে ব্লক প্রিন্ট, বাটিক, অ্যাসিড পেন্টিং ও নানারকম মিক্স অ্যান্ড ম্যাচে সাজিয়েছেন তিনি।
চেক ফ্রিল হ্যান্ডলুম
শাড়িটি লাল হলুদ কম্বিনেশনে তৈরি ডিজাইনার কালেকশন। টিনএজাররা একটু অন্যরকম গেট আপের শাড়ি পরতে পছন্দ করে। তাই ডিজাইনার আত্রেয়ী তাদের কথা ভেবে তৈরি করেছেন ফ্রিল বর্ডার শাড়ি। চেক মেটিরিয়ালকে একটু অন্যরকমভাবে ব্যবহার করে শাড়ির লুকটাই বদলে দিয়েছেন ডিজাইনার। এমন শাড়ির মোটিফেও নতুনত্ব আছে। চেক বা প্রিন্টেড মেটিরিয়াল দিয়ে অ্যাপ্লিক করা শাড়িগুলো দেখলেই হাত বাড়াবে ইয়াং জেনারেশন। যেমন আমাদের মডেল রানি হাত বাড়িয়েছে ঘুড়ির মোটিফে অ্যাপ্লিক করা ফ্রিল বর্ডার চেক শাড়িটিতে। এটি তার ধনতেরস শপিংয়ের সাজ। শাড়িটি ‘রেনেসাঁ বুটিক’-এর।
হ্যান্ডলুমে জবাফুল
শাড়িটি জরি পাড় আর জমকালো জরি আঁচলের সিল্ক হ্যান্ডলুম। অর্ধেকটা লাল, বাকিটা সাদা। সাদা জমিনে লাল জবার ছবি ফুটিয়েছেন ডিজাইনার শাশ্বতী দাস। তাঁর ‘সোনাঝুরি বুটিক’ এখন কালীপুজোর জন্য জবার সাজে সাজিয়েছে নানাধরনের শাড়িকে। কালীপুজোর দিন সকালে এমন একটি শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়তে পারেন বিশেষ অনুষ্ঠানে।
টেম্পল বর্ডার সিল্ক
শাড়িটি লাল কালো কম্বিনেশনে তৈরি। হাতে বোনা নরম শাড়ির কদর এখন খুব। তাই অভিনেত্রী স্বস্তিকা কালীপুজোর রাতের জন্য বেছে নিয়েছেন এই এক্সক্লুসিভ হাতে বোনা শাড়িটি। শাড়িটিতে সংযত জরির ব্যবহার মন কাড়বে সবার। শাড়িটি ‘দেবশ্রী’জ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার দেবশ্রী দাস জানালেন, পুজোর সময় থেকেই নানান প্রদেশের তাঁত শিল্পীর হাতে বোনা শাড়ি আনিয়েছেন তিনি। কটন, সিল্ক, তসর, কটন-সিল্ক, সিল্ক-হ্যান্ডলুম, লিনেন, কটন-লিনেন, সিল্ক-লিনেন ইত্যাদি মেটেরিয়ালে এক্সক্লুসিভ ডিজাইনে বোনা শাড়ি আলোর উৎসবকে আরও আলোয় ভরিয়ে দেবে।
জর্জেট বেনারসি
শাড়িটি খুব এলিগ্যান্ট লুকের জর্জেট বেনারসি। অর্ধেকটি কালো জমিনে অলওভার জরির জংলা কারুকাজ। বাকি অর্ধেকটা অফ হোয়াইট বেসে কালো জরি পাড় আঁচল আর জমিতে গ্রে আর জরির ফ্লোরাল মোটিফ। শাড়িটি ‘বেনারসি টেক্সটোরিয়াম’ থেকে নেওয়া। ধনতেরসে এদের শোরুমে উৎসবের বিপুল আয়োজন। তাই এক্সক্লুসিভ শাড়ির স্টকও আসে প্রচুর। এবারের ধনতেরস স্পেশাল শাড়িতে রয়েছে অভিনব ডিজাইনের জর্জেট বেনারসি, চান্দেরি, লিনেন বেনারসি, পিওর কাতান সিল্কে জরির কারুকাজ, বেনারসের জরি তসর আর ফ্যান্সি গর্জিয়াস শাড়ি। রয়েছে দক্ষিণ ভারতের সব প্রদেশের তাঁত, হ্যান্ডলুম ও সিল্ক শাড়ি। বাংলার তাঁত ও ঢাকাই শাড়িরও নতুন নকশা এসেছে ধনতেরস উৎসবে। থাকছে অফার, ডিসকাউন্ট ও উপহারও।