আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
মাঝেমধ্যে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেও বর্ষা এবার বর্ষণমুখর নয়। রোদের গনগনে উত্তাপ ছড়িয়ে থাকছে সকাল থেকে সন্ধে। সন্ধের পরও তেমন হাওয়া নেই। বাতাসের আর্দ্রতাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। ফলে ভ্যাপসা আনচান করা সন্ধ্যা স্বস্তি দিচ্ছে না কিছুতেই। দিন হোক বা রাত পথে তো বেরতেই হচ্ছে আমাদের। সবসময় তো আর সব জায়গা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়। তাই কোনও শাড়ি বা পোশাক পরেই যেন শান্তি নেই, স্বস্তি নেই। কটন মলমল ছাড়া আর যে শাড়িটি স্বস্তিদায়ক তা হল হালকা ফুলকা কোটা। তাই ডিজাইনাররাও কোটাকে সাজিয়েছেন এই বর্ষণহীন বর্ষাদিনের জন্যে। আজ আমাদের দুই মডেল অভিনেত্রী সোনালি চৌধুরী ও অঙ্কিতা মজুমদার সেজেছেন ডিজাইনার কোটা শাড়িতে।
মুগা কোটায় প্রিন্টেড পাড়
প্রথম শাড়িটি মুগা কোটা। গুজরাত ও রাজস্থান থেকে এই মুগা কোটা আসে। দৃষ্টিনন্দন পিচ পিঙ্ক রঙের মুগা কোটাকে সাদা কালো কটন প্রিন্টেড ফ্যাব্রিকের বর্ডার ও টিসুর পাইপিংয়ে সাজিয়েছেন ডিজাইনার দীপান্বিতা হাজারি। সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ শাড়িটিকে আরও জমকালো লুক দিয়েছে। গরমের বিকেলে কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে যেতে এমন ডিজাইনার মুগা কোটা পরতে পারেন। সঙ্গে একটু ভারী জাঙ্ক জুয়েলারি পরলে সাজ হবে পারফেক্ট। দীপান্বিতার ‘সন্ধ্যারাগ’ বুটিকে প্রিন্টেড মুগা কোটারও খুব ভালো স্টক রয়েছে। সঙ্গে কনট্রাস্ট প্রিন্টেড বা চেক ব্লাউজ পিস থাকছে জুড়িদার। এই ধরনের শাড়ি অফিস ওয়্যার হিসেবে খুব আরামদায়ক।
রেশম চেকে ওরলি প্রিন্ট
বাংলার তাঁতেই এখন বোনা হচ্ছে হালকা ওজনের রেশম চেক শাড়ি। সহজে ক্রাশড হয়ে যায় না, তাই একটু আধটু বৃষ্টি নামলেও শাড়ি নষ্ট হওয়ার কোনও কারণ নেই। আরামদায়ক রেশম কোটাকে সাজাচ্ছেন ডিজাইনাররা নানান সাজে। যেমন দ্বিতীয় শাড়িটি ব্লকপ্রিন্টেড স্কার্ট বর্ডার রেশম চেক শাড়ি। ওরলি ধাঁচের ব্লকে প্রিন্ট করা হয়েছে। ধানের শীষ রংটিও গরমের দুপুরের জন্য বেশ ভালো। শাড়িটি ‘দেবযানী’জ, শ্রীমতী বুটিক’ থেকে নেওয়া। জানা গেল রেশম চেকে এবার নানা ধরনের প্রিন্ট, অ্যাপ্লিকও হ্যান্ড পেন্টিং করিয়েছেন ডিজাইনার। কলেজে বা অফিসে পরার জন্য কয়েকটা রেশম চেক প্রিন্ট কেনা যেতেই পারে।
কাথিয়াবাড় এমব্রয়ডারি রেশম চেকে
গরমে পার্টি থাকলে ভারী ভারী সিল্ক তসরে হাত বাড়াতে ইচ্ছে করে না। অথচ রোজের পোশাক পরে চলে যাওয়াটাও ঠিক মন থেকে মেনে নেওয়া যায় না। মুশকিল আসান করতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ‘শীর্ষা’স কালেকশন’ বুটিকের ডিজাইনার শম্পা পাল।
দুধ সাদা রেশম চেক শাড়িকে গুজরাতের কাথিয়াবাড় এমব্রয়ডারিতে সাজিয়েছেন তিনি। নানা রঙের চেরা উল দিয়ে কারুকাজ করা হয়েছে। কারণ সুতোর থেকেও চেরা উলে এমব্রয়ডারি করলে একটা থ্রি ডাইমেনশনাল এফেক্ট আসে। ফলে উজ্জ্বলতা বাড়ে। শুধু সাদা নয়, রঙিন রেশম চেকেও এই এমব্রয়ডারি ও অ্যাপ্লিক করেছেন ডিজাইনার।
কটন কোটায় হ্যান্ড পেন্টিং
একটু অন্যরকম সাজতে চান যাঁরা, তাঁরা এক্সক্লুসিভ শাড়ির খোঁজ করেন সবসময়। গরমেও তাঁদের চাই নতুন ধরনের শাড়ি। কটন কোটায় টিউলিপ ফুলের ছবি এঁকেছেন ডিজাইনার। ‘অপূর্ব বুটিক’-এ হ্যান্ডপেন্টিং করা কটন কোটা ও রেশম চেকের প্রচুর স্টক রয়েছে। শুধু ফ্লোরাল পেন্টিংই নয়, জিওমেট্রিক পেন্টিংও করা হয়েছে কোটায়। ব্লক প্রিন্ট, আজরক প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারিতে সাজানো কোটা ও রেশম চেক পছন্দ হবেই আপনার।